১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জম্মু-কাশ্মীরে আবাসিক এলাকাগুলো থেকে সেনা সরানো হচ্ছে, দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 128

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের আবাসিক এলাকাগুলো থেকে এবার সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম চালানোর জন্য সেনার বিশেষ ইউনিট, কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ফোর্স শুধুমাত্র সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে। অর্থাৎ, সাধারণ আবাসিক এলাকায় থাকা সাধারণ নাগরিকরা এখন আরও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে যে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের জনগণের দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি ফিরবে।

আবাসিক এলাকায় সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব এখন পুরোপুরি সিআরপিএফের হাতে থাকবে। সিআরপিএফ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে। ফলে সেনার উপস্থিতি সীমান্ত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখার ফলে সাধারণ জনগণকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাপে থাকতে হবে না।

আরও পড়ুন: কবে ফিরবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা? চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানাতে ডেডলাইন শীর্ষ আদালতের

সেনা এবং সিআরপিএফের এই নতুন ব্যবস্থাপনা জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী বল সীমান্ত অঞ্চলে থাকার ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে আর আবাসিক এলাকায় সাধারণ জীবন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে।

আরও পড়ুন: বিসিসিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই করমর্দনে না করেছিলেন পাইক্রফট 

উল্লেখ্য যে ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্য মর্যাদা থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনাধীন অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। আর সে সময় থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সেনা স্থাপন নিয়ে নানা পরিকল্পনা চলছিল। এখন সেই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা অনুভব করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে।

আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণের দাবি J&K Congress-এর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জম্মু-কাশ্মীরে আবাসিক এলাকাগুলো থেকে সেনা সরানো হচ্ছে, দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ

আপডেট : ২১ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জম্মু-কাশ্মীরের আবাসিক এলাকাগুলো থেকে এবার সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম চালানোর জন্য সেনার বিশেষ ইউনিট, কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ফোর্স শুধুমাত্র সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে। অর্থাৎ, সাধারণ আবাসিক এলাকায় থাকা সাধারণ নাগরিকরা এখন আরও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার আশা করছে যে, এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের জনগণের দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি ফিরবে।

আবাসিক এলাকায় সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকরা নিরাপদভাবে চলাফেরা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব এখন পুরোপুরি সিআরপিএফের হাতে থাকবে। সিআরপিএফ নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করবে। ফলে সেনার উপস্থিতি সীমান্ত পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখার ফলে সাধারণ জনগণকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাপে থাকতে হবে না।

আরও পড়ুন: কবে ফিরবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা? চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানাতে ডেডলাইন শীর্ষ আদালতের

সেনা এবং সিআরপিএফের এই নতুন ব্যবস্থাপনা জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী বল সীমান্ত অঞ্চলে থাকার ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে আর আবাসিক এলাকায় সাধারণ জীবন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে।

আরও পড়ুন: বিসিসিআই ও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই করমর্দনে না করেছিলেন পাইক্রফট 

উল্লেখ্য যে ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্য মর্যাদা থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনাধীন অঞ্চলে রূপান্তরিত করা হয়। আর সে সময় থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সেনা স্থাপন নিয়ে নানা পরিকল্পনা চলছিল। এখন সেই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকার আশা করছে, এই পদক্ষেপের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তা অনুভব করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে।

আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণের দাবি J&K Congress-এর