পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। গত দুবছরে করোনা কারণে নববর্ষ-এর আনন্দ সেভাবে পালন করতে পারেনি সাধারণ মানুষ। এবার অবশ্য নববর্ষের আনন্দ লুটে-পুটে ভাগ করে নিতে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাতে চতুর্দিকেই ব্যস্ততা তুঙ্গে। গতকালই রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনায় কালীঘাটে গিয়ে পুজো দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কালীঘাটেও দক্ষিণশ্বরের মতো স্কাই ওয়াক তৈরি হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর জন্য হকারদেরও কোনও সমস্যা হবে না, সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
করোনার চোখ রাঙানিতে বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ। মাঝখানে কিছুদিনের জন্য খোলা হলেও ফের করোনার দাপটে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একগুচ্ছ বিধিনিষেধের মাঝে আটকে পড়েছিলেন দর্শনার্থীরা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চতুর্থবারের জন্য মঠ খোলা হলেও ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের গতিবিধি ছিল নিয়ন্ত্রিত। কেবলমাত্র মন্দির দর্শন এবং গুরু প্রণাম করেই তাঁদের বেরিয়ে আসতে হত। আরতি দেখা বা গঙ্গার ধারে বসার কোন অনুমতি ছিল না। বন্ধ ছিল ভোগ বিতরণ।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর। খুলে গেল বেলুড় মঠ। আর কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পূর্ববর্তী সময়ে যে সময় খোলা থাকত মঠ, তেমনই থাকবে। ভক্তদের প্রবেশেও আর কোনও বাধা নেই। মন্দির দর্শন, গুরু প্রণাম, আরতি দর্শন করতে পারবেন তাঁরা। করা হবে ভোগ বিতরণও। অন্যদিকে তারাপীঠ, কালীঘাটে নতুন বছরের শুরুতে পুজো দিতে ভক্তদের ভিড়।