পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। লোকসভার প্রথম ধাপের ভোটে পূর্ব নাগাল্যান্ডের ছয় জেলায় ৪ লক্ষ ৬৩২ ভোটারের মধ্যে কেউ ভোট দেননি। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা অবশ্য দাবি করেন, দু–একজন ভোট দিয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু শতাংশের হিসাবে তা শূন্য।
ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ENPO) দ্বারা ছয়টি জেলায় ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বানে ভোট দিল না কেউ। যার ফলে ৬টি জেলায় ৭৩৮টি ভোটকেন্দ্রে ৪ লক্ষ ভোটারের মধ্যে শূন্য ভোটার ছিল।
ভোট বর্জনের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছয় জেলায় যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, বর্জন সফল হওয়ার পরে আজ শনিবার সকালে তা তুলে নেওয়া হয়েছে। যে সংগঠনের ডাকে ভোট বর্জন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল এবং তা সফলভাবে গতকাল শুক্রবার ভোটের দিন পালন করা হয়েছে।
পূর্ব নাগাল্যান্ডের যে ছয় জেলায় ভোট বর্জনের এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো হচ্ছে কিপিরে, লংলেং, মোন, নকলাক, শামাটোর ও টুয়েনসাঙ।
নাগাল্যান্ডের মোট ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের মধ্যে ৪ লাখ ৬৩২ অর্থাৎ ৩০ শতাংশ ভোটার এই ছয় জেলার বাসিন্দা।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা ৯ ঘণ্টা বুথে অপেক্ষা করেন। কিন্তু কেউ আসেনি। কমিশন বলছে তারা এই ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এমন কিছু একটা ঘটতে পারে, এ ধরনের কোনো তথ্য প্রশাসনিক সূত্রে আমাদের আগে জানানো হয়নি। তারা জানালে আমরা বিষয়টি নিয়ে অন্যভাবে ভাবতাম, প্রচার–প্রচারণা চালাতাম বা ব্যবস্থা নিতাম।’
মাওবাদী–অধ্যুষিত মধ্য ভারতের বস্তার ডিভিশনেও গতকাল প্রথম ধাপের নির্বাচন ছিল। সেখানে ৬৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। নাগাল্যান্ডে ভোট পড়েছে ৫৬ শতাংশ।
নাগাল্যান্ডে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তা আর ভায়াসান গতকালই একটি শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে ইএনপিওর কাছে জানতে চেয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় নির্বাচন ব্যাহত করার জন্য কেন ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এই নোটিশের উত্তরও ইএনপিও নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এক বিবৃতিতে ইএনপিও জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য যে ধর্মঘটের ডাক তারা দিয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হলো।