০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড জাপানে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 99

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে ১৮৯৯ সাল থেকে বাৎসরিক  জন্মহার ও মৃত্যুহার নথিভুক্ত করা শুরু হয়। মানে ১২৪ বছর ধরে জাপানে বছরে কত শিশু জন্মেছে এবং কতজন মানুষ মারা গেছেন সেটির হিসাব রাখা হয়।

আর সেই হিসাব রাখা শুরুর পর থেকে, গত বছর ২০২২ সালে সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্ম হওয়ার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে জাপানে জন্ম নিয়েছে ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৩৮ শিশু।

২০২১ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে জন্মহার হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দেশটিতে ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জন্মহার কম মানে, ভবিষ্যতে জাপানে কর্মক্ষম মানুষ এবং করদাতার সংখ্যা কমবে। এরমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিকে আগামীতে অনেক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।

বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছেন জাপানে। আর  এসব বয়স্ক মানুষদের সেবায় দেশটিকে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা বলেছেন, জন্মহার এখন এতই উদ্বেগজনক যে, আগামী কয়েক বছর পর হয়তো জনবলের অভাবে নিজের স্বাভাবিক কার্যক্রমই চালাতে পারবে না জাপান।

জাপানি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে অনাগ্রহ ও নারীদের সন্তান জন্মদানে অনিচ্ছার কারণে জনসংখ্যা কমেই চলছে। মাত্র ৪০ বছরের মধ্যে দেশটিতে জন্মহার প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ১৯৮২ সালেও দেশটিতে প্রায় ১৫ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তা ৮ লক্ষেরও নিচে নেমেছে। জাপান ছাড়াও এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশ চিনও একই সমস্যায় আছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড জাপানে

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে ১৮৯৯ সাল থেকে বাৎসরিক  জন্মহার ও মৃত্যুহার নথিভুক্ত করা শুরু হয়। মানে ১২৪ বছর ধরে জাপানে বছরে কত শিশু জন্মেছে এবং কতজন মানুষ মারা গেছেন সেটির হিসাব রাখা হয়।

আর সেই হিসাব রাখা শুরুর পর থেকে, গত বছর ২০২২ সালে সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্ম হওয়ার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালে জাপানে জন্ম নিয়েছে ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার ২৩৮ শিশু।

২০২১ সালের তুলনায় যা ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে জন্মহার হ্রাস পেলেও মৃত্যুহার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দেশটিতে ১০ লক্ষ ৫৮ হাজার মানুষ মারা গেছেন। জন্মহার কম মানে, ভবিষ্যতে জাপানে কর্মক্ষম মানুষ এবং করদাতার সংখ্যা কমবে। এরমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিকে আগামীতে অনেক সংকটের মুখোমুখি হতে হবে।

বিশ্বে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ রয়েছেন জাপানে। আর  এসব বয়স্ক মানুষদের সেবায় দেশটিকে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা বলেছেন, জন্মহার এখন এতই উদ্বেগজনক যে, আগামী কয়েক বছর পর হয়তো জনবলের অভাবে নিজের স্বাভাবিক কার্যক্রমই চালাতে পারবে না জাপান।

জাপানি তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে অনাগ্রহ ও নারীদের সন্তান জন্মদানে অনিচ্ছার কারণে জনসংখ্যা কমেই চলছে। মাত্র ৪০ বছরের মধ্যে দেশটিতে জন্মহার প্রায় অর্ধেক হয়েছে। ১৯৮২ সালেও দেশটিতে প্রায় ১৫ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এসে তা ৮ লক্ষেরও নিচে নেমেছে। জাপান ছাড়াও এশিয়ার সর্ববৃহৎ দেশ চিনও একই সমস্যায় আছে।