ওয়াশিংটন, ২৬ এপ্রিল: ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চলমান বিক্ষোভে নিয়ে অস্বস্তিতে বাইডেন প্রশাসন। এবার ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ দমাতে ব্যাপক ধরপাকড় চালাল পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশি সক্রিয়তা দেখা গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে তাঁকে হাতকড়া পড়াতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার আমেরিকার জর্জিয়া পুলিশ অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিন গ্রেফতার করে পুলিশ। সঙ্গে আরও ২৮ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি সাংবাদিককেও ছাড় দেওয়া হয়নি। পুলিশের এই নৃশংসতাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
It is worth watching this CNN video from the moment Emory Econ Professor @CarolineFohlin came across the violent arrest of a protester on campus and asked the police, with shock, "What are you doing?" That's all that prompted an officer to hurl her to the ground and handcuff her. https://t.co/QKNRqOoIiS pic.twitter.com/uYpXwKuc8D
— Robert Mackey (@RobertMackey) April 26, 2024
গত সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয় মার্কিন পুলিশ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বহিষ্কার করা থেকে পুলিশ দিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একশোর বেশি পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন পড়ুয়ারা। এরপরই অন্যান্য মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও বিক্ষোভের ডাক দেয়। আমেরিকার বিভিন্নে শহরের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় চলছে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, টুইন সিটিস; সোয়ার্থমোর কলেজ, পেনসিলভেনিয়ার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ ইয়র্কের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ম্যাসাচুসেটসের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যান আরবারের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এদিকে, গত ১৭ এপ্রিল থেকে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০টি তাঁবু গেড়ে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বহু পড়ুয়া।