০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনিদের কথা ভেবে ইসলাম গ্রহণ আমেরিকার মানবাধিকার কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার
  • / 73

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিরা। ৩১ হাজার নীরিহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল আফ্রিকান–আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ও লেখক শন কিং কে। ইহুদিদের এত নির্যাতন সহ্য করে, ধ্বংসস্তুপের নিচে পরিজনদের লাশ দেখেও আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখছেন ফিলিস্তিনিরা। সুদিন আসবে ভেবে বুক বাঁধছেন তারা। ফিলিস্তিনিদের এই মনোবল দেখে আর তাদের পাশে দাঁড়াতে ইসলাম গ্রহণ করলেন শন কিং। তাঁর সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তাঁর স্ত্রী রাই ও।

গত ১১ মার্চ  টেক্সাসের একটি মসজিদে ড. ওমর সুলেইমানের সামনে ইসলাম গ্রহণ করেছেন শন ও তাঁর স্ত্রী। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ইংরেজি ও আরবিতে কলমা পড়তে দেখা গেছে স্বামী ও স্ত্রীকে। শনের পরণে ছিল ফিলিস্তিনিদের পোশাক। আর হিজাব পরেছিলেন স্ত্রী রাই।

আরও পড়ুন: ৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি

ভ্যালি রাঞ্চ ইসলামিক সেন্টারের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়োতে শনকে বলতে শোনা গেছে, গত ৬ মাস ধরে গাজার নীরিহ মানুষদের এভাবে মরতে না দেখলে হয়তো আমার ইসলাম গ্রহণ করা হত না।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

তিনি বলেন, আমি অবাক হয়ে যায় ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস দেখে। গোটা মহাবিশ্বে এখন সবথেকে বেশি বিপদে রয়েছে গাজা। সেখানকার মানুষ যেদিকেই তাকান শুধু ধ্বংসস্তুপ দেখেন। আর পরিজনদের চাপা পড়া লাশ। তারপরও বেঁচে থাকের উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত আটলান্টার একটি চার্চে পাদ্রী ছিলেন শন কিং। এরপর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন শুরু হলে, তিনি প্রতিবাদে সরব হন। তারপর থেকেই চর্চিত হয়েছে তাঁর নাম।

আরও পড়ুন: ‘ফিলিস্তিনিদের সহায়তাই ইসলামি বিশ্বের প্রধান কৌশল হওয়া উচিত’

ইসলাম গ্রহণের পর রোজাও রাখছেন এই দম্পতি। আগেই ইহুদিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফিলিস্তিনিদের কথা ভেবে ইসলাম গ্রহণ আমেরিকার মানবাধিকার কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিরা। ৩১ হাজার নীরিহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল আফ্রিকান–আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী ও লেখক শন কিং কে। ইহুদিদের এত নির্যাতন সহ্য করে, ধ্বংসস্তুপের নিচে পরিজনদের লাশ দেখেও আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখছেন ফিলিস্তিনিরা। সুদিন আসবে ভেবে বুক বাঁধছেন তারা। ফিলিস্তিনিদের এই মনোবল দেখে আর তাদের পাশে দাঁড়াতে ইসলাম গ্রহণ করলেন শন কিং। তাঁর সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তাঁর স্ত্রী রাই ও।

গত ১১ মার্চ  টেক্সাসের একটি মসজিদে ড. ওমর সুলেইমানের সামনে ইসলাম গ্রহণ করেছেন শন ও তাঁর স্ত্রী। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ইংরেজি ও আরবিতে কলমা পড়তে দেখা গেছে স্বামী ও স্ত্রীকে। শনের পরণে ছিল ফিলিস্তিনিদের পোশাক। আর হিজাব পরেছিলেন স্ত্রী রাই।

আরও পড়ুন: ৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি

ভ্যালি রাঞ্চ ইসলামিক সেন্টারের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়োতে শনকে বলতে শোনা গেছে, গত ৬ মাস ধরে গাজার নীরিহ মানুষদের এভাবে মরতে না দেখলে হয়তো আমার ইসলাম গ্রহণ করা হত না।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

তিনি বলেন, আমি অবাক হয়ে যায় ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাস দেখে। গোটা মহাবিশ্বে এখন সবথেকে বেশি বিপদে রয়েছে গাজা। সেখানকার মানুষ যেদিকেই তাকান শুধু ধ্বংসস্তুপ দেখেন। আর পরিজনদের চাপা পড়া লাশ। তারপরও বেঁচে থাকের উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত আটলান্টার একটি চার্চে পাদ্রী ছিলেন শন কিং। এরপর ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন শুরু হলে, তিনি প্রতিবাদে সরব হন। তারপর থেকেই চর্চিত হয়েছে তাঁর নাম।

আরও পড়ুন: ‘ফিলিস্তিনিদের সহায়তাই ইসলামি বিশ্বের প্রধান কৌশল হওয়া উচিত’

ইসলাম গ্রহণের পর রোজাও রাখছেন এই দম্পতি। আগেই ইহুদিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি।