০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানের হামলার ভয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরাচ্ছে আমেরিকা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 240

ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা; এই তথ্য জানিয়েছেন দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি মূলত মার্কিন বাহিনীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আবার কখনও মন্তব্য করছেন যে তিনি এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।’ তবে ব্লুমবার্গ নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্র অনুযায়ী, এই হামলা আসন্ন সপ্তাহান্তেই হতে পারে, যদিও এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা ‘হাস্যকর’, তীব্র সমালোচনায় ট্রাম্প

ইসরাইল গত শুক্রবার থেকে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের দাবি, ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। যদিও দখলদার ইসরাইল ও তাদের ছায়া সঙ্গী আমেরিকার দাবি উড়িয়ে দিয়ে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি নিশ্চিত করেছেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে;এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসে পাস হল ট্রাম্পের স্বপ্নের ‘বিগ বিউটিফুল ‘ বিল

এ দিকে, কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ এয়ারবেস, যা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, সেখানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে নাগরিকদের এবং দূতাবাসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কতা বার্তা জারি করে বলা হয়েছে যে, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেন সবাই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করেন।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব যুদ্ধবিমান শক্ত কংক্রিট শেল্টারে ছিল না, সেগুলো আল-উদেইদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের ঘাঁটি থেকেও কিছু নৌযান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ‘ফোর্স প্রটেকশন’ বা সেনাদের সুরক্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া একটি স্বাভাবিক কৌশল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া, একটি বিমানবাহী রণতরী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইরান ইতিমধ্যেই আমেরিকাকে সতর্ক করে জানিয়েছে, যদি তারা ইসরাইলের সামরিক অভিযানে সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তাহলে ইরান জোরালোভাবে তার জবাব দেবে। বুধবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত এই বার্তা ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরানের হামলার ভয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরাচ্ছে আমেরিকা

আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার

ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা; এই তথ্য জানিয়েছেন দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা। তারা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি মূলত মার্কিন বাহিনীকে সুরক্ষিত রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আবার কখনও মন্তব্য করছেন যে তিনি এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি করতেও পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।’ তবে ব্লুমবার্গ নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সূত্র অনুযায়ী, এই হামলা আসন্ন সপ্তাহান্তেই হতে পারে, যদিও এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা ‘হাস্যকর’, তীব্র সমালোচনায় ট্রাম্প

ইসরাইল গত শুক্রবার থেকে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় বিমান হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের দাবি, ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। যদিও দখলদার ইসরাইল ও তাদের ছায়া সঙ্গী আমেরিকার দাবি উড়িয়ে দিয়ে, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি নিশ্চিত করেছেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে;এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: ট্রাম্প-পুতিন টেলিফোনিক কথোপকথনের পরই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

 

আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসে পাস হল ট্রাম্পের স্বপ্নের ‘বিগ বিউটিফুল ‘ বিল

এ দিকে, কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ এয়ারবেস, যা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, সেখানেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে নাগরিকদের এবং দূতাবাসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কতা বার্তা জারি করে বলা হয়েছে যে, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেন সবাই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করেন।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেসব যুদ্ধবিমান শক্ত কংক্রিট শেল্টারে ছিল না, সেগুলো আল-উদেইদ ঘাঁটি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাহরাইনে অবস্থিত মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের ঘাঁটি থেকেও কিছু নৌযান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ‘ফোর্স প্রটেকশন’ বা সেনাদের সুরক্ষার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া একটি স্বাভাবিক কৌশল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া, একটি বিমানবাহী রণতরী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইরান ইতিমধ্যেই আমেরিকাকে সতর্ক করে জানিয়েছে, যদি তারা ইসরাইলের সামরিক অভিযানে সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তাহলে ইরান জোরালোভাবে তার জবাব দেবে। বুধবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত এই বার্তা ওয়াশিংটন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।