১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

SIR-এর বিরুদ্ধে সরব অমর্ত্য সেন

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
  • / 145

পুবের কলম ওয়েবডেস্কবাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এ বার এই নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলায় কথা বললে নাকি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফরাসি জানি না। তাহলে হয়তো ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আমাকে বাংলাদেশে পাঠালে আমার আপত্তি নেই। কারণ ঢাকাতে আমার বাড়ি ছিল।’ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।

আরও পড়ুন: ভোটার ম্যাপিং হয়েছে মাত্র সাত জেলায়, পিছল এসআইআর বৈঠকের দিন

অমর্ত্য সেন বলেন, “বাংলায় কথা বললেই নাকি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমি ফরাসি জানি না। তাহলে কি আমাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হবে?” তাঁর এই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য কেবলমাত্র রাজনৈতিক ইঙ্গিত নয়, বরং পরিচয় সংকট এবং ভাষার ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টির প্রবণতাকেও সামনে নিয়ে এল। তিনি আরও বলেন, “আমাকে বাংলাদেশে পাঠানো হলে আমার আপত্তি নেই। কারণ ঢাকাতেই আমার বাড়ি ছিল।” তাঁর শৈশব এবং পারিবারিক শিকড় বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকায় এই মন্তব্য স্বাভাবিক হলেও, প্রেক্ষিত রাজনৈতিক হওয়ায় তা নতুন মাত্রা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শেষ হতে পারে এসআইআর প্রস্তুতি, বিহারে ভোট নভেম্বরেই

অর্থনীতির পাশাপাশি অমর্ত্য সেন সবসময় মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায় এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে স্পষ্টভাষী। তাঁর মতে, গণতন্ত্র কেবল ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভাষা, সংস্কৃতি এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। সেই জায়গা থেকেই তিনি ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াকেও (SIR) প্রশ্নের মুখে তুলেছেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বহু প্রকৃত ভোটার হয়রানির শিকার হবেন কি না, সেই আশঙ্কা থেকেই তাঁর সরব হওয়া।

আরও পড়ুন: ১লা সেপ্টেম্বরের পরেও খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানোর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তিনি এই প্রবণতাকে শুধু রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং সামাজিক বিভাজনের জন্যও দায়ী করছেন। ভাষা কোনো রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে আটকে রাখা যায় না—এ কথা তিনি বহুবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে বলেছেন। বাংলা ভাষা আজ বিশ্বজোড়া মানুষের, কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অথচ রাজনৈতিক লাভের জন্য এই ভাষাভাষীদের বারবার ‘বিদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

SIR-এর বিরুদ্ধে সরব অমর্ত্য সেন

আপডেট : ২২ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কবাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এ বার এই নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলায় কথা বললে নাকি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফরাসি জানি না। তাহলে হয়তো ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। আমাকে বাংলাদেশে পাঠালে আমার আপত্তি নেই। কারণ ঢাকাতে আমার বাড়ি ছিল।’ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।

আরও পড়ুন: ভোটার ম্যাপিং হয়েছে মাত্র সাত জেলায়, পিছল এসআইআর বৈঠকের দিন

অমর্ত্য সেন বলেন, “বাংলায় কথা বললেই নাকি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আমি ফরাসি জানি না। তাহলে কি আমাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হবে?” তাঁর এই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য কেবলমাত্র রাজনৈতিক ইঙ্গিত নয়, বরং পরিচয় সংকট এবং ভাষার ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টির প্রবণতাকেও সামনে নিয়ে এল। তিনি আরও বলেন, “আমাকে বাংলাদেশে পাঠানো হলে আমার আপত্তি নেই। কারণ ঢাকাতেই আমার বাড়ি ছিল।” তাঁর শৈশব এবং পারিবারিক শিকড় বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকায় এই মন্তব্য স্বাভাবিক হলেও, প্রেক্ষিত রাজনৈতিক হওয়ায় তা নতুন মাত্রা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শেষ হতে পারে এসআইআর প্রস্তুতি, বিহারে ভোট নভেম্বরেই

অর্থনীতির পাশাপাশি অমর্ত্য সেন সবসময় মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায় এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে স্পষ্টভাষী। তাঁর মতে, গণতন্ত্র কেবল ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভাষা, সংস্কৃতি এবং স্বাধীন মতপ্রকাশ গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। সেই জায়গা থেকেই তিনি ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়াকেও (SIR) প্রশ্নের মুখে তুলেছেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বহু প্রকৃত ভোটার হয়রানির শিকার হবেন কি না, সেই আশঙ্কা থেকেই তাঁর সরব হওয়া।

আরও পড়ুন: ১লা সেপ্টেম্বরের পরেও খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানোর সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তিনি এই প্রবণতাকে শুধু রাজনৈতিক কৌশল নয়, বরং সামাজিক বিভাজনের জন্যও দায়ী করছেন। ভাষা কোনো রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে আটকে রাখা যায় না—এ কথা তিনি বহুবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে বলেছেন। বাংলা ভাষা আজ বিশ্বজোড়া মানুষের, কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অথচ রাজনৈতিক লাভের জন্য এই ভাষাভাষীদের বারবার ‘বিদেশি’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নিঃসন্দেহে চিন্তার বিষয়।