২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি জবকার্ড বাতিল হল বিহারে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 84

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ মে ডে। শ্রমিক দিবস। শ্রমিকদের জন্য তৈরি সেই জব কার্ড বাতিল হয়ে গেল বিহারে। তথ্য অনুসারে বাতিল হয়ে গেছে ১.২ কোটি জব কার্ড। এই জব কার্ডগুলি বিগত এক বছরে খোলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেইগুলিতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে জবকার্ডগুলি ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন  বিহারে গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রায়ন কুমার। অন্যদিকে এই সময়সীমার মধ্যে আবার সরকার নতুন ২৩.০৭ লক্ষ জব কার্ড দিয়েছে সরকার। এ কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বিহারের গ্রামোন্নয় দফতর সূত্রে খবর, এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬২৬ জব কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৯২৭টি জব কার্ড আর  সক্রিয় নেই। এরমধ্যে অনেক জব কার্ড ভুয়ো, অনেক জব কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক নেই, অনেক জব কার্ডের মালিক ইতিমধ্যেই আবার মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সে কারণে এই বিশাল অঙ্কের জব কার্ড বাতিল করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: চুরির দায়ে চার বালককে মারধর, হাতে দড়ি পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রাম

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম প্রথম শুরু হয় ২০০৫ সালে। গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার উন্নতি, সাধারণ মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতেই মূলত এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের হাত ধরে জব কার্ড হোল্ডারদের বছরে মূলত একশোদিনের কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, বর্তমানে বিহারে সবথেকে বেশি জবকার্ড বাতিল হয়েছে বৈশালীতে। সেখানে ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৫০টি জব কার্ড বাতিল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার পরে বেশি জব কার্ড বাতিল হয়েছে পাটনা, সমস্তিপুর, আরারিয়া, দ্বারভাঙা, ঔরঙ্গাবাদ, বেগুসরাইয়ে।

আরও পড়ুন: বিহারের পূর্ণিয়ায় ডাইনি অপবাদে পুড়িয়ে হত্যা, প্রাণ গেল এক পরিবারের ৫ সদস্যের

উল্লেখ্য, জব কার্ড হল ন্যাশনাল রুরাল এম্প্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (NREGA) এর অন্তর্গত। যদি পড়ে মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এম্প্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (MGNREGA) নামে নামাঙ্কিত করা হয়। এটি হল একটি ভারতীয় শ্রমিক আইন এবং সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অধিকারের পক্ষপাতী। ১০০ দিনের কাজ প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে একটি মৌলিক অধিকার। কাজের অধিকার আইনে যে কোন আগ্রহী ব্যক্তি কাজ করতে চাইলে সরকার তাঁকে কাজ দিতে বাধ্য থাকবে।

আরও পড়ুন: ‘ভোটবন্দি’! বিহার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্রমিকদের সুবিধার্থে তৈরি জবকার্ড বাতিল হল বিহারে

আপডেট : ১ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজ মে ডে। শ্রমিক দিবস। শ্রমিকদের জন্য তৈরি সেই জব কার্ড বাতিল হয়ে গেল বিহারে। তথ্য অনুসারে বাতিল হয়ে গেছে ১.২ কোটি জব কার্ড। এই জব কার্ডগুলি বিগত এক বছরে খোলা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সেইগুলিতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে জবকার্ডগুলি ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন  বিহারে গ্রমোন্নয়ন মন্ত্রী শ্রায়ন কুমার। অন্যদিকে এই সময়সীমার মধ্যে আবার সরকার নতুন ২৩.০৭ লক্ষ জব কার্ড দিয়েছে সরকার। এ কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বিহারের গ্রামোন্নয় দফতর সূত্রে খবর, এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬২৬ জব কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। তারমধ্যে এখনও পর্যন্ত, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৯২৭টি জব কার্ড আর  সক্রিয় নেই। এরমধ্যে অনেক জব কার্ড ভুয়ো, অনেক জব কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক নেই, অনেক জব কার্ডের মালিক ইতিমধ্যেই আবার মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সে কারণে এই বিশাল অঙ্কের জব কার্ড বাতিল করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: চুরির দায়ে চার বালককে মারধর, হাতে দড়ি পরিয়ে ঘোরানো হল গ্রাম

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম প্রথম শুরু হয় ২০০৫ সালে। গ্রামীণ অর্থব্যবস্থার উন্নতি, সাধারণ মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতেই মূলত এই প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পের হাত ধরে জব কার্ড হোল্ডারদের বছরে মূলত একশোদিনের কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। সূত্রের খবর, বর্তমানে বিহারে সবথেকে বেশি জবকার্ড বাতিল হয়েছে বৈশালীতে। সেখানে ৮ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৫০টি জব কার্ড বাতিল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার পরে বেশি জব কার্ড বাতিল হয়েছে পাটনা, সমস্তিপুর, আরারিয়া, দ্বারভাঙা, ঔরঙ্গাবাদ, বেগুসরাইয়ে।

আরও পড়ুন: বিহারের পূর্ণিয়ায় ডাইনি অপবাদে পুড়িয়ে হত্যা, প্রাণ গেল এক পরিবারের ৫ সদস্যের

উল্লেখ্য, জব কার্ড হল ন্যাশনাল রুরাল এম্প্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (NREGA) এর অন্তর্গত। যদি পড়ে মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এম্প্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (MGNREGA) নামে নামাঙ্কিত করা হয়। এটি হল একটি ভারতীয় শ্রমিক আইন এবং সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অধিকারের পক্ষপাতী। ১০০ দিনের কাজ প্রত্যেক ভারতীয়র কাছে একটি মৌলিক অধিকার। কাজের অধিকার আইনে যে কোন আগ্রহী ব্যক্তি কাজ করতে চাইলে সরকার তাঁকে কাজ দিতে বাধ্য থাকবে।

আরও পড়ুন: ‘ভোটবন্দি’! বিহার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের