১৯ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হা-ডু-ডু তেই আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন বিপাশা’র

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 41

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : হা-ডু-ডু ই একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। হা-ডু-ডু তেই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা মন্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত খেয়াদহ পঞ্চায়েতের হরপুর গ্রাম। গ্রামের দরিদ্র দম্পতি সুব্রত ও লক্ষ্মী মন্ডল। দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেজো মেয়ে বিপাশা মন্ডল। ছোট থেকে পড়াশোনায় মেধাবী।

বর্তমানে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স(কেএলসি) থানার অন্তর্গত তাড়দহ উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। খেলাধূলায় একেবারেই মন ছিল না। স্কুলের শারীর শিক্ষক সমীর মন্ডলের উদ্যোগে নবম শ্রেণী থেকে হা-ডু-ডু তে হাতেখড়ি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুলস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্কুলের সম্মান উচ্চশিখরে পৌঁছে দিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাস্কুল গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে সাফল্যের হ্যাট্রিক করে ফেলেছে বিপাশা।

এছাড়াও রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা। দারিদ্রতা কে উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে হা-ডু-ডু খেলায় আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় বিপাশা। স্কুল ছাত্রীর এমন স্বপ্ন ভবিষ্যতে যাতে সফল হয় তারজন্য সহযোগীতার বাড়িয়ে দিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিজিত দাস ও শারীর শিক্ষক সমীর মন্ডল।

বিপাশা জানিয়েছে, ‘খেলাধূলার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় ক্রীড়া শিক্ষক সমীর মন্ডল হা-ডু-ডু খেলার প্রতি আমাকে উদ্বুদ্ধ করেন। তারপর থেকে তাঁর শিক্ষায় আমি সফলতার আশার আলো দেখতে শুরু করি। প্রথম দিকে মেয়ে হিসাবে এই হা-ডু-ডু খেলা কেউ পছন্দ করেনি। তবে পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমার পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছিলেন। একবছর পর আর সমস্যা হয়নি।হা-ডু-ডু দেশের জাতীয় খেলা। আমার স্বপ্ন আগামী দিনে আন্তর্জাতিক স্তরে আমি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের সম্মান উজ্জ্বল করতে চাইতে’।

স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সমীর মন্ডল জানিয়েছেন, ‘মানুষ জীবনে সকলের কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে।ক্রীড়া শিক্ষক হিসাবে আমার স্বপ্ন আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলার প্রতি যাতে আগ্রহী হয় এবং সুনাম অর্জন করে। প্রাথমিক ভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও, আগামীর স্বপ্ন আমার হাতে গড়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে দেশ ও স্কুলের সম্মান উজ্জ্বল করবে। বিপাশা কে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। আশাকরি ভবিষ্যতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়য়িত হবে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হা-ডু-ডু তেই আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন বিপাশা’র

আপডেট : ১৭ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

কুতুব উদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং : হা-ডু-ডু ই একমাত্র ধ্যান জ্ঞান। হা-ডু-ডু তেই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা মন্ডল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত খেয়াদহ পঞ্চায়েতের হরপুর গ্রাম। গ্রামের দরিদ্র দম্পতি সুব্রত ও লক্ষ্মী মন্ডল। দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেজো মেয়ে বিপাশা মন্ডল। ছোট থেকে পড়াশোনায় মেধাবী।

বর্তমানে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স(কেএলসি) থানার অন্তর্গত তাড়দহ উচ্চমাধ্যমিক হাইস্কুুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। খেলাধূলায় একেবারেই মন ছিল না। স্কুলের শারীর শিক্ষক সমীর মন্ডলের উদ্যোগে নবম শ্রেণী থেকে হা-ডু-ডু তে হাতেখড়ি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুলস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্কুলের সম্মান উচ্চশিখরে পৌঁছে দিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাস্কুল গেমস প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে সাফল্যের হ্যাট্রিক করে ফেলেছে বিপাশা।

এছাড়াও রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় হা-ডু-ডু প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বিপাশা। দারিদ্রতা কে উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে হা-ডু-ডু খেলায় আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায় বিপাশা। স্কুল ছাত্রীর এমন স্বপ্ন ভবিষ্যতে যাতে সফল হয় তারজন্য সহযোগীতার বাড়িয়ে দিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অভিজিত দাস ও শারীর শিক্ষক সমীর মন্ডল।

বিপাশা জানিয়েছে, ‘খেলাধূলার প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় ক্রীড়া শিক্ষক সমীর মন্ডল হা-ডু-ডু খেলার প্রতি আমাকে উদ্বুদ্ধ করেন। তারপর থেকে তাঁর শিক্ষায় আমি সফলতার আশার আলো দেখতে শুরু করি। প্রথম দিকে মেয়ে হিসাবে এই হা-ডু-ডু খেলা কেউ পছন্দ করেনি। তবে পরিবার ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমার পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছিলেন। একবছর পর আর সমস্যা হয়নি।হা-ডু-ডু দেশের জাতীয় খেলা। আমার স্বপ্ন আগামী দিনে আন্তর্জাতিক স্তরে আমি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের সম্মান উজ্জ্বল করতে চাইতে’।

স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সমীর মন্ডল জানিয়েছেন, ‘মানুষ জীবনে সকলের কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে।ক্রীড়া শিক্ষক হিসাবে আমার স্বপ্ন আমার স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খেলাধূলার প্রতি যাতে আগ্রহী হয় এবং সুনাম অর্জন করে। প্রাথমিক ভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও, আগামীর স্বপ্ন আমার হাতে গড়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে দেশ ও স্কুলের সম্মান উজ্জ্বল করবে। বিপাশা কে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। আশাকরি ভবিষ্যতে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়য়িত হবে।’