১৬ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্লাড ক্যানসার নিরাময়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 183

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিজ্ঞানীদের চেষ্টায় ব্লাড ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী অসুখ থেকে সুস্থ হয়েছে এক কিশোরী। আলিসা নামে ওই কিশোরীকে সুস্থ করতে আগের সব ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হয়। পরে ব্রিটেনের গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করে কয়েকটি ধাপে আলিসার ওপর প্রয়োগ করেন। আর এতেই মেলে সাফল্য। গত ৬ মাস ধরে আলিসার শরীরে ক্যানসারের কোনও কোষ পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: কেমো ছাড়াই ক্যানসার কোষকে সুস্থ কোষে রূপান্তর: দক্ষিণ কোরিয়ার যুগান্তকারী আবিষ্কার

নতুন করে ক্যানসার ফিরবে কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম। তিনি এই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম জানান, ১৩ বছর বয়সী আলিসা ২০২১ সালের মে মাসে অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হন। আলিসার ক্ষেত্রে বিপদ ছিল তার ক্যানসারের তীব্রতা। সেই ক্যানসারকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তার কেমোথেরাপি হয় এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

 

আরও পড়ুন: জুন থেকেই রোবোটিক সার্জারি চালু হচ্ছে এসএসকেএমে 

তবুও অবস্থা খারাপ হতেই থাকে। ক্যানসারের কোষ না কমে আরও বাড়তে থাকে। এরপরে গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসকরা আলিসার শরীরে প্রয়োগ করেন জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি ‘বেস এডিং’ নামে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। মাত্র ৬ বছর আগে এই প্রযুক্তি বের হয়। এই জেনেটিক কোডের মাধ্যমেই তৈরি করা টি-সেল আলিসার ক্যানসারের টি-সেলকে আক্রমণ করে ধংস করে দেয়।

 

অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম জানান, আলিসাই প্রথম ব্যক্তি যাকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের তিন মাস পর আলিসার দেহে ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়। এটা নিয়ে তারা কিছুটা শঙ্কায় ছিলেন। তবে এখন আলিসা সম্পূর্ণ সুস্থ।  আলিসা জানান, তিনি খুবই ভাগ্যবান। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্লাড ক্যানসার নিরাময়

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিজ্ঞানীদের চেষ্টায় ব্লাড ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী অসুখ থেকে সুস্থ হয়েছে এক কিশোরী। আলিসা নামে ওই কিশোরীকে সুস্থ করতে আগের সব ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যর্থ হয়। পরে ব্রিটেনের গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করে কয়েকটি ধাপে আলিসার ওপর প্রয়োগ করেন। আর এতেই মেলে সাফল্য। গত ৬ মাস ধরে আলিসার শরীরে ক্যানসারের কোনও কোষ পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: কেমো ছাড়াই ক্যানসার কোষকে সুস্থ কোষে রূপান্তর: দক্ষিণ কোরিয়ার যুগান্তকারী আবিষ্কার

নতুন করে ক্যানসার ফিরবে কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম। তিনি এই গবেষক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম জানান, ১৩ বছর বয়সী আলিসা ২০২১ সালের মে মাসে অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হন। আলিসার ক্ষেত্রে বিপদ ছিল তার ক্যানসারের তীব্রতা। সেই ক্যানসারকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তার কেমোথেরাপি হয় এবং অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

 

আরও পড়ুন: জুন থেকেই রোবোটিক সার্জারি চালু হচ্ছে এসএসকেএমে 

তবুও অবস্থা খারাপ হতেই থাকে। ক্যানসারের কোষ না কমে আরও বাড়তে থাকে। এরপরে গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালের চিকিৎসকরা আলিসার শরীরে প্রয়োগ করেন জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি ‘বেস এডিং’ নামে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি। মাত্র ৬ বছর আগে এই প্রযুক্তি বের হয়। এই জেনেটিক কোডের মাধ্যমেই তৈরি করা টি-সেল আলিসার ক্যানসারের টি-সেলকে আক্রমণ করে ধংস করে দেয়।

 

অধ্যাপক ওয়াসিম কাসিম জানান, আলিসাই প্রথম ব্যক্তি যাকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের তিন মাস পর আলিসার দেহে ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়। এটা নিয়ে তারা কিছুটা শঙ্কায় ছিলেন। তবে এখন আলিসা সম্পূর্ণ সুস্থ।  আলিসা জানান, তিনি খুবই ভাগ্যবান। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি শিশুদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।