২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্রাতিরিক্ত এসির ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কলকাতা ও শহরতলিতে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার
  • / 17

পুবের কলম প্রতিবেদক:  রাত্রে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ থাকছে না। সারা দিন পরিশ্রম করার পর রাতে শান্তিতে ঘুমোতেও পারছেন না সাধারণ মানুষ। যে ঘটনায় তিতিবিরক্ত কলকাতার বাসিন্দারা। কিন্তু এর সমাধান কীভাবে হবে? যার কোনও জবাব দিতে পারছেন না কোনও কর্তৃপক্ষই। সিইএসসি যুক্তি দিচ্ছেন অবিবেচকের মতো এসি চালাচ্ছেন বাসিন্দারা। যার জন্য বিদ্যুতের লোড টানা যাচ্ছে না। ফলে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। সিইএসসি বলছে অবিবেচকের মতো এসি চালালে কারেন্ট অফ তো হবেই।

 

আরও পড়ুন: প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

এই প্রবল গরমে বিদ্যুৎ থাকছে না কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। যে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায় গ্রাহকদের উপরেই চাপাচ্ছে সিইএসসি। অবিবেচকের মতো এসি ব্যবহার করার ফলে পরিকাঠামোর উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ছে। যে কারণ ওভারলোড হচ্ছে। তখন কারেন্ট অফ হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসি রোষের মুখে পড়ে এই সাফাই দিচ্ছে। সিইএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহর অপ্রত্যাশিত তাপপ্রবাহের সম্মুখীন। ১৬ জুন বিদ্যুতের সর্বকালীন রেকর্ড চাহিদা ২৬০৬ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায় আমজনতার উপর চাপিয়ে দিয়েছে সিইএসসি। তাঁদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এসি ব্যবহার করছেন মানুষ। কিন্তু তাঁরা সিইএসসিকে জানাননি। প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেননি। যার ফলে ট্রান্সফর্মারেরে উপর চাপ পড়ছে। বেশি চাপ পড়ায় তা বিকল হয়ে যাচ্ছে। তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।

 

এবারের মতো বিদ্যুত বিপর্যেয়র ছবি আগে দেখা যায়নি বলছেন বাসিন্দারা। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, মাঝ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ২-৩ ঘণ্টা করে থাকছে না। এরকমটা আগে হয়নি। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে জীবন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকে। যা নিয় মিমও তৈরি করা হচ্ছে। সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অফিসকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে একইসঙ্গে এসি ব্যবহার করলে বাসিন্দারা যেন তা জানিয়ে রাখেন সংশ্লিষ্ট অফিসে সেই আবেদনও করছেন তাঁরা। কারণ এখনও বেশিরভাগ মানুষ এসি ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে সিইএসসির যুক্তি সঠিক হলে কতিপয় মানুষের জন্য সবাই কেন ভুক্তভোগী হবেন সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাত্রাতিরিক্ত এসির ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কলকাতা ও শহরতলিতে

আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  রাত্রে লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ থাকছে না। সারা দিন পরিশ্রম করার পর রাতে শান্তিতে ঘুমোতেও পারছেন না সাধারণ মানুষ। যে ঘটনায় তিতিবিরক্ত কলকাতার বাসিন্দারা। কিন্তু এর সমাধান কীভাবে হবে? যার কোনও জবাব দিতে পারছেন না কোনও কর্তৃপক্ষই। সিইএসসি যুক্তি দিচ্ছেন অবিবেচকের মতো এসি চালাচ্ছেন বাসিন্দারা। যার জন্য বিদ্যুতের লোড টানা যাচ্ছে না। ফলে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। সিইএসসি বলছে অবিবেচকের মতো এসি চালালে কারেন্ট অফ তো হবেই।

 

আরও পড়ুন: প্রবল গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট

এই প্রবল গরমে বিদ্যুৎ থাকছে না কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। যে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায় গ্রাহকদের উপরেই চাপাচ্ছে সিইএসসি। অবিবেচকের মতো এসি ব্যবহার করার ফলে পরিকাঠামোর উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ছে। যে কারণ ওভারলোড হচ্ছে। তখন কারেন্ট অফ হয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসি রোষের মুখে পড়ে এই সাফাই দিচ্ছে। সিইএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহর অপ্রত্যাশিত তাপপ্রবাহের সম্মুখীন। ১৬ জুন বিদ্যুতের সর্বকালীন রেকর্ড চাহিদা ২৬০৬ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়েছে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের দায় আমজনতার উপর চাপিয়ে দিয়েছে সিইএসসি। তাঁদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, এসি ব্যবহার করছেন মানুষ। কিন্তু তাঁরা সিইএসসিকে জানাননি। প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেননি। যার ফলে ট্রান্সফর্মারেরে উপর চাপ পড়ছে। বেশি চাপ পড়ায় তা বিকল হয়ে যাচ্ছে। তখন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।

 

এবারের মতো বিদ্যুত বিপর্যেয়র ছবি আগে দেখা যায়নি বলছেন বাসিন্দারা। শহরের এক বাসিন্দা বলেন, মাঝ রাতে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ২-৩ ঘণ্টা করে থাকছে না। এরকমটা আগে হয়নি। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে জীবন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকে। যা নিয় মিমও তৈরি করা হচ্ছে। সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অফিসকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে একইসঙ্গে এসি ব্যবহার করলে বাসিন্দারা যেন তা জানিয়ে রাখেন সংশ্লিষ্ট অফিসে সেই আবেদনও করছেন তাঁরা। কারণ এখনও বেশিরভাগ মানুষ এসি ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে সিইএসসির যুক্তি সঠিক হলে কতিপয় মানুষের জন্য সবাই কেন ভুক্তভোগী হবেন সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।