‘জালিয়াতি’ করতে খোলা ছাড় বিনোদ আদানিকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে দেশে বিদেশে জোর চর্চা আদানি গ্রূপকে নিয়ে। গৌতম আদানির নাম বার বার সামনে এসেছে। কিন্তু যার নাম সেইভাবে সামনে আসেনি তিনি হলেন গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি। এই ‘শেয়ার জালিয়াতি’তে তাঁর বিশেষ ভূমিকার কথা সামনে এনেছে হিন্ডেনবার্গ। রবিবার শেয়ার জালিয়াতির ঘটনায় গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানির বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে কংগ্রেস।
বিদেশে আদানি গোষ্ঠীর যাবতীয় লেনদেন সামলাতেন বিনোদই। পছন্দ করতেন আড়ালে থাকতে। তাঁর সংস্থার হাত ধরেই শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র নিয়ম এড়িয়ে ভুয়ো লেনদেনের মাধ্যমে টাকা ঢুকেছে বিভিন্ন সংস্থায়। অথচ সব জেনেবুঝেও এই সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ কংগ্রেসের।
শনিবার লোকসভায় কংগ্রেস সচেতক মণিকম ঠাকুর প্রশ্ন করেন, ‘আদানি নিয়ে কবে জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী?’ এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্ককে আদানিদের শেয়ারে লগ্নিতে বাধ্য করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও আবারও তুলেছে কংগ্রেস। রিপোর্টটিকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যসভায় বিজেপি-র সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও। ট্যুইটে ইঙ্গিত করে তিনি লেখেন, ভারতকে অন্ধকারে রেখে রাশিয়া থেকে ওই ঋণ নেওয়ার ঘটনায় রয়েছে হর্ষদ মেহতার কেলেঙ্কারির ছায়া। অথচ ইডি, সিবিআই ‘কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়েছে।’
অন্য একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করেছে হিন্ডেনবার্গ। তাতে লেখা হয়েছে, আদানির বিভিন্ন শেয়ারে লগ্নির বদলে রাশিয়ার ব্যাঙ্কের থেকে প্রায় ২৪ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন গৌতম আদানির দাদা বিনোদ। যা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। আদানিরা অবশ্য আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
‘হাম আদানি কে হ্যায় কৌন’ সিরিজে একাধিক প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ছুঁড়েছ কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ অভিযোগে বলেন, বিনোদ আদানি যে আদানির গোষ্ঠীর এই ‘জালিয়াতি’র ঘটনায় অন্যতম মাথা সে কথা একবারের জন্যেও উল্লেখ করা হয়নি।
জয়রাম রমেশ বলেন, চিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী যেমন ‘মৌনী বাবা’ হয়ে যান ‘হাম আদানি কে হ্যায় কৌন’ ইস্যুতেও তেমনি মৌন হয়ে যান। মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টে ৫০ বারের বেশি রয়েছে গৌতম আদানি নাম। সেখানেই বিনোদের কথা রয়েছে ১৫১ বার। আদানিদের বেশ কয়েকটি সংস্থার ক্ষেত্রে ঘুরপথে টাকা জোগাড়ের ব্যবস্থা করেছেন বিনোদ। যার হাত ধরে বাধ্যতামূলক ভাবে ২৫ শতাংশ শেয়ার প্রোমোটারদের বাইরের লগ্নিকারীদের হাতে থাকার নিয়ম এড়াতে পেরেছে আদানিরা।