দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয় অর্থের বিনিময়ে এমনি অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে হিন্দি বাংলায় এক খোলা চিঠিতে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করলেন। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক মাতব্বরির বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মনোনয়নও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত নয়। আমি শুনেছি, যদিও আমি ঠিক প্রমাণ দিতে পারবো না। এইসব পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়ো রকমের টাকার কারবার চলে। ফলে এইভাবে কেউ যদি রাজনৈতিক নেতাদের বদান্যতায় নিয়োগ পায়, তাহলে সেই নতুন নিয়োজিত ব্যক্তি , হয় কথাটি হেসে উড়িয়ে দেবে, কিম্বা চাকরি কেনার খরচটা উসুল করার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্য ভাবে বলা যায়, এরফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সমস্যা বাড়তে থাকে। এই হচ্ছে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে অধ: পতনের অন্যতম প্রধান কারণ।
উপাচার্য নিজেই এইভাবে টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের কথা বলায়, শিক্ষা মহলে হুলুস্থুলু পড়ে যায়। এব্যপারে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, মাননীয় উপাচার্য মহাশয় কোথাও বলেন নি, আমি ছাড়া সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন। তার মানে তিনি নিজের দিকেও আঙুল তুলেছেন। আগে শুনেছিলাম, আচার্য মোদির বদান্যতায় তিনি উপাচার্য হয়েছেন। এখন তাঁর লিখিত খোলা চিঠি পড়ে নিশ্চিত হলাম।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, আমি এটা শুনেছি। হয়তো রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক থেকে গ্রুপ ডি পদেও অর্থের বিনিময়ে যে সমস্ত কথা উঠেছে, সেদিকেই কিছুটা ইঙ্গিত করে বিষয়টিকে সাধারণীকরণ করার চেষ্টা করেছেন। সেটা তো হয়। এমনকি মন্ত্রীও অর্থের বিনিময়ে হয়, আমি জানি। তবে উনি এক্ষেত্রে নিজেকে বাদ রেখেছেন। কেউ যখন ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন, তখন নিজেকে বাদ দিয়ে বলেন। তিনিও তাই করেছেন।