০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাড়ির নকশা অনুমোদনে সরলীকরণ আনল কলকাতা পুরসভা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 17

পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ড বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ও আইন সংস্কার বা পরিবর্তন করছে। লক্ষ্য আরও সরলীকরণ করে নাগরিকবান্ধব করে তোলা। এবার বাড়ির নকশা অনুমোদনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল কলকাতা পুরসভা। নতুন এই পরিবর্তনে এলবিএস এবং আর্কিটেক্টের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেয়র পারিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।

জানা গিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থা লাগু হলে চারতলা পর্যন্ত বাড়ি তুলতে আর পুরকর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হতে হবে না। ৫০০ বর্গ মিটার এলাকার মধ্যে ১২.৫ মিটার উচ্চতার বহুতল নির্মাণে আর্কিটেক্ট বা এলভিএস-রাই নকশা অনুমোদন করবেন। সমস্ত কাজটাই হবে অনলাইনে। ফলে পুরসভার অনুমোদনের অপেক্ষা করে থাকতে হবে না আর। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন বা এলভিএস এবং আর্কিটেক্ট-এর করা অনুমোদনে সিলমোহর দেওয়া হবে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের তরফেই।

আরও পড়ুন: পার্কিং ফি নিয়ে কারচুপি রুখতে কড়া কলকাতা পুরসভা

উল্লেখ্য, এর আগেও বিডিং বিভাগের কাজে একাধিক সরলীকরণ আনে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি মেয়র জানান, প্রোমোটারদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে মিউটেশনের নিয়মে বদল আনা হবে। সেক্ষেত্রে যার নামে নকশা অনুমোদন বা প্ল্যান স্যাংসন হবে, তার নামেই মিউটেশন করবে কলকাতা পুরসভা। নতুন এই নিয়মে ফ্ল্যাট তৈরি করা থেকে শুরু করে হ্যান্ডওভার করা পর্যন্ত প্রমোটারকেই দিতে হবে সম্পূর্ণ ট্যাক্সের টাকা। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ‘নো ডিউ’ সার্টিফিকেট দিতেও ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

আরও পড়ুন: বিনা অপরাধেই ‘জেলবন্দি’ হতে পারেন আপনিও, নেপথ্যে কলকাতা পুরসভা 

এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কর মূল্যায়ন বিভাগ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এতদিন অ্যাসেসমেন্ট এর আগেই নো ডিউ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হতো পুরসভার তরফে। তার ফলে অ্যাসেসমেন্ট এর পর দেখা যেত কোন নির্দিষ্ট জমি উপর বিপুল পরিমাণ করে টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। আর সেই টাকা চাপ এসে পড়তো নতুন ফ্ল্যাট কেনা মালিকদের উপরে। বর্তমানে জমি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আগে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। নির্ধারিত হবে ওই জমির উপরে কোন পুরনো বকেয়া রয়েছে কিনা। তারপরই মিলবে নো-ডিউ সার্টিফিকেট। এই তথ্য একদিকে যেমন যারা প্রোমোটার তারা পাবেন, একইসঙ্গে সরবরাহ করা হবে রেজিস্ট্রি অফিসগুলিকে। যাতে কোন ক্রেতা ফ্ল্যাট কেনার আগে দেখে নিতে পারেন তার ফ্ল্যাটের উপরে বকেয়া কোন করের টাকা বোঝা হিসেবে চেপেছে কিনা।

আরও পড়ুন: ২২৪টি স্কুলে ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখাবে কলকাতা পুরসভা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাড়ির নকশা অনুমোদনে সরলীকরণ আনল কলকাতা পুরসভা

আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার বর্তমান বোর্ড বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ও আইন সংস্কার বা পরিবর্তন করছে। লক্ষ্য আরও সরলীকরণ করে নাগরিকবান্ধব করে তোলা। এবার বাড়ির নকশা অনুমোদনের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল কলকাতা পুরসভা। নতুন এই পরিবর্তনে এলবিএস এবং আর্কিটেক্টের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেয়র পারিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।

জানা গিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থা লাগু হলে চারতলা পর্যন্ত বাড়ি তুলতে আর পুরকর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হতে হবে না। ৫০০ বর্গ মিটার এলাকার মধ্যে ১২.৫ মিটার উচ্চতার বহুতল নির্মাণে আর্কিটেক্ট বা এলভিএস-রাই নকশা অনুমোদন করবেন। সমস্ত কাজটাই হবে অনলাইনে। ফলে পুরসভার অনুমোদনের অপেক্ষা করে থাকতে হবে না আর। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন বা এলভিএস এবং আর্কিটেক্ট-এর করা অনুমোদনে সিলমোহর দেওয়া হবে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের তরফেই।

আরও পড়ুন: পার্কিং ফি নিয়ে কারচুপি রুখতে কড়া কলকাতা পুরসভা

উল্লেখ্য, এর আগেও বিডিং বিভাগের কাজে একাধিক সরলীকরণ আনে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি মেয়র জানান, প্রোমোটারদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে মিউটেশনের নিয়মে বদল আনা হবে। সেক্ষেত্রে যার নামে নকশা অনুমোদন বা প্ল্যান স্যাংসন হবে, তার নামেই মিউটেশন করবে কলকাতা পুরসভা। নতুন এই নিয়মে ফ্ল্যাট তৈরি করা থেকে শুরু করে হ্যান্ডওভার করা পর্যন্ত প্রমোটারকেই দিতে হবে সম্পূর্ণ ট্যাক্সের টাকা। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ‘নো ডিউ’ সার্টিফিকেট দিতেও ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র।

আরও পড়ুন: বিনা অপরাধেই ‘জেলবন্দি’ হতে পারেন আপনিও, নেপথ্যে কলকাতা পুরসভা 

এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে কর মূল্যায়ন বিভাগ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এতদিন অ্যাসেসমেন্ট এর আগেই নো ডিউ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হতো পুরসভার তরফে। তার ফলে অ্যাসেসমেন্ট এর পর দেখা যেত কোন নির্দিষ্ট জমি উপর বিপুল পরিমাণ করে টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। আর সেই টাকা চাপ এসে পড়তো নতুন ফ্ল্যাট কেনা মালিকদের উপরে। বর্তমানে জমি বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে আগে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। নির্ধারিত হবে ওই জমির উপরে কোন পুরনো বকেয়া রয়েছে কিনা। তারপরই মিলবে নো-ডিউ সার্টিফিকেট। এই তথ্য একদিকে যেমন যারা প্রোমোটার তারা পাবেন, একইসঙ্গে সরবরাহ করা হবে রেজিস্ট্রি অফিসগুলিকে। যাতে কোন ক্রেতা ফ্ল্যাট কেনার আগে দেখে নিতে পারেন তার ফ্ল্যাটের উপরে বকেয়া কোন করের টাকা বোঝা হিসেবে চেপেছে কিনা।

আরও পড়ুন: ২২৪টি স্কুলে ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখাবে কলকাতা পুরসভা