২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোড়াসাঁকো কান্ডে ফের হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 78

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ সংক্রান্ত মামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায়  তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙার বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ কমিটি?

তা বিস্তারিত জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা জমা দিয়েছে এই মামলার সব পক্ষ। তবে  জমা দেওয়া সেই হলফনামা দেখে মোটেই সন্তুষ্ট নয় আদালত বলে সূত্রে প্রকাশ  বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার হলফনামা জমা দিল কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা পড়ে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট আদালত।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

পুরসভা, হেরিটেজ কমিটিকে ফের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

উল্লেখ্য , গত বছরই নভেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়ি অর্থাত্‍ মহর্ষী ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা, হেরিটেজ কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ।বর্তমানে জোড়াসাঁকোয় একটা অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরই একাংশে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট আগেই তৃণমূলের এই অফিস সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, হোর্ডিং খোলা হলেও দলীয় কর্মীদের আনাগোনা লেগেই আছে।এই মামলায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলফনামা আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। গত নভেম্বরের শুনানিতে হাইকোর্টে ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে কোথাও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?”

কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, পুরসভার হেরিটেজ দফতর ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না। ভেঙে ফেলা অংশের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও, গত দু’মাসে কলকাতা পুরসভার তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাতে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।ফের পুরসভা ও হেরিটেজ কমিটিকে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জোড়াসাঁকো কান্ডে ফের হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

আপডেট : ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা:  সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ সংক্রান্ত মামলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায়  তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙার বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ কমিটি?

তা বিস্তারিত জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই হলফনামা জমা দিয়েছে এই মামলার সব পক্ষ। তবে  জমা দেওয়া সেই হলফনামা দেখে মোটেই সন্তুষ্ট নয় আদালত বলে সূত্রে প্রকাশ  বেআইনি নির্মাণ মামলায় এবার হলফনামা জমা দিল কলকাতা পুরসভা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা পড়ে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, কলকাতা পুরসভার রিপোর্ট দেখে অসন্তুষ্ট আদালত।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

পুরসভা, হেরিটেজ কমিটিকে ফের রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

উল্লেখ্য , গত বছরই নভেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়ি অর্থাত্‍ মহর্ষী ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুরসভা, হেরিটেজ কমিটি কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে ।বর্তমানে জোড়াসাঁকোয় একটা অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও রয়েছে। কিন্তু এই ভবনেরই একাংশে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করা হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা। তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট আগেই তৃণমূলের এই অফিস সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায়, হোর্ডিং খোলা হলেও দলীয় কর্মীদের আনাগোনা লেগেই আছে।এই মামলায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হলফনামা আগেই জমা দেওয়া হয়েছিল। গত নভেম্বরের শুনানিতে হাইকোর্টে ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “হেরিটেজ বিল্ডিং না হলেও কি যে কেউ গিয়ে কোথাও পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে?”

কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়, পুরসভার হেরিটেজ দফতর ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণ খুঁজে পেয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ হেরিটেজ নির্মাণ ভেঙে ফেলা যায় না। ভেঙে ফেলা অংশের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন। বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও, গত দু’মাসে কলকাতা পুরসভার তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা হলফনামা আকারে জমা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাতে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট।ফের পুরসভা ও হেরিটেজ কমিটিকে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।