রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালদের বিল অনুমোদনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট কি সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে, শীর্ষ আদালতের কাছে রাষ্ট্রপতির প্রশ্ন

- আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 206
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তামিলনাড়ু সরকার বনাম রাজ্যপালের মামলায় রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতিকে বিল অনুমোদনের জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ওই রায় দেয়। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাই দায়িত্ব নেওয়ার পরেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আদালতের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, সংবিধানে যখন এমন কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি, তখন সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে এমন রায় দিতে পারে। তিন মাসের মধ্যে যে কোনও বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে। কোনও বিল কেন ফেলে রাখা হচ্ছে তার কারণও জানাতে হবে বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ। রায় দিয়েছিল ৪১৫ পাতার। মাসখানেক আগে দেওয়া আদালতের সেই নির্দেশের উত্তরে এ বার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
অ্যাপেক্স কোর্টের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রশ্ন রেখেছেন, সুপ্রিম কোর্ট কী ভাবে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালদের সময় বেঁধে দিতে পারে? সংবিধানে এমন কোনও শর্ত যখন নেই তখন কোন আইনকে হাতিয়ার করে শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশ দেয়, তা জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। সংবিধানে যে কোনও জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করার অধিকার দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। সেই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই বিষয়টি জানতে চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের কাছে যে প্রশ্নগুলো করেছেন, সেগুলো হল,
সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে নিজের ক্ষমতায় রাষ্ট্রপতি/রাজ্যপালের ক্ষমতা ঠিক করে দিতে পারে?
রাজ্যগুলি কি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে?
রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের জন্য কীভাবে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা যায়?
সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারায় যখন কোনও বিল রাজ্যপালের কাছে পেশ করা হয়, তখন তাঁর সামনে সাংবিধানিক বিকল্পগুলি কী কী?
বিচার ব্যবস্থার ক্ষমতা সংবিধানের ১৪২ নম্বর ধারায় বলা আছে। আদালত কী ভাবে তারা রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে নির্দেশ দিতে পারে?