০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি হামলায় নিহত ভারতের প্রাক্তন কর্নেল, নিন্দা তো দূর, টুঁ শব্দ নেই মোদি সরকারে: সাকেত গোখেল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, বুধবার
  • / 4

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  গাজায় ইসরাইলি হানায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই তালিকায় যোগ হল অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কর্ণেলের নাম। বৈভব অনিল কালে(৪৬) নামে ওই কর্ণেল রাষ্ট্রসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটিতে কাজ করতেন। সোমবার গাজার রাফায় বৈভবের গাড়িতে হামলা হয়। ভারতীয় সেনার এই কাউন্টার টেররিস্ট স্পেশালিস্ট অবসর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করছিলেন।

এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে এক্স হ্যান্ডেলে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। তিনি লিখেছেন, গাজায় ইসরায়েলের হাতে এক অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্নেল নিহত হয়েছেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরেও নির্লজ্জ মোদি সরকার একটি শধও উচ্চারণ করেনি!

সাকেত এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সোমবার ইসরাইলি হামলায় গাজায় কর্নেল অনিল কালে (অব.) নিহত হন। যা অত্যন্ত মর্মান্তিক, তা হল, কর্নেল কালে রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কাজ করতেন এবং যখন তাকে হত্যা করা হয় তখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের লোগো দেওয়া গাড়িতে যাচ্ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘের যানবাহন ও কর্মীদের উপর হামলা করা যায় না। কিন্তু নেতানিয়াহুর অধীনে, ইসরাইল এমনভাবে দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে যে তারা নিরীহ বেসামরিক মানুষ, সহায়তা কর্মী এবং রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের হত্যা করাকে ন্যায্য খেলায় পরিণত করেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে রাষ্ট্রসংঘের গাড়িতে ভারতীয় অবসর প্রাপ্ত প্রবীণ সেনার এই হামলা এবং হত্যার নিন্দা পর্যন্ত করেননি মোদি সরকার।

বহুদিন বছর ধরে জুলুমের শিকার হতে হতে হামাস যেদিন ইসরাইলের ওপর পালটা হামলা চালালো, তার ঠিক পরে ইসরাইলের প্রতি সহমর্মিতা দেখান মোদি। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সেই প্রথমবার ‘জালিম’ ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে অবশ্য বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে ভারত তার পুরাতন কূটনৈতিক অবস্থানেই অবিচল থাকছে। অর্থাৎ ভারত ফিলিস্তিনের পাশেই থাকছে, যেমনটা ছিল। আমাদের বিদেশনীতির উদ্দেশ কি তাহলে মোদিজি যখন বিদেশভ্রমন করবেন তখন বিদেশের মাটিতে কেবল নাচ গানের ব্যবস্থার মাধ্যে নিজেদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রাখা? মোদির পিআর করাই কি তবে বিদেশমন্ত্রকের একমাত্র কাজ? ভারতীয়দের প্রাণের কি কোনো মূল্য তাদের নেই?

সাকেত এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রিকের কাছে চিঠি লিখেছি। তাতে বলেছি, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে কর্নেল কালের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাক ভারত সরকার। গাজায় ইসরাইল যেভাবে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণ করে প্রতিদিন নির্দোষ মানুষজনকে হত্যা করছে তার বিরোধিতা করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিমার্চ ইস্যু করা হোক। নিহত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেলের স্ত্রী ও সন্তানকে যথাসম্ভব সাহায্য প্রদান করুক মোদি সরকার ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসরাইলি হামলায় নিহত ভারতের প্রাক্তন কর্নেল, নিন্দা তো দূর, টুঁ শব্দ নেই মোদি সরকারে: সাকেত গোখেল

আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, বুধবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:  গাজায় ইসরাইলি হানায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সেই তালিকায় যোগ হল অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় কর্ণেলের নাম। বৈভব অনিল কালে(৪৬) নামে ওই কর্ণেল রাষ্ট্রসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটিতে কাজ করতেন। সোমবার গাজার রাফায় বৈভবের গাড়িতে হামলা হয়। ভারতীয় সেনার এই কাউন্টার টেররিস্ট স্পেশালিস্ট অবসর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করছিলেন।

এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে এক্স হ্যান্ডেলে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। তিনি লিখেছেন, গাজায় ইসরায়েলের হাতে এক অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা কর্নেল নিহত হয়েছেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরেও নির্লজ্জ মোদি সরকার একটি শধও উচ্চারণ করেনি!

সাকেত এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সোমবার ইসরাইলি হামলায় গাজায় কর্নেল অনিল কালে (অব.) নিহত হন। যা অত্যন্ত মর্মান্তিক, তা হল, কর্নেল কালে রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কাজ করতেন এবং যখন তাকে হত্যা করা হয় তখন তিনি রাষ্ট্রসংঘের লোগো দেওয়া গাড়িতে যাচ্ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘের যানবাহন ও কর্মীদের উপর হামলা করা যায় না। কিন্তু নেতানিয়াহুর অধীনে, ইসরাইল এমনভাবে দুঃসাহসী হয়ে উঠেছে যে তারা নিরীহ বেসামরিক মানুষ, সহায়তা কর্মী এবং রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের হত্যা করাকে ন্যায্য খেলায় পরিণত করেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে রাষ্ট্রসংঘের গাড়িতে ভারতীয় অবসর প্রাপ্ত প্রবীণ সেনার এই হামলা এবং হত্যার নিন্দা পর্যন্ত করেননি মোদি সরকার।

বহুদিন বছর ধরে জুলুমের শিকার হতে হতে হামাস যেদিন ইসরাইলের ওপর পালটা হামলা চালালো, তার ঠিক পরে ইসরাইলের প্রতি সহমর্মিতা দেখান মোদি। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে সেই প্রথমবার ‘জালিম’ ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে অবশ্য বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয় যে ভারত তার পুরাতন কূটনৈতিক অবস্থানেই অবিচল থাকছে। অর্থাৎ ভারত ফিলিস্তিনের পাশেই থাকছে, যেমনটা ছিল। আমাদের বিদেশনীতির উদ্দেশ কি তাহলে মোদিজি যখন বিদেশভ্রমন করবেন তখন বিদেশের মাটিতে কেবল নাচ গানের ব্যবস্থার মাধ্যে নিজেদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রাখা? মোদির পিআর করাই কি তবে বিদেশমন্ত্রকের একমাত্র কাজ? ভারতীয়দের প্রাণের কি কোনো মূল্য তাদের নেই?

সাকেত এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমি এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রিকের কাছে চিঠি লিখেছি। তাতে বলেছি, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে কর্নেল কালের হত্যার তীব্র নিন্দা জানাক ভারত সরকার। গাজায় ইসরাইল যেভাবে ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘণ করে প্রতিদিন নির্দোষ মানুষজনকে হত্যা করছে তার বিরোধিতা করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে একটি ডিমার্চ ইস্যু করা হোক। নিহত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেলের স্ত্রী ও সন্তানকে যথাসম্ভব সাহায্য প্রদান করুক মোদি সরকার ।