১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাংলার: গণধর্ষণ-কাণ্ডে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 105

পুবের কলম প্রতিবেদক: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনায় সত্যিই ভয়াবহ। আমি যত দূর শুনলাম, নির্যাতিতা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন, তা হলে দায়টা কার? রাত সাড়ে ১২টার সময় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে, এমন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কীভাবে গেলেন তাঁরা? সংশ্লিষ্ট বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটির এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত।’ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, মেয়েদের বেশি রাতে বেরনো উচিত নয়। নিজেদের নিরাপত্তা তাঁদেরই সুনিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে যাওয়ার পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণধর্ষণ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘বাংলার সরকার অপরাধ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলবে। বিভিন্ন রাজ্যে ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়তে আসছেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব, রাতের দিকে না বেরতে।’ গণধর্ষণ-কাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুলিশ তো জানতে পারে না কে, কখন বেরিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বসে থাকবে না। আমি ঘটনাকে সমর্থন করছি না, এটা নিন্দনীয়। আমি পুলিশকে বলেছি, কাউকে না ছাড়তে।’

আরও পড়ুন: বঙ্গে আবারও দুর্যোগের আশঙ্কা

প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার ক্ষত এখনও শুকায়নি, এরই মধ্যে মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরে। এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী শুক্রবার রাতে এক পরিচিত সহপাঠীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক তাদের উত্ত্যক্ত করার পর তরুণীকে টেনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: বঙ্গের ছয় জেলায় আগাম দুর্যোগের সতর্কতা জারি

এদিকে ইতিমধ্যে মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খুঁজে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ছবি পুলিশের হাতে এসেছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুইজন এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গতকাল সহপাঠীকে আটক করেছিল পুলিশ। এর বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন নির্যাতিতার বাবাও। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি এখনও।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অপরাধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাংলার: গণধর্ষণ-কাণ্ডে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনায় সত্যিই ভয়াবহ। আমি যত দূর শুনলাম, নির্যাতিতা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন, তা হলে দায়টা কার? রাত সাড়ে ১২টার সময় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে, এমন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় কীভাবে গেলেন তাঁরা? সংশ্লিষ্ট বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজটির এই নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত।’ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, মেয়েদের বেশি রাতে বেরনো উচিত নয়। নিজেদের নিরাপত্তা তাঁদেরই সুনিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে যাওয়ার পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণধর্ষণ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘বাংলার সরকার অপরাধ নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলবে। বিভিন্ন রাজ্যে ছেলে-মেয়েরা এখানে পড়তে আসছেন। তাঁদের আমি অনুরোধ করব, রাতের দিকে না বেরতে।’ গণধর্ষণ-কাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুলিশ তো জানতে পারে না কে, কখন বেরিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ তো বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বসে থাকবে না। আমি ঘটনাকে সমর্থন করছি না, এটা নিন্দনীয়। আমি পুলিশকে বলেছি, কাউকে না ছাড়তে।’

আরও পড়ুন: বঙ্গে আবারও দুর্যোগের আশঙ্কা

প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার ক্ষত এখনও শুকায়নি, এরই মধ্যে মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরে। এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই তরুণী শুক্রবার রাতে এক পরিচিত সহপাঠীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক তাদের উত্ত্যক্ত করার পর তরুণীকে টেনে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।

আরও পড়ুন: বঙ্গের ছয় জেলায় আগাম দুর্যোগের সতর্কতা জারি

এদিকে ইতিমধ্যে মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খুঁজে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ছাত্রীকে গণধর্ষণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ছবি পুলিশের হাতে এসেছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুইজন এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গতকাল সহপাঠীকে আটক করেছিল পুলিশ। এর বিরুদ্ধে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন নির্যাতিতার বাবাও। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি এখনও।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন