০৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার পর কানাডা, ভিসা নিয়ে চাপে বহু ভারতীয়

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 46

কানাডা: আমেরিকার পর এবার ভারতীয়দের ভিসা বাতিলে কড়া পদক্ষেপ করল কানাডার প্রশাসন। এর ফলে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির পর কানাডাতেও সমস্যায় পড়তে চলেছেন ভারতীয় অভিবাসীরা। সে-দেশে কর্ম এবং অধ্যয়নরত কয়েক লক্ষ ভারতীয় এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন।
কানাডা সরকার গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। এর অন্যতম হল সীমান্ত আধিকারিকদের ‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এর ফলে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী এবং সে-দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের হিসাব বলছে বর্তমানে কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার!
২০২৩ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খুন হয়েছিলেন খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এই খুনের পিছনে নয়াদিল্লির হাত রয়েছে। ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বক্তব্যে অনড় ছিলেন। এর পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইতিমধ্যে ৩০০-র বেশি ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। ব্রিটেনে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়। সম্প্রতি জার্মানিতে ফ্রেডরিখ মার্জের নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে কট্টরপন্থীরা। নয়া ডানপন্থী সরকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী আইন, অভিবাসীদের সামাজিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর নীতির কথা ঘোষণা করেছে। এই আবহে গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে কানাডাও।
ভক্তরা বলছিলেন, মোদি জমানায় নাকি ভারতকে সকলে সমীহ করছে। মোদিই নাকি বিশ্বের দরবারে ভারতকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তিনি আমেরিকাতে থাকাকালীনই হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে অবৈধভাবে সে-দেশে থাকা ভারতীয়দের ফেরত পাঠাল আমেরিকা। হাতে পায়ে শিকল পড়ানোর আদৌ কি কোনও যৌক্তিকতা ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ফের কানাডায় ভারতীয় ছাত্রীর মৃত্যু, পড়তে গিয়ে রহস্যমৃত্যু আপ নেতার কন্যার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেরিকার পর কানাডা, ভিসা নিয়ে চাপে বহু ভারতীয়

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার

কানাডা: আমেরিকার পর এবার ভারতীয়দের ভিসা বাতিলে কড়া পদক্ষেপ করল কানাডার প্রশাসন। এর ফলে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির পর কানাডাতেও সমস্যায় পড়তে চলেছেন ভারতীয় অভিবাসীরা। সে-দেশে কর্ম এবং অধ্যয়নরত কয়েক লক্ষ ভারতীয় এর ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন।
কানাডা সরকার গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। এর অন্যতম হল সীমান্ত আধিকারিকদের ‘অস্থায়ী আবাসিক ভিসা’ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এর ফলে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয় কর্মী এবং সে-দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা বড় সমস্যার মুখে পড়তে চলেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের হিসাব বলছে বর্তমানে কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ২৭ হাজার!
২০২৩ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খুন হয়েছিলেন খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জর। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, এই খুনের পিছনে নয়াদিল্লির হাত রয়েছে। ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সে-দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বক্তব্যে অনড় ছিলেন। এর পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইতিমধ্যে ৩০০-র বেশি ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে আমেরিকা। ব্রিটেনে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড়। সম্প্রতি জার্মানিতে ফ্রেডরিখ মার্জের নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে কট্টরপন্থীরা। নয়া ডানপন্থী সরকার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, শরণার্থী আইন, অভিবাসীদের সামাজিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর নীতির কথা ঘোষণা করেছে। এই আবহে গত ৩১ জানুয়ারি অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে কানাডাও।
ভক্তরা বলছিলেন, মোদি জমানায় নাকি ভারতকে সকলে সমীহ করছে। মোদিই নাকি বিশ্বের দরবারে ভারতকে শক্তিশালী হিসাবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তিনি আমেরিকাতে থাকাকালীনই হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে অবৈধভাবে সে-দেশে থাকা ভারতীয়দের ফেরত পাঠাল আমেরিকা। হাতে পায়ে শিকল পড়ানোর আদৌ কি কোনও যৌক্তিকতা ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ফের কানাডায় ভারতীয় ছাত্রীর মৃত্যু, পড়তে গিয়ে রহস্যমৃত্যু আপ নেতার কন্যার