০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 111

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফের অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।বন্যা কবলিত অসমে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে।এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ফের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। কাছাড়, চিরাং, বরপেটা, বিশ্বনাথ, দারং, ধেমাজি, গোলাঘাট, কামরূপ ও নগাঁও জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য ব্রহ্মপুত্র, বেকি, কপিলি, বরাক, কুশিয়ারা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায়, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল।নতুন করে বৃষ্টি বাড়তে থাকায় নদীর জলস্তর ফের বেড়েছে। এখনও জলের তলায় রয়েছে শিলচর। স্থানীয়রা এখনও আশ্রয়ের খোঁজে এদিক–ওদিক করছেন। নতুন করে একাধিক মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

ইতিমধ্যেই একাধিক ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। নতুন করেও ফের বন্যাদুর্গতদের রাখার জন্য ত্রাণ শিবির তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন লক্ষেরও বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্তও অসমের ২৬টি জেলা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৩১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৫৬ জন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের পক্ষ থেকে অসমের বন্যা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জোরহাট, তেজপুর ও ধুবড়ি এলাকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন। অসমের পাশাপাশি অরুণাচলে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ,বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। শুধু ভৌগোলিক কারণের জন্য না, নদীর বাঁধ ভাঙার কারনেও বিপর্যস্ত হয়েছে সাধারণ জনজীবন।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফের অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।বন্যা কবলিত অসমে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে।এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে ফের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। কাছাড়, চিরাং, বরপেটা, বিশ্বনাথ, দারং, ধেমাজি, গোলাঘাট, কামরূপ ও নগাঁও জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য ব্রহ্মপুত্র, বেকি, কপিলি, বরাক, কুশিয়ারা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায়, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল।নতুন করে বৃষ্টি বাড়তে থাকায় নদীর জলস্তর ফের বেড়েছে। এখনও জলের তলায় রয়েছে শিলচর। স্থানীয়রা এখনও আশ্রয়ের খোঁজে এদিক–ওদিক করছেন। নতুন করে একাধিক মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন।

আরও পড়ুন: কাছাড় জেলায় সরকারি দফতরে বাংলা বাধ্যতামূলক

ইতিমধ্যেই একাধিক ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। নতুন করেও ফের বন্যাদুর্গতদের রাখার জন্য ত্রাণ শিবির তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন লক্ষেরও বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য।

আরও পড়ুন: অসমে নয়া গ্যাস ভান্ডার, ৫ দিন ধরে তীব্র গতিতে বেরিয়ে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাস

প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্তও অসমের ২৬টি জেলা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ৩১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৫৬ জন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের পক্ষ থেকে অসমের বন্যা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জোরহাট, তেজপুর ও ধুবড়ি এলাকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন। অসমের পাশাপাশি অরুণাচলে বাড়ছে বৃষ্টির পরিমাণ। ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ,বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নদী। শুধু ভৌগোলিক কারণের জন্য না, নদীর বাঁধ ভাঙার কারনেও বিপর্যস্ত হয়েছে সাধারণ জনজীবন।

আরও পড়ুন: অসমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা, ভূমিধসে পাঁচজনের মৃত্যু