২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই এবার নোবেল দেওয়া উচিত, বললেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 128

ছবি: প্রীতম কোলে

 

 

আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রক নীতি করল রাজ্য পরিবহণ দফতর

 

আরও পড়ুন: ফের চালু হচ্ছে শিলিগুড়িগামী বাস পরিষেবা, উদ্বোধন করলেন পরিবহণমন্ত্রী

 

আরও পড়ুন: ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

 

 

 

 

আইভি আদক, হাওড়া: বিশ্বভারতীর উপাচার্য, যিনি বিজেপির নির্দেশে চলেন, উনি যেরকম ভাষায় অর্মত্য সেনের মতো একজন মানুষকে নিয়ে কথা বলছেন সেটা লজ্জার। অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাইজ নিয়ে উনি প্রশ্ন তুলছেন। আমার তো মনে হয় উনি যেভাবে নোবেল নিয়ে গবেষণা করছেন, ওনাকেই একটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। মঙ্গলবার হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেনের মতো মানুষ যাকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ গর্ব করেন, সারা ভারতবর্ষের যিনি গর্ব, তাঁকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অসম্মান করছেন। উপাচার্যকে অবশ্যই ওখান থেকে রিমুভ করে দেওয়া উচিত বা ওনার অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত।” এদিন রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “গোপাল বা তাপস এরপর নেপাল বা আরও অনেকের নাম আসবে। এরা কারা ? এরা হচ্ছে এডুকেশন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক একটা দালাল, এক একটা এজেন্ট। কুন্তল একটা সময় আমাদের পার্টির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আমাদের পার্টি পরিষ্কার করে দিয়েছে বিচার ব্যবস্থায় যদি কারও দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের পার্টি কারও পাশে দাঁড়াবে না সে যত বড় নেতাই হোক।” শহরের রাস্তায় যত্রতত্র অবৈধ টোটো চলাচল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “টোটো যত্রতত্র চলছে বলে অনেক অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা স্থির করেছি অবৈধ টোটো উৎপাদন সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। এক্ষেত্রে প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে এই অবৈধ টোটো সেন্টারগুলো প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। এবং অবৈধভাবে যাতে কেউ না গাড়ি বার করতে পারে। একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে টোটো চলাচল করবে এটাই আমরা চাইছি।” ট্রান্সপোর্টে দালাল চক্রের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “ট্রান্সপোর্ট নিয়ে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিগুলোকে এর আগে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা আসার পর অনলাইন চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ অনলাইন চালু করার। দালাল চক্র আগেও ছিল। ১০০ শতাংশ আমরা অনলাইন সিস্টেম চালু করতে চলেছি। এছাড়াও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স যাতে দেওয়া যায়, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাওড়া জেলায় সেই কাজ আমরা আজকে থেকে শুরু করলাম।” প্রসঙ্গত, এদিন নাগরিক কেন্দ্রিক পরিবহন পরিষেবার উদ্বোধন হয়

হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ডে। মঙ্গলবার সকালে এর শুভ সূচনা করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, বিধায়ক নির্মল মাজি, সীতানাথ ঘোষ, বিদেশ বসু, কল্যাণ ঘোষ. রানা চ্যাটার্জি . জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাবেরী দাস প্রমুখ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্বভারতীর উপাচার্যকেই এবার নোবেল দেওয়া উচিত, বললেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রক নীতি করল রাজ্য পরিবহণ দফতর

 

আরও পড়ুন: ফের চালু হচ্ছে শিলিগুড়িগামী বাস পরিষেবা, উদ্বোধন করলেন পরিবহণমন্ত্রী

 

আরও পড়ুন: ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

 

 

 

 

আইভি আদক, হাওড়া: বিশ্বভারতীর উপাচার্য, যিনি বিজেপির নির্দেশে চলেন, উনি যেরকম ভাষায় অর্মত্য সেনের মতো একজন মানুষকে নিয়ে কথা বলছেন সেটা লজ্জার। অমর্ত্য সেনের নোবেল প্রাইজ নিয়ে উনি প্রশ্ন তুলছেন। আমার তো মনে হয় উনি যেভাবে নোবেল নিয়ে গবেষণা করছেন, ওনাকেই একটা নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। মঙ্গলবার হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেনের মতো মানুষ যাকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ গর্ব করেন, সারা ভারতবর্ষের যিনি গর্ব, তাঁকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অসম্মান করছেন। উপাচার্যকে অবশ্যই ওখান থেকে রিমুভ করে দেওয়া উচিত বা ওনার অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত।” এদিন রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “গোপাল বা তাপস এরপর নেপাল বা আরও অনেকের নাম আসবে। এরা কারা ? এরা হচ্ছে এডুকেশন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক একটা দালাল, এক একটা এজেন্ট। কুন্তল একটা সময় আমাদের পার্টির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও আমাদের পার্টি পরিষ্কার করে দিয়েছে বিচার ব্যবস্থায় যদি কারও দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের পার্টি কারও পাশে দাঁড়াবে না সে যত বড় নেতাই হোক।” শহরের রাস্তায় যত্রতত্র অবৈধ টোটো চলাচল নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “টোটো যত্রতত্র চলছে বলে অনেক অভিযোগ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা স্থির করেছি অবৈধ টোটো উৎপাদন সেন্টারগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। এক্ষেত্রে প্রশাসনকেও নির্দেশ দেওয়া হবে যাতে এই অবৈধ টোটো সেন্টারগুলো প্রশাসন বন্ধ করে দেয়। এবং অবৈধভাবে যাতে কেউ না গাড়ি বার করতে পারে। একটা সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে টোটো চলাচল করবে এটাই আমরা চাইছি।” ট্রান্সপোর্টে দালাল চক্রের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “ট্রান্সপোর্ট নিয়ে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিগুলোকে এর আগে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আমরা আসার পর অনলাইন চালু করেছি। আমাদের লক্ষ্য ১০০ শতাংশ অনলাইন চালু করার। দালাল চক্র আগেও ছিল। ১০০ শতাংশ আমরা অনলাইন সিস্টেম চালু করতে চলেছি। এছাড়াও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স যাতে দেওয়া যায়, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাওড়া জেলায় সেই কাজ আমরা আজকে থেকে শুরু করলাম।” প্রসঙ্গত, এদিন নাগরিক কেন্দ্রিক পরিবহন পরিষেবার উদ্বোধন হয়

হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস স্ট্যান্ডে। মঙ্গলবার সকালে এর শুভ সূচনা করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, বিধায়ক নির্মল মাজি, সীতানাথ ঘোষ, বিদেশ বসু, কল্যাণ ঘোষ. রানা চ্যাটার্জি . জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাবেরী দাস প্রমুখ।