মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভাঙার দায়ে আদানি সংস্থা ফের তদন্তের জালে

- আপডেট : ৪ জুন ২০২৫, বুধবার
- / 139
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের আমেরিকার বিচার মন্ত্রকের কুনজরে পড়েছে গত ১০ বছরে জিরো থেকে হিরো হওয়া গুজরাতি ধনকুবের গৌতম আদানির সংস্থা। এবার আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে আমেরিকার অভিযোগ, ওই সংস্থা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান থেকে এলপিজি এনেছে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দর দিয়ে।
আমেরিকার বিচার মন্ত্রকের খবর, বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কার ভর্তি এলপিজি ইরান থেকে এসেছে মুন্দ্রা বন্দরে। ইরানকে টাইট দিতে আমেরিকা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে যে, কোনও দেশ ইরান থেকে কোনও পণ্য আমদানি করতে পারবে না।
যে কারণে ভারত ইরানের চাবাহার বন্দর যৌথভাবে উন্নয়ন করে পণ্য লেনদেনের সব আয়োজন করেও আমেরিকার ভয়ে চুপ করে বসে রয়েছে। আমেরিকার সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাকি আদানির সংস্থা এলপিজি আনছে। আদানি যে তাঁর সমস্ত কাজের ভরকেন্দ্র হিসেবে মুন্দ্রা বন্দরকে বেছে নিয়েছেন, এ কথা মোটামুটি সকলেই জানেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আদানির সংস্থার এই কাজে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ট্রাম্প প্রশাসন। এমনিতেই গত বছর সৌরশক্তির বরাত পেতে আমেরিকার বেশ কয়েকজন শিল্পপতিকে গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো ঘুস দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘুস দেওয়া নেওয়া আমাদের দেশে জলভাত হলেও আমেরিকার মতো অনেক দেশেই গর্হিত অপরাধ।
সেবার সেই অভিযোগ ওঠার পরই আদানির সংস্থার মুখপাত্র তা অস্বীকার করলেও ঘটনা হল, এখনও এই নিয়ে তদন্ত চলছে। পরিণামে আমেরিকার আদালত আদানির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারে। এর উপর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ উঠল।
এবারও আদানির সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়া আমাদের সংস্থার বিরুদ্ধে আমেরিকার বিচার মন্ত্রক তদন্ত করছে, এমন কোনও খবর আমরা জানিই না। কিন্তু আদানির মুখপাত্র যতই অস্বীকার করুন, তদন্ত যে চলছে তা নিশ্চিত। আদানি তাঁর বন্দরের ব্যাবসা বাড়াতে বিদেশে ডিবেঞ্চার বিক্রি করে অর্থ তোলার যে পরিকল্পনা করেছে তাও এর ফলে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কারণ আমেরিকার কুনজরে পড়লে বিদেশে ডিবেঞ্চার বিক্রি করে অর্থ তোলার আশা দুরাশায় পরিণত হবে, তা বিলক্ষণ জানে আদানিও।