১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০৫০-এর মধ্যে ভারতের প্রায় ৩৭০০ বাঁধ ২৬ শতাংশ জল সংরক্ষণ ক্ষমতা হারাবে, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 40

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের প্রায় ৩৭০০ বাঁধ ২৬ শতাংশ সংরক্ষণ বা জল ধরে রাখার ক্ষমতা হারাতে চলেছে। মূলত জলাধারগুলিতে পলি জমার কারণই ধারণ ক্ষমতা হারানোর মূল কারণ। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি আগামীদিনে জল সুরক্ষা, সেচ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের একটি সমীক্ষায় এমনই একটি রিপোর্ট উঠে এসেছে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক।

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫০টি দেশের ৪৭,৪০৩টি বড় বাঁধে প্রাথমিকভাবে ৬৩১৬ বিলিয়ন ঘনমিটার বৈশ্বিক সংরক্ষণ ক্ষমতা কমে সেটি ৪৬৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে আসবে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪১টি বড় জলাধারের মধ্যে যেগুলি ৫০ বছরের বেশি পুরনো সেগুলি ইতিমধ্যেই এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রাথমিক সঞ্চয় ক্ষমতার অন্তত ৩০ শতাংশ হারিয়েছে। ইতিমধ্যেই পলির স্তর প্রায় ৫০ হাজার জলাধারে জমেছে। এর ফলে বিশ্বে জলাধারগুলির সংরক্ষণ ক্ষমতা ১৩ থেকে ১৯ শতাংশ কমেছে।
ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অন ওয়াটার, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ (ইউএনইউ-আইএনডব্লিউইএইচ) এর গবেষণায় দেখা গেছে ১৫০টি দেশে ৪৭,৪০৩টি বড় বাঁধে ৬,৩১৬ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাথমিক বৈশ্বিক সঞ্চয়ন হ্রাস পাবে।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬৫০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার সংরক্ষণ ক্ষমতার ক্ষতি মোটামুটিভাবে ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স এবং কানাডার বার্ষিক জল ব্যবহারের সমান।

আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী ভারতে একাকীত্ব বড় সমস্যা! শহুরে যুবক-যুবতীরা বেশি ভুগছেন একাকীত্বে! রিপোর্টে প্রকাশিত

২০২২ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বাঁধযুক্ত অঞ্চল তার প্রাথমিক বাঁধ সংরক্ষণ ক্ষমতার ১৩ শতাংশ হারিয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। এটি শতাব্দীর মাঝামাঝি প্রাথমিক সংরক্ষণ ক্ষমতার প্রায় এক চতুর্থাংশ, ২৩ শতাংশ হারিয়ে ফেলবে।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী অবস্থা যেদিকে এগিয়ে চলেছে তার অবশ্যই উদ্বেগজনক। কারণ এই অঞ্চলটি বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের আবাসস্থল। ফলে এখানে জল এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জল সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সের পর প্রথম ভারতে তৈরি হবে ফ্যালকন জেট

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধের দেশ চিন। চিন জলাধারে সংরক্ষণের ক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ হারিয়েছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ হারাতে চলেছে।

উন্নয়নের জন্য জল সংরক্ষণের অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। বড় বাঁধ এবং জলাধারগুলি একাধিক কার্য সম্পাদন করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ এবং পানীয় জল সরবরাহ করা। পলি জমে জমে একটি জলাধারের সংরক্ষণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। বড় জলাধার তখনই বলা যায় যখন সেটি ১৫ মিটারের বেশি বা ৫ থেকে ১৫ মিটার উচ্চতার মধ্যে হয়,
তবে ৩ মিলিয়ন ঘন মিটারের বেশি জল ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২০৫০-এর মধ্যে ভারতের প্রায় ৩৭০০ বাঁধ ২৬ শতাংশ জল সংরক্ষণ ক্ষমতা হারাবে, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের প্রায় ৩৭০০ বাঁধ ২৬ শতাংশ সংরক্ষণ বা জল ধরে রাখার ক্ষমতা হারাতে চলেছে। মূলত জলাধারগুলিতে পলি জমার কারণই ধারণ ক্ষমতা হারানোর মূল কারণ। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি আগামীদিনে জল সুরক্ষা, সেচ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের একটি সমীক্ষায় এমনই একটি রিপোর্ট উঠে এসেছে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক।

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫০টি দেশের ৪৭,৪০৩টি বড় বাঁধে প্রাথমিকভাবে ৬৩১৬ বিলিয়ন ঘনমিটার বৈশ্বিক সংরক্ষণ ক্ষমতা কমে সেটি ৪৬৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে আসবে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪১টি বড় জলাধারের মধ্যে যেগুলি ৫০ বছরের বেশি পুরনো সেগুলি ইতিমধ্যেই এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রাথমিক সঞ্চয় ক্ষমতার অন্তত ৩০ শতাংশ হারিয়েছে। ইতিমধ্যেই পলির স্তর প্রায় ৫০ হাজার জলাধারে জমেছে। এর ফলে বিশ্বে জলাধারগুলির সংরক্ষণ ক্ষমতা ১৩ থেকে ১৯ শতাংশ কমেছে।
ইউনাইটেড নেশনস ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অন ওয়াটার, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথ (ইউএনইউ-আইএনডব্লিউইএইচ) এর গবেষণায় দেখা গেছে ১৫০টি দেশে ৪৭,৪০৩টি বড় বাঁধে ৬,৩১৬ বিলিয়ন ঘনমিটার প্রাথমিক বৈশ্বিক সঞ্চয়ন হ্রাস পাবে।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬৫০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার সংরক্ষণ ক্ষমতার ক্ষতি মোটামুটিভাবে ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স এবং কানাডার বার্ষিক জল ব্যবহারের সমান।

আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী ভারতে একাকীত্ব বড় সমস্যা! শহুরে যুবক-যুবতীরা বেশি ভুগছেন একাকীত্বে! রিপোর্টে প্রকাশিত

২০২২ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বাঁধযুক্ত অঞ্চল তার প্রাথমিক বাঁধ সংরক্ষণ ক্ষমতার ১৩ শতাংশ হারিয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। এটি শতাব্দীর মাঝামাঝি প্রাথমিক সংরক্ষণ ক্ষমতার প্রায় এক চতুর্থাংশ, ২৩ শতাংশ হারিয়ে ফেলবে।
রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী অবস্থা যেদিকে এগিয়ে চলেছে তার অবশ্যই উদ্বেগজনক। কারণ এই অঞ্চলটি বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের আবাসস্থল। ফলে এখানে জল এবং খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জল সঞ্চয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: ফ্রান্সের পর প্রথম ভারতে তৈরি হবে ফ্যালকন জেট

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঁধের দেশ চিন। চিন জলাধারে সংরক্ষণের ক্ষমতা প্রায় ১০ শতাংশ হারিয়েছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ হারাতে চলেছে।

উন্নয়নের জন্য জল সংরক্ষণের অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। বড় বাঁধ এবং জলাধারগুলি একাধিক কার্য সম্পাদন করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ এবং পানীয় জল সরবরাহ করা। পলি জমে জমে একটি জলাধারের সংরক্ষণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। বড় জলাধার তখনই বলা যায় যখন সেটি ১৫ মিটারের বেশি বা ৫ থেকে ১৫ মিটার উচ্চতার মধ্যে হয়,
তবে ৩ মিলিয়ন ঘন মিটারের বেশি জল ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে।