০৮ জুন ২০২৫, রবিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের বিকাশে গঙ্গাসাগরে কৃষি অভিযান

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 39

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: শনিবার গঙ্গাসাগরের তিন হাজারের ও বেশি কৃষক একত্রিত হলেন বিকশিত কৃষি বিকল্প অভিযানে সাগর দ্বীপের রুদ্রনগর, গোবিন্দপুর, কমলপুর, কৃষ্ণনগরে।

গ্রামীণ উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক কৃষিচর্চা, সচেতনতা এবং কৃষককেন্দ্রিক আলোচনার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই জাতীয় কর্মসূচি সংগঠিত করল আইসিএআর, সিআইএফআরআই যৌথভাবে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাগর-কৃষ্ণনগর স্বামী বিবেকানন্দ ইয়ুথ কালচার সোসাইটির সঙ্গে।

আরও পড়ুন: আজ ঈদ-উল-আযহা, নজরদারি ও বিশেষ বার্তা পুলিশ-প্রশাসনের

এদিনের অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় সাগর দ্বীপের কৃষি পরিকল্পনা, পান ও তুলো চাষ, মাটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষের উন্নয়ন।এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও মৎস্য চাষ সমন্বিত মাছ চাষ পদ্ধতি, মাটি-জল সংযোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক অধিবেশন।

আরও পড়ুন: ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করল সুন্দরবন পুলিশ

সুন্দরবনের ভঙ্গুর ও পরিবর্তনশীল পরিবেশকে মাথায় রেখে উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয় এদিন। মৌসুমি কৃষি, অভিযোজিত মৎস্যচাষ এবং সমন্বিত কৃষি পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা হয় যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রম বর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক।

আরও পড়ুন: মগরাহাট স্টেশনে আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

এর পাশাপাশি একটি মতবিনিময় পর্বে মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা তাঁদের স্থানীয় জ্ঞান, বাস্তব সমস্যা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত বিজ্ঞানীরা তাঁদের পরামর্শ দেন। এতে এক আন্তরিক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয় যা গবেষক ও কৃষক সমাজের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাকে জোরদার করে।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, ড. জে. কে. জেনা, উপ-মহানির্দেশক (মৎস্য), আইসিএআর; ড. বি. কে. দাস, পরিচালক,আইসিএআর সিফরি, ব্যারাকপুর; নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. দীপক কুমার রায়, কৃষি বিশেষজ্ঞ সোমনাথ সরদারএবং সিফরির অন্যান্য গবেষকবৃন্দ, যাঁরা কারিগরি পরামর্শ এবং উৎসাহ প্রদান করেন।

এই কর্মসূচি গ্রামীণ সুন্দরবনে আত্মনির্ভরশীল ও পরিবেশ সচেতন জীবিকাব্যবস্থা গড়ে তোলার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয় এদিন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কৃষকদের বিকাশে গঙ্গাসাগরে কৃষি অভিযান

আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: শনিবার গঙ্গাসাগরের তিন হাজারের ও বেশি কৃষক একত্রিত হলেন বিকশিত কৃষি বিকল্প অভিযানে সাগর দ্বীপের রুদ্রনগর, গোবিন্দপুর, কমলপুর, কৃষ্ণনগরে।

গ্রামীণ উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক কৃষিচর্চা, সচেতনতা এবং কৃষককেন্দ্রিক আলোচনার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই জাতীয় কর্মসূচি সংগঠিত করল আইসিএআর, সিআইএফআরআই যৌথভাবে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং সাগর-কৃষ্ণনগর স্বামী বিবেকানন্দ ইয়ুথ কালচার সোসাইটির সঙ্গে।

আরও পড়ুন: আজ ঈদ-উল-আযহা, নজরদারি ও বিশেষ বার্তা পুলিশ-প্রশাসনের

এদিনের অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় সাগর দ্বীপের কৃষি পরিকল্পনা, পান ও তুলো চাষ, মাটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষের উন্নয়ন।এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও মৎস্য চাষ সমন্বিত মাছ চাষ পদ্ধতি, মাটি-জল সংযোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক অধিবেশন।

আরও পড়ুন: ১২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করল সুন্দরবন পুলিশ

সুন্দরবনের ভঙ্গুর ও পরিবর্তনশীল পরিবেশকে মাথায় রেখে উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয় এদিন। মৌসুমি কৃষি, অভিযোজিত মৎস্যচাষ এবং সমন্বিত কৃষি পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা হয় যা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রম বর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক।

আরও পড়ুন: মগরাহাট স্টেশনে আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

এর পাশাপাশি একটি মতবিনিময় পর্বে মৎস্যজীবী ও কৃষকেরা তাঁদের স্থানীয় জ্ঞান, বাস্তব সমস্যা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং উপস্থিত বিজ্ঞানীরা তাঁদের পরামর্শ দেন। এতে এক আন্তরিক ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি হয় যা গবেষক ও কৃষক সমাজের মধ্যে পারস্পরিক আস্থাকে জোরদার করে।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, ড. জে. কে. জেনা, উপ-মহানির্দেশক (মৎস্য), আইসিএআর; ড. বি. কে. দাস, পরিচালক,আইসিএআর সিফরি, ব্যারাকপুর; নিমপীঠ রামকৃষ্ণ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. দীপক কুমার রায়, কৃষি বিশেষজ্ঞ সোমনাথ সরদারএবং সিফরির অন্যান্য গবেষকবৃন্দ, যাঁরা কারিগরি পরামর্শ এবং উৎসাহ প্রদান করেন।

এই কর্মসূচি গ্রামীণ সুন্দরবনে আত্মনির্ভরশীল ও পরিবেশ সচেতন জীবিকাব্যবস্থা গড়ে তোলার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয় এদিন।