২৪ মে ২০২৫, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করবই

WAQF BILL: চন্দ্রবাবু নায়ডুর প্রতিশ্রুতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শরিক ‘এনডিএ’,

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
  • / 335

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের শেষ পর্বে  অর্থাৎ ঈদের পর সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার বিরোধিতায় মুখর দেশের সমস্ত মুসলিম সংগঠনগুলি।

 

শুধু তাই নয়, লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে সমাজের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ ঘটাতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা সমাজে ভুল ভাবে তুলে ধরতেই ওই বিল আনতে চলেছে সরকার।

 

এই আবহে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন এনডিএর  শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। রমযান উপলক্ষে একটি ইফতার মজলিসে গিয়েছিলেন তিনি । সেখানেই টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু জানান, তেলুগু দেশম পার্টি বরাবর ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করে এসেছে। আগামী দিনেও সেটা করবে।

তাঁর দাবি, আগের সরকারের নির্দেশে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আমরা সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেছি।

 

সংখ্যালঘুদের প্রতি সুবিচার হয়েছে। বলা বাহুল্য,
নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলে যে এনডিএ’র শরিক দলগুলির বিশেষ সায় নেই, তা নিয়ে গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। এবার প্রকাশ্যেই সেই গুঞ্জনে সিলমোহর চন্দ্রবাবু নায়ডু। আর তার এই অবস্থানে ওয়াকফ বিল নিয়ে এনডিএ-র অন্দরে সংশয়ের যে পরিবেশ তৈরি করবে তা বলার অবকাশ রাখে না।

এদিন  বিজয়ওয়াড়ায় সরকারি ইফতার পার্টি থেকে নায়ডু  ইমামদের ভাতা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণাও করেছেন । আগে অন্ধ্রে ইমামরা মাসিক ৫ হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পেতেন।

গত বাদল অধিবেশনে ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ করে সরকার। বিল পেশ করেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা। এ বারে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই জেপিসি বিলটি লোকসভায় জমা দেয়।

 

সরকারের একটি অংশ ঈদের পরে বিলটি লোকসভায় পেশ করতে চায়। কারণ সরকার ভাল করেই জানে, বিলটি পেশ হওয়া মাত্র পথে নামবেন সংখ্যালঘুদের একাংশ। তাই ঈদ কেটে যাওয়ার পরে অধিবেশন শেষ হতে হাতে যে তিন-চার দিন মিলবে, তার মধ্যে বিলটি পেশ করে তা পাশ করিয়ে নিতে চায় সরকার।

সরকারের অন্য অংশের যুক্তি, ওই বিল ঘিরে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। তাই দেরি না করে বিলটি আনা উচিত। আর কেন্দ্র ওই বিলটি পাশ করিয়ে আইন করতে চায়। সেক্ষেত্রে টিডিপির সমর্থন প্রয়োজন।

 

কিন্তু নায়ডুর যা সুর, তাতে তিনি শেষপর্যন্ত আদৌ ওই বিলকে সমর্থন করবেন কিনা, সংশয় রইল। অন্যদিকে বিজেপির অন্য অংশের মতে, ঈদের আগে বিল আনা হলে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদের তীব্রতা অনেকটা বাড়বে। যা বিহার, অসম বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে সাহায্য করবে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করবই

WAQF BILL: চন্দ্রবাবু নায়ডুর প্রতিশ্রুতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শরিক ‘এনডিএ’,

আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের শেষ পর্বে  অর্থাৎ ঈদের পর সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার বিরোধিতায় মুখর দেশের সমস্ত মুসলিম সংগঠনগুলি।

 

শুধু তাই নয়, লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে সমাজের বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ ঘটাতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভূমিকা সমাজে ভুল ভাবে তুলে ধরতেই ওই বিল আনতে চলেছে সরকার।

 

এই আবহে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন এনডিএর  শরিক দলের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। রমযান উপলক্ষে একটি ইফতার মজলিসে গিয়েছিলেন তিনি । সেখানেই টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু জানান, তেলুগু দেশম পার্টি বরাবর ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষা করে এসেছে। আগামী দিনেও সেটা করবে।

তাঁর দাবি, আগের সরকারের নির্দেশে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। আমরা সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করেছি।

 

সংখ্যালঘুদের প্রতি সুবিচার হয়েছে। বলা বাহুল্য,
নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ বিলে যে এনডিএ’র শরিক দলগুলির বিশেষ সায় নেই, তা নিয়ে গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। এবার প্রকাশ্যেই সেই গুঞ্জনে সিলমোহর চন্দ্রবাবু নায়ডু। আর তার এই অবস্থানে ওয়াকফ বিল নিয়ে এনডিএ-র অন্দরে সংশয়ের যে পরিবেশ তৈরি করবে তা বলার অবকাশ রাখে না।

এদিন  বিজয়ওয়াড়ায় সরকারি ইফতার পার্টি থেকে নায়ডু  ইমামদের ভাতা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণাও করেছেন । আগে অন্ধ্রে ইমামরা মাসিক ৫ হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পেতেন।

গত বাদল অধিবেশনে ওয়াকফ বিল সংসদে পেশ করে সরকার। বিল পেশ করেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা। এ বারে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই জেপিসি বিলটি লোকসভায় জমা দেয়।

 

সরকারের একটি অংশ ঈদের পরে বিলটি লোকসভায় পেশ করতে চায়। কারণ সরকার ভাল করেই জানে, বিলটি পেশ হওয়া মাত্র পথে নামবেন সংখ্যালঘুদের একাংশ। তাই ঈদ কেটে যাওয়ার পরে অধিবেশন শেষ হতে হাতে যে তিন-চার দিন মিলবে, তার মধ্যে বিলটি পেশ করে তা পাশ করিয়ে নিতে চায় সরকার।

সরকারের অন্য অংশের যুক্তি, ওই বিল ঘিরে আন্দোলন অবশ্যম্ভাবী। তাই দেরি না করে বিলটি আনা উচিত। আর কেন্দ্র ওই বিলটি পাশ করিয়ে আইন করতে চায়। সেক্ষেত্রে টিডিপির সমর্থন প্রয়োজন।

 

কিন্তু নায়ডুর যা সুর, তাতে তিনি শেষপর্যন্ত আদৌ ওই বিলকে সমর্থন করবেন কিনা, সংশয় রইল। অন্যদিকে বিজেপির অন্য অংশের মতে, ঈদের আগে বিল আনা হলে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদের তীব্রতা অনেকটা বাড়বে। যা বিহার, অসম বা পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে হিন্দু ভোটের মেরুকরণে সাহায্য করবে।