১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দরিদ্রতা আপনার থেকে দূরে সরে যাবে-একবার পড়ুন এই সূরা !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 261

করোনাকালে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ, হতাশ হয়ে পড়েছে অনেকেই ,বারংবার ভাবছেন আজ কি খাবে , আজ কি পরবে, দুনিয়াবি চিন্তায়  এতোটাই মশগুল হয়ে গেছে যে ভুলে গেছে নিজের সৃষ্টি কর্তার কথা । তিনি বার বার বহু সূরার অনেক আয়াতে বলেছেন রিজিকের মালিক তিনি ! এমনকি তিনি নিজেকে ‘রাজ্জাক’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন ।

নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা অধিক জীবনোপকরণ দান করেন এবং তিনিই তা সংকুচিতও করে দেন । তিনিই তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত এবং সব কিছু দেখছেন । (সূরা: আল-ইসরা, আয়াত ৩০)।

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

মানুষ দুনিয়াবী চিন্তায় এতটাই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে যে এটা ভুলে গেছে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন শরীফে সমস্থ সমস্যার সমাধান এর কথা উল্লেখ করেছেন ।

আরও পড়ুন: বিদ্বেষ নয়, সৃষ্টির সেবাই হোক ধর্ম: জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কর্মী সম্মেলন ও বিশ্ব নবী দিবসে বার্তা

কোরআন শরীফে এমন এক সূরা আছে যেটা মাগরিব নামাযন্তে পড়লে দরিদ্রতা কোনও দিন আপনাকে ছুঁতে পারবে না ।

আরও পড়ুন: ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সুদ বিহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রস্তাবনা

এক হাদিসে বলা হয় হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অন্তিম সময়ে যখন মৃত্যু শয্যাই শায়িত ছিলেন তখন হজরত ওসমান (রা.) তাঁকে  দেখতে যান । তখন ওসমান (রা.) ওনাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কীসের এত চিন্তা করছ ? তুমি কী তোমার সন্তান সন্ততিদের চিন্তা করছও, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) জবাবে বলেন না ,আমি তাদের জন্য সূরা ওয়াকীয়াহ রেখে গেলাম । ইন শা আল্লাহতাআলা দরিদ্রতা ওদের কোনও দিন স্পর্শ করবে না, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যহ মাগরিব এর পর থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনও ক্ষুধার্ত থাকবে না ।’
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন । (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দরিদ্রতা আপনার থেকে দূরে সরে যাবে-একবার পড়ুন এই সূরা !

আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, বৃহস্পতিবার

করোনাকালে কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ, হতাশ হয়ে পড়েছে অনেকেই ,বারংবার ভাবছেন আজ কি খাবে , আজ কি পরবে, দুনিয়াবি চিন্তায়  এতোটাই মশগুল হয়ে গেছে যে ভুলে গেছে নিজের সৃষ্টি কর্তার কথা । তিনি বার বার বহু সূরার অনেক আয়াতে বলেছেন রিজিকের মালিক তিনি ! এমনকি তিনি নিজেকে ‘রাজ্জাক’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন ।

নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা (আল্লাহ) যাকে ইচ্ছা অধিক জীবনোপকরণ দান করেন এবং তিনিই তা সংকুচিতও করে দেন । তিনিই তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত এবং সব কিছু দেখছেন । (সূরা: আল-ইসরা, আয়াত ৩০)।

আরও পড়ুন: I love Muhammad’ ব্যানারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অসাংবিধানিক: জামায়াতে ইসলামি হিন্দ

মানুষ দুনিয়াবী চিন্তায় এতটাই পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে যে এটা ভুলে গেছে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন শরীফে সমস্থ সমস্যার সমাধান এর কথা উল্লেখ করেছেন ।

আরও পড়ুন: বিদ্বেষ নয়, সৃষ্টির সেবাই হোক ধর্ম: জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কর্মী সম্মেলন ও বিশ্ব নবী দিবসে বার্তা

কোরআন শরীফে এমন এক সূরা আছে যেটা মাগরিব নামাযন্তে পড়লে দরিদ্রতা কোনও দিন আপনাকে ছুঁতে পারবে না ।

আরও পড়ুন: ইসলামে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সুদ বিহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রস্তাবনা

এক হাদিসে বলা হয় হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অন্তিম সময়ে যখন মৃত্যু শয্যাই শায়িত ছিলেন তখন হজরত ওসমান (রা.) তাঁকে  দেখতে যান । তখন ওসমান (রা.) ওনাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কীসের এত চিন্তা করছ ? তুমি কী তোমার সন্তান সন্ততিদের চিন্তা করছও, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) জবাবে বলেন না ,আমি তাদের জন্য সূরা ওয়াকীয়াহ রেখে গেলাম । ইন শা আল্লাহতাআলা দরিদ্রতা ওদের কোনও দিন স্পর্শ করবে না, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যহ মাগরিব এর পর থেকে ফজরের আগে পর্যন্ত সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবে, সে কখনও ক্ষুধার্ত থাকবে না ।’
হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) তার মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন । (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)