China doesn’t plot wars, ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারিতে কড়া বার্তা বেজিং-এর
- আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার
- / 268
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘চিন যুদ্ধ চাই না’ (China doesn’t plot wars)। ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারিতে কড়া বার্তা বেজিং-এর (Foreign minister Wang Yi )। ভারতের মত চিন’কেও শুল্ক হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের। পাল্টা প্রতিক্রিয়া বেজিং-এর। মাত্র দু’লাইনেই আমেরিকার মুখ বন্ধ চিনের। বলা বাহুল্য, রুশ তেল কেনা নিয়ে শনিবারই চিনকে শুল্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যাটো দেশগুলিকে চিনের উপর শুল্ক চাপানোর আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চিনের উপর ৫০-১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন।
২৬টা প্রাণের চেয়েও টাকা বেশি জরুরি ? Ind vs Pak Asia Cup 2025 নিয়ে গর্জে উঠলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি
এই পরিস্থিতিতে এবার ট্রাম্পকে পালটা দিল চিন। সাফ জানায়, চিন কখনও যুদ্ধের পরিকল্পনা করে না (China doesn’t plot wars)। এমনকি কোনও যুদ্ধে যোগদানও করে না। যুদ্ধ কখনও কোনও সমস্যার সমাধান তো করতে পারেই না, বরং বিধিনিষেধ ওই সমস্যাগুলিকে আরও জটিল করে তোলে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সওয়ালের জবাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী। বর্তমানে স্লোভেনিয়া সফরে গিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ওয়াং ই বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইউরোপ ও চিনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা পূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। সম্প্রতি ট্রাম্প চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
যদিও পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন তিনি। বলেন, চিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক “খুবই ভালো।” এদিকে আমেরিকা এখন জি ৭ দেশগুলির কাছে অর্থাৎ ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইটালি, জাপান ও ইংল্যান্ডের কাছেও আর্জি জানিয়েছে যে তারা যেন ভারত ও চিনের উপরে শুল্ক চাপিয়ে রাশিয়ার উপরে চাপ সৃষ্টি করে। যাতে করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থেমে যায়। আর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে অন্যতম ‘হকদার’ হয়ে যান তিনি। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তিনিই সেই মানুষ যে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে ‘গণহত্যা’ চালাতে প্রত্যক্ষ- পরোক্ষভাবে মদদ যুগিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিজের সোশ্যাল হ্যন্ডেল, ট্রুথ সোশ্যালে ট্র্যাম্প শনিবার তিনি বলেন যে, ন্যাটো সদস্যরা যে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তা জেনে তিনি হতভম্ব। তাই অবলম্বে তাদের তেল ক্রয় করতে নিষেধ করেন। একইসঙ্গে বলেন, যদি সকল ন্যাটো সদস্য দেশ রাজি হয়, তাহলে আমি রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে প্রস্তুত। সব ন্যাটো সদস্যরা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। আমি প্রস্তুত, আপনারা শুধু বলুন কবে করতে হবে।




















































