০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোতাহারিতে বিষমদে মৃতদের ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা  

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 51

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিহারের মোতাহারিতে বিষমদে মৃতদের মাথা পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই অর্থ প্রদান করা হবে। তবে লিখিতভাবে দিতে হবে দুটি প্রতিশ্রুতি এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যারা অর্থ পাবেন তাদের লিখিত দিতে হবে, তারা রাজ্যে অ্যালকোহল বা মদ নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের পক্ষে আছেন ও তারা মদ্যপানের পুরোপুরি বিরোধী।”

এদিন তিনি আরও জানান , মৃতদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার পর তাদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সমস্ত জেলা শাসকদের মত জানতে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

ঘটনাপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ও রাজ্য সভার সদস্য সুশিল মোদি জানিয়েছেন, বিহারকে আলকোহল ফ্রী  বা ড্রাই স্টেট ঘোষণা করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মতো সাধারণ মানুষ মারা গেছেন এবং বহু মানুষ তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

এই নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার পৃষ্ঠপোষক জিতন রাম মাঞ্জিও বলেছেন যে, মদ খেয়ে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র পরবারের। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিহারে মদ বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নীতীশ সরকার। কিন্তু এরপর একাধিকবার বিহারে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মোতিহারির ঘটনা।

ঘটনাপ্রসঙ্গে পূর্ব চাম্পারণের জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর এলাকাতে বিষমদ খেয়ে বহু মানুষের অসুস্থ হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপর থেকে একের পর এক মানুষের অসুস্থ এবং মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। এরপরই মোতিহারির বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই তল্লাশিতে প্রায় ৯০ লিটার দেশি মদ ও দেশে তৈরি বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবিবার দুপুর দুপুর পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ আরও বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোতাহারিতে বিষমদে মৃতদের ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা  

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিহারের মোতাহারিতে বিষমদে মৃতদের মাথা পিছু ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই অর্থ প্রদান করা হবে। তবে লিখিতভাবে দিতে হবে দুটি প্রতিশ্রুতি এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যারা অর্থ পাবেন তাদের লিখিত দিতে হবে, তারা রাজ্যে অ্যালকোহল বা মদ নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তের পক্ষে আছেন ও তারা মদ্যপানের পুরোপুরি বিরোধী।”

এদিন তিনি আরও জানান , মৃতদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার পর তাদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সমস্ত জেলা শাসকদের মত জানতে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

ঘটনাপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ও রাজ্য সভার সদস্য সুশিল মোদি জানিয়েছেন, বিহারকে আলকোহল ফ্রী  বা ড্রাই স্টেট ঘোষণা করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনের মতো সাধারণ মানুষ মারা গেছেন এবং বহু মানুষ তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

এই নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার পৃষ্ঠপোষক জিতন রাম মাঞ্জিও বলেছেন যে, মদ খেয়ে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র পরবারের। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিহারে মদ বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নীতীশ সরকার। কিন্তু এরপর একাধিকবার বিহারে বিষমদ কাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মোতিহারির ঘটনা।

ঘটনাপ্রসঙ্গে পূর্ব চাম্পারণের জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর এলাকাতে বিষমদ খেয়ে বহু মানুষের অসুস্থ হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপর থেকে একের পর এক মানুষের অসুস্থ এবং মৃত্যুর খবর আসতে শুরু করে। এরপরই মোতিহারির বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি মদ বিক্রির সঙ্গে জড়িত ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই তল্লাশিতে প্রায় ৯০ লিটার দেশি মদ ও দেশে তৈরি বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রবিবার দুপুর দুপুর পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ আরও বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।