২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেরুসালেমকে মুক্ত করার অঙ্গীকার হামাসের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 43

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইসরাইল অধিকৃত জেরুসালেমকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী প্রতিরোধ আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির ৩৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই অঙ্গীকার করেন সশস্ত্র দলটির নেতা-কর্মীরা। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

আরও পড়ুন: ৯ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির শর্ত দিল হামাস

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত বুধবার থেকে গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হামাস। এরমধ্যে রয়েছে হামাস শাসিত এলাকায় সামরিক কুচকাওয়াজ এবং বিরাট র‌্যালি। ১৪ ডিসেম্বর গাজা সিটিতে একটি বড় সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।

আরও পড়ুন: অস্ত্র হাতে ট্রাম্পের গাজা প্ল্যানের বিরুদ্ধে দাঁড়াও : Hamas

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় শহিদ হামাসের মুখপাত্র

হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা আল-মাজিনি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের বাড়ির বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির সূচনা ঘোষণা করেন।যায়নবাদী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে ইয়াসিনকে হত্যা করেছিল।

 

এই বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হামাস যে প্রতীকটি বেছে নিয়েছে তাতে ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত এবং উত্তরে রোশ হানিকরা থেকে দক্ষিণে ইলাত পর্যন্ত বিস্তৃত ‘ফিলিস্তিন’-এর একটি মানচিত্র রয়েছে।

 

হামাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইল জেরুসালেমকে ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করতে চায়, কিন্তু তারা সেটি হতে দেবেন না। জেরুসালেম এবং আল আকসা মসজিদকে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে দেবেন না। হামাসের অপর এক কর্মকর্তা মাহের সাবরা ফিলিস্তিনি মিডিয়াকে বলেন, ‘আমাদের ভূমিতে ইসরাইলের কোনও জায়গা নেই এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যদি শান্তি চায়, তাহলে তাদের ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যেতে হবে।’

 

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল হামাস। ক্ষমতাসীন ফাতাহ ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করায় তাদের সাথে হামাসের মধ্যে বিভেদ তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষমতার এই লড়াই ২০০৭ সালে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়।

 

পরবর্তীতে হামাস গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, আর ফাতাহ পশ্চিম তীরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। এরপরই গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়। গাজা উপত্যকায় হামাস এখনও আগের মতোই শক্তিশালী ও জনপ্রিয়। এ কারণেই হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায়ই বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেরুসালেমকে মুক্ত করার অঙ্গীকার হামাসের

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ইসরাইল অধিকৃত জেরুসালেমকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী প্রতিরোধ আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির ৩৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই অঙ্গীকার করেন সশস্ত্র দলটির নেতা-কর্মীরা। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

আরও পড়ুন: ৯ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ২ মাসের যুদ্ধবিরতির শর্ত দিল হামাস

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত বুধবার থেকে গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হামাস। এরমধ্যে রয়েছে হামাস শাসিত এলাকায় সামরিক কুচকাওয়াজ এবং বিরাট র‌্যালি। ১৪ ডিসেম্বর গাজা সিটিতে একটি বড় সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।

আরও পড়ুন: অস্ত্র হাতে ট্রাম্পের গাজা প্ল্যানের বিরুদ্ধে দাঁড়াও : Hamas

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় শহিদ হামাসের মুখপাত্র

হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা আল-মাজিনি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের বাড়ির বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির সূচনা ঘোষণা করেন।যায়নবাদী ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ২০০৪ সালে ইয়াসিনকে হত্যা করেছিল।

 

এই বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হামাস যে প্রতীকটি বেছে নিয়েছে তাতে ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত এবং উত্তরে রোশ হানিকরা থেকে দক্ষিণে ইলাত পর্যন্ত বিস্তৃত ‘ফিলিস্তিন’-এর একটি মানচিত্র রয়েছে।

 

হামাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইল জেরুসালেমকে ইহুদি অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করতে চায়, কিন্তু তারা সেটি হতে দেবেন না। জেরুসালেম এবং আল আকসা মসজিদকে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে দেবেন না। হামাসের অপর এক কর্মকর্তা মাহের সাবরা ফিলিস্তিনি মিডিয়াকে বলেন, ‘আমাদের ভূমিতে ইসরাইলের কোনও জায়গা নেই এবং ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ যদি শান্তি চায়, তাহলে তাদের ফিলিস্তিন ছেড়ে চলে যেতে হবে।’

 

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল হামাস। ক্ষমতাসীন ফাতাহ ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করায় তাদের সাথে হামাসের মধ্যে বিভেদ তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষমতার এই লড়াই ২০০৭ সালে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়।

 

পরবর্তীতে হামাস গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, আর ফাতাহ পশ্চিম তীরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। এরপরই গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়। গাজা উপত্যকায় হামাস এখনও আগের মতোই শক্তিশালী ও জনপ্রিয়। এ কারণেই হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে প্রায়ই বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান।