০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহারাষ্ট্রে  বিদ্যুৎ কোম্পানির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট সংস্থার কর্মচারীদের  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 52

প্রতীকী ছবি

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে তিনটি  সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ  কোম্পানির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে বুধবার ৭২ ঘণ্টার জন্য  ধর্মঘটে বসেছে সংস্থার হাজার হাজার কর্মচারী,  এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার এক আধিকারিক।  মহারাষ্ট্র রাজ্য কর্মচারী, কর্মকর্তা সহ বিদ্যুৎ কোম্পানি ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলেই খবর।

 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্র রাজ্য বিদ্যুৎ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা ভোইর জানিয়েছেন, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে তিনটি কোম্পানির হাজার হাজার কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চলছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র-আরএসএসের চাপেই মহারাষ্ট্রে হিন্দি আগ্রাসন: সঞ্জয় রাউত

 

আরও পড়ুন: শনি শিঙ্গনাপুর মন্দির থেকে ছাটাই ১১৪ জন মুসলিম কর্মী, পর্দার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীরা!

এদিন তিনি আরও বলেন, এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক  করবেন বলেও জানিয়েছেন। সূচি অপরিবর্তিত থাকলে উপ-মুখ্যমন্ত্রী  দেবেন্দ্র  ফড়নবীস দুপুর ১ টার দিকে স্থানীয় সহ্যাদ্রি গেস্ট হাউসে  কর্মচারী ইউনিয়নগুলির  অ্যাকশন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে  দেখা করবেন।

 

মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহাবিতরণ), মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহাপারশান) এবং মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহানির্মিতি) হল সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা। সাধারণত এই সংস্থাগুলির কর্মচারীরা কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভে বসেছেন।

 

সোমবার থানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসের বাইরে ১৫ হাজারের’ও বেশি কর্মী  বিক্ষোভ করেছেন। এই তিনটি  বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ৮৬ হাজার কর্মচারী, কর্মকর্তা,  ইঞ্জিনিয়ার এবং ৪২ হাজার চুক্তি কর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মী বুধবার থেকে  বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তবে আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ বিতরণের লাইসেন্স দেওয়া তাঁদের বিক্ষোভের কারণ নয়।

 

এদিন ভোইর বলেন, “এই আন্দোলনের কোনো আর্থিক দাবি নেই, তবে আমরা  চাই সরকারি এই বিদ্যুৎ কোম্পানি গুলো টিকে থাকুক। এইগুলি বেসরকারি  পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করা উচিত নয় কারণ বেসরকারি পুঁজিপতিরা  কেবল মুনাফা করতে চায়।   উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে, আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানি মুম্বাইয়ের আরও বেশ এলাকায় তার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য লাইসেন্স চেয়েছিল।

 

আদানি ইলেকট্রিসিটি নভি মুম্বাই লিমিটেড, আদানি ট্রান্সমিশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে ভান্ডুপ, মুলুন্ড, থানে, নভি মুম্বাই, পানভেল, তালোজা এবং উরান শহরাঞ্চলে মহাবিতরণের এক্তিয়ারের  বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য একটি সমান্তরাল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল।

 

মহারাষ্ট্র আইন অনুযায়ী  রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও রাজ্যে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে বলেই জানা গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মহারাষ্ট্রে  বিদ্যুৎ কোম্পানির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট সংস্থার কর্মচারীদের  

আপডেট : ৪ জানুয়ারী ২০২৩, বুধবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে তিনটি  সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ  কোম্পানির বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে বুধবার ৭২ ঘণ্টার জন্য  ধর্মঘটে বসেছে সংস্থার হাজার হাজার কর্মচারী,  এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার এক আধিকারিক।  মহারাষ্ট্র রাজ্য কর্মচারী, কর্মকর্তা সহ বিদ্যুৎ কোম্পানি ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলেই খবর।

 

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্র রাজ্য বিদ্যুৎ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণা ভোইর জানিয়েছেন, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে তিনটি কোম্পানির হাজার হাজার কর্মচারী অংশ নিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চলছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র-আরএসএসের চাপেই মহারাষ্ট্রে হিন্দি আগ্রাসন: সঞ্জয় রাউত

 

আরও পড়ুন: শনি শিঙ্গনাপুর মন্দির থেকে ছাটাই ১১৪ জন মুসলিম কর্মী, পর্দার আড়ালে হিন্দুত্ববাদীরা!

এদিন তিনি আরও বলেন, এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক  করবেন বলেও জানিয়েছেন। সূচি অপরিবর্তিত থাকলে উপ-মুখ্যমন্ত্রী  দেবেন্দ্র  ফড়নবীস দুপুর ১ টার দিকে স্থানীয় সহ্যাদ্রি গেস্ট হাউসে  কর্মচারী ইউনিয়নগুলির  অ্যাকশন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে  দেখা করবেন।

 

মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহাবিতরণ), মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহাপারশান) এবং মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কর্পোরেশন লিমিটেড (মহানির্মিতি) হল সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা। সাধারণত এই সংস্থাগুলির কর্মচারীরা কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভে বসেছেন।

 

সোমবার থানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসের বাইরে ১৫ হাজারের’ও বেশি কর্মী  বিক্ষোভ করেছেন। এই তিনটি  বিদ্যুৎ সংস্থার প্রায় ৮৬ হাজার কর্মচারী, কর্মকর্তা,  ইঞ্জিনিয়ার এবং ৪২ হাজার চুক্তি কর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মী বুধবার থেকে  বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তবে আদানি গ্রুপকে বিদ্যুৎ বিতরণের লাইসেন্স দেওয়া তাঁদের বিক্ষোভের কারণ নয়।

 

এদিন ভোইর বলেন, “এই আন্দোলনের কোনো আর্থিক দাবি নেই, তবে আমরা  চাই সরকারি এই বিদ্যুৎ কোম্পানি গুলো টিকে থাকুক। এইগুলি বেসরকারি  পুঁজিপতিদের কাছে বিক্রি করা উচিত নয় কারণ বেসরকারি পুঁজিপতিরা  কেবল মুনাফা করতে চায়।   উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে, আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানি মুম্বাইয়ের আরও বেশ এলাকায় তার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য লাইসেন্স চেয়েছিল।

 

আদানি ইলেকট্রিসিটি নভি মুম্বাই লিমিটেড, আদানি ট্রান্সমিশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে ভান্ডুপ, মুলুন্ড, থানে, নভি মুম্বাই, পানভেল, তালোজা এবং উরান শহরাঞ্চলে মহাবিতরণের এক্তিয়ারের  বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য একটি সমান্তরাল লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল।

 

মহারাষ্ট্র আইন অনুযায়ী  রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও রাজ্যে বিদ্যুতের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে বলেই জানা গেছে।