২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগে দেশ একটি ছিল, সংবিধান ছিল দুটি, ঐক্যবদ্ধ হতে এত সময় কেন? বিজেপি সরকারের স্তুতি গেয়ে কংগ্রেসকে জার্মানি থেকে তোপ মোদির

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 36

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে প্রায় দু’বছর পরে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। রয়েছে প্রায় ২৫টি কর্মসূচি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। গতকালই বার্লিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরে নামতে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন তাঁকে।

জার্মানির ভারতীয় কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বলেন, ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন বক্তব্য, রাখতে গিয়ে বলে, নতুন ভারত ঝুঁকি নিতে জানে। নতুন ভারত শুধুমাত্র নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না বরং ঝুঁকিও নেয়।। ফের  ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আত্মনির্ভর ভারতের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নিজের সরকারের স্তুতি গেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের শাসনব্যবস্থায় প্রযুক্তিকে যেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তা দেশের নতুন রাজনৈতিক ইচ্ছার পাশাপাশি গণতন্ত্রের সামর্থ্যও দেখায়।

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

কংগ্রেসকে ম্যারাথন আক্রমণ করে মোদি বলেন, স্বাধীনতার পর ভারত একটি দিকনির্দেশনা নিয়েছিল, কিন্তু দেশ যেকোনও কারণেই হোক না কেন পিছিয়ে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে অসংখ্য পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, যে গতিতে সেই পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। তাই আমরা কোনও না কোনও কারণে পিছিয়ে পড়েছি।’

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

মোদি বলেন, বিজেপি সরকার দেশবাসীকে নিশ্চিত করেছে সর্বাধিক সুবিধা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। এখন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে না যে, আমি দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠিয়েছি, কিন্তু ১৫ টাকা আত্মস্মাৎ করে নিয়েছে। কে সেই ৮৫ টাকা আত্মস্মাৎ করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে দেশ একটি ছিল, কিন্তু সংবিধান ছিল দুটি। কিন্তু তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে এত সময় লাগল কেন? সাত দশক হয়ে গিয়েছে। এত দিনে এক দেশ, এক সংবিধান চালু হওয়া উচিত ছিল। তবে আমরা সেটা কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল’।

আরও পড়ুন: ইউপিএ সরকার নয়টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে, কিন্তু কখনও রাজনীতি করেনি: কংগ্রেস

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ‘ন্যূনতম সরকার (সরকারি হস্তক্ষেপ) ও সর্বোচ্চ শাসনের’ ওপর জোর দেন। মোদি বলেন,  ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে সরকারের অনুপস্থিতি থাকা উচিত নয় কিন্তু যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেও সরকারের থাকা উচিত নয়।’

ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে বলতে শোনা যায়,  ‘আমি কারো সমালোচনা করছি না কিন্তু রাস্তা তৈরির পর তা বিদ্যুতের জন্য, তারপর জলের জন্য খোঁড়া হত ২০১৪ সালের পর। আমার মনে আছে যে ২০১৪ সালের দিকে, আমাদের দেশে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০টি স্টার্টআপ ছিল। আজ, দেশে ৬৮ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগে দেশ একটি ছিল, সংবিধান ছিল দুটি, ঐক্যবদ্ধ হতে এত সময় কেন? বিজেপি সরকারের স্তুতি গেয়ে কংগ্রেসকে জার্মানি থেকে তোপ মোদির

আপডেট : ৩ মে ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিন দিনের ইউরোপ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে প্রায় দু’বছর পরে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী। রয়েছে প্রায় ২৫টি কর্মসূচি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। গতকালই বার্লিনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বন্দরে নামতে প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন তাঁকে।

জার্মানির ভারতীয় কমিউনিটির একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বলেন, ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন বক্তব্য, রাখতে গিয়ে বলে, নতুন ভারত ঝুঁকি নিতে জানে। নতুন ভারত শুধুমাত্র নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না বরং ঝুঁকিও নেয়।। ফের  ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আত্মনির্ভর ভারতের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নিজের সরকারের স্তুতি গেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের শাসনব্যবস্থায় প্রযুক্তিকে যেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তা দেশের নতুন রাজনৈতিক ইচ্ছার পাশাপাশি গণতন্ত্রের সামর্থ্যও দেখায়।

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

কংগ্রেসকে ম্যারাথন আক্রমণ করে মোদি বলেন, স্বাধীনতার পর ভারত একটি দিকনির্দেশনা নিয়েছিল, কিন্তু দেশ যেকোনও কারণেই হোক না কেন পিছিয়ে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে অসংখ্য পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, যে গতিতে সেই পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। তাই আমরা কোনও না কোনও কারণে পিছিয়ে পড়েছি।’

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

মোদি বলেন, বিজেপি সরকার দেশবাসীকে নিশ্চিত করেছে সর্বাধিক সুবিধা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। এখন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে না যে, আমি দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠিয়েছি, কিন্তু ১৫ টাকা আত্মস্মাৎ করে নিয়েছে। কে সেই ৮৫ টাকা আত্মস্মাৎ করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে দেশ একটি ছিল, কিন্তু সংবিধান ছিল দুটি। কিন্তু তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে এত সময় লাগল কেন? সাত দশক হয়ে গিয়েছে। এত দিনে এক দেশ, এক সংবিধান চালু হওয়া উচিত ছিল। তবে আমরা সেটা কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিল’।

আরও পড়ুন: ইউপিএ সরকার নয়টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে, কিন্তু কখনও রাজনীতি করেনি: কংগ্রেস

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ‘ন্যূনতম সরকার (সরকারি হস্তক্ষেপ) ও সর্বোচ্চ শাসনের’ ওপর জোর দেন। মোদি বলেন,  ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে সরকারের অনুপস্থিতি থাকা উচিত নয় কিন্তু যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেও সরকারের থাকা উচিত নয়।’

ফের প্রধানমন্ত্রীর মুখে বলতে শোনা যায়,  ‘আমি কারো সমালোচনা করছি না কিন্তু রাস্তা তৈরির পর তা বিদ্যুতের জন্য, তারপর জলের জন্য খোঁড়া হত ২০১৪ সালের পর। আমার মনে আছে যে ২০১৪ সালের দিকে, আমাদের দেশে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০টি স্টার্টআপ ছিল। আজ, দেশে ৬৮ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ রয়েছে।