০৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফ্রিদি ঝড়ে বাংলাদেশকে উড়িয়ে শেষ চারে পাকিস্তান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 36

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে রবিবারের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখন নেদারল্যান্ডস হারায়, তখনই পাকিস্তানের কাছে সুযোগ চলে আসে সেমিতে ওঠার। সেক্ষেত্রে শর্ত, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেতে হবে তাদের। আর ঠিক সেটাই হল। অ্যাডিলেডে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল বাবর আজম ব্রিগেড। এই ম্যাচেও আম্পায়ারিং নিয় প্রশ্ন উঠে গেল। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে চলে গেল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। সিডনিতে এই ম্যাচ বুধবার।

 

আরও পড়ুন: এবার থেকে মুক্তিযোদ্ধা নন শেখ মুজিব, সহযোগী শক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহিন আফ্রিদির দাপটে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে মাত্র ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: নতুন নোটে বাদ পড়ল বঙ্গবন্ধুর ছবি

এ দিন দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের ওপেনার নাজমুল হোসেন। ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। নাজমুলের ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার। এ দিন অবশ্য ব্যর্থ হন লিটন দাস (১০)। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। এ দিকে শাদাবের বলে শাকিব আল হাসানের (০) এলবিডব্লু নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। শাদাবের স্লো-ফুলটস শাকিবের ব্যাটে লাগার পরে, পায়ে লেগে চলে যায়। শাদাবের আবেদনে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কালবিলম্ব না করে শাকিব রিভিউ নেন। ডিআরএসে দেখা যায়, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ভিন্নমত পোষণ করে শাকিবকে আউট দিয়ে দেন। বাংলাদেশ ইনিংসে ধস নামান আফ্রিদি। তিনি ২২ রানে চার উইকেট দখল করেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন শাদাব খান। হ্যারিস রউফ ও ইফতিকার আহমেদ একটিন করে সফলতা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার শুরু : জারি গ্রেফতারি পরওয়ানা

জয়ের রান তুলতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। ধীরেসুস্থে শুরু করেন দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও রিজওয়ান। পাক অধিনায়কের সংগ্রহ ২৫। রিজওয়ান ৩২ বলে ৩২ রান করেন। মুহাম্মদ হ্যারিস ১৮ বলে ৩১ রানে আউট হন। শান মাসুদ ১৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন আহমেদ এ দিন কোনও উইকেট পাননি। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে সফলতা পেয়েছেন শাকিব, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর এবং এবাদত হোসেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আফ্রিদি ঝড়ে বাংলাদেশকে উড়িয়ে শেষ চারে পাকিস্তান

আপডেট : ৬ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপে রবিবারের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যখন নেদারল্যান্ডস হারায়, তখনই পাকিস্তানের কাছে সুযোগ চলে আসে সেমিতে ওঠার। সেক্ষেত্রে শর্ত, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেতে হবে তাদের। আর ঠিক সেটাই হল। অ্যাডিলেডে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল বাবর আজম ব্রিগেড। এই ম্যাচেও আম্পায়ারিং নিয় প্রশ্ন উঠে গেল। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে চলে গেল পাকিস্তান। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। সিডনিতে এই ম্যাচ বুধবার।

 

আরও পড়ুন: এবার থেকে মুক্তিযোদ্ধা নন শেখ মুজিব, সহযোগী শক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শাহিন আফ্রিদির দাপটে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে মাত্র ১২৭ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: নতুন নোটে বাদ পড়ল বঙ্গবন্ধুর ছবি

এ দিন দারুণ শুরু করেন বাংলাদেশের ওপেনার নাজমুল হোসেন। ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। নাজমুলের ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার। এ দিন অবশ্য ব্যর্থ হন লিটন দাস (১০)। ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। এ দিকে শাদাবের বলে শাকিব আল হাসানের (০) এলবিডব্লু নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। শাদাবের স্লো-ফুলটস শাকিবের ব্যাটে লাগার পরে, পায়ে লেগে চলে যায়। শাদাবের আবেদনে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার। কালবিলম্ব না করে শাকিব রিভিউ নেন। ডিআরএসে দেখা যায়, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ভিন্নমত পোষণ করে শাকিবকে আউট দিয়ে দেন। বাংলাদেশ ইনিংসে ধস নামান আফ্রিদি। তিনি ২২ রানে চার উইকেট দখল করেন। দুটি উইকেট পেয়েছেন শাদাব খান। হ্যারিস রউফ ও ইফতিকার আহমেদ একটিন করে সফলতা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার শুরু : জারি গ্রেফতারি পরওয়ানা

জয়ের রান তুলতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে। ধীরেসুস্থে শুরু করেন দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও রিজওয়ান। পাক অধিনায়কের সংগ্রহ ২৫। রিজওয়ান ৩২ বলে ৩২ রান করেন। মুহাম্মদ হ্যারিস ১৮ বলে ৩১ রানে আউট হন। শান মাসুদ ১৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন আহমেদ এ দিন কোনও উইকেট পাননি। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে সফলতা পেয়েছেন শাকিব, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর এবং এবাদত হোসেন।