০৬ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রতীকী আন্দোলনে মহারাষ্ট্রের তুলোচাষিরা, দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে, সরকারকে হুঁশিয়ারি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 194

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফলন কম, দামের পতন এবং অত্যাধিক বেশি উৎপাদন খরচ সহ কৃষকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্রের তুলোচাষিরা। ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী আন্দোলনে নামছেন তারা। আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ১০০০-কুইন্টাল অবিক্রীত কাঁচা তুলো জড়ো করা হয়েছে। সেই তুলো খোলা আকাশের নীচে ফেলে রেখে আগুন ধরিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাবেন তারা। এই প্রতিবাদে শামিল হবেন কমপক্ষে ১০ হাজার কৃষক।

কৃষকদের হুঁশিয়ারি, সরকার তাদের দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।  সোমবার সরকারের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতীকী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। অভিযোগ, দামের পতন সহ উচ্চহারে উৎপাদন খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবাদে একহাজার কুইন্ট্যাল কাঁচাতুলো পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

বিজয় জাভান্ধি নামে এক বর্ষীয়ান কৃষক জানান, গত বছরে ৮০ লক্ষের বেশি কৃষক তুলো উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ১ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, দাম ছুঁয়েছিল ১৪ হাজার। কিন্তু এই বছর অনিয়মিত বর্ষার কারণে ৪০ শতাংশ তুলোর ফলন ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর ফলে বড়সড় কৃষি সংকটের সূত্রপাত হয়েছে। এই বছর তুলার দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। দাম ১৪ হাজার থেকে ৭ হাজার কুইন্ট্যালে নেমে গেছে। তুলোর রফতানি ৬০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি ভারতজুড়ে চাষিদের নতুন করে ঋণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

শিব সেনা(ইউবিটি)কৃষকনেতা কিশোর তিওয়ারি বলেন, এই বছর বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া, উত্তর মহারাষ্ট্রে প্রায় ৩৩০০ কৃষকদের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। ১৮ মে সমাবেশের মাধ্যমে আমরা তুলো চাষিদের পাঁচ হাজার কুইন্ট্যাল ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আমাদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
তিওয়ারি ও জাভান্ধি জানান, বড় বড় রাজনৈতিক দল সহ কৃষক সংগঠনগুলি তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। সরকার তাদের দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র-আরএসএসের চাপেই মহারাষ্ট্রে হিন্দি আগ্রাসন: সঞ্জয় রাউত

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রতীকী আন্দোলনে মহারাষ্ট্রের তুলোচাষিরা, দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে, সরকারকে হুঁশিয়ারি

আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফলন কম, দামের পতন এবং অত্যাধিক বেশি উৎপাদন খরচ সহ কৃষকবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্রের তুলোচাষিরা। ক্ষতিপূরণের দাবি তুলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতীকী আন্দোলনে নামছেন তারা। আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ১০০০-কুইন্টাল অবিক্রীত কাঁচা তুলো জড়ো করা হয়েছে। সেই তুলো খোলা আকাশের নীচে ফেলে রেখে আগুন ধরিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাবেন তারা। এই প্রতিবাদে শামিল হবেন কমপক্ষে ১০ হাজার কৃষক।

কৃষকদের হুঁশিয়ারি, সরকার তাদের দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।  সোমবার সরকারের বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতীকী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা। অভিযোগ, দামের পতন সহ উচ্চহারে উৎপাদন খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবাদে একহাজার কুইন্ট্যাল কাঁচাতুলো পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন: কৃষক আত্মহত্যা: মহারাষ্ট্রে ৩ মাসে আত্মঘাতী ৭৬৭ জন

বিজয় জাভান্ধি নামে এক বর্ষীয়ান কৃষক জানান, গত বছরে ৮০ লক্ষের বেশি কৃষক তুলো উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ১ কোটি ২০ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, দাম ছুঁয়েছিল ১৪ হাজার। কিন্তু এই বছর অনিয়মিত বর্ষার কারণে ৪০ শতাংশ তুলোর ফলন ক্ষতির মুখে পড়েছে। এর ফলে বড়সড় কৃষি সংকটের সূত্রপাত হয়েছে। এই বছর তুলার দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। দাম ১৪ হাজার থেকে ৭ হাজার কুইন্ট্যালে নেমে গেছে। তুলোর রফতানি ৬০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতি ভারতজুড়ে চাষিদের নতুন করে ঋণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র: পদ্ম বিধায়কের বিরুদ্ধে মিছিল খ্রিস্টানদের

শিব সেনা(ইউবিটি)কৃষকনেতা কিশোর তিওয়ারি বলেন, এই বছর বিদর্ভ, মারাঠওয়াড়া, উত্তর মহারাষ্ট্রে প্রায় ৩৩০০ কৃষকদের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। ১৮ মে সমাবেশের মাধ্যমে আমরা তুলো চাষিদের পাঁচ হাজার কুইন্ট্যাল ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। আমাদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
তিওয়ারি ও জাভান্ধি জানান, বড় বড় রাজনৈতিক দল সহ কৃষক সংগঠনগুলি তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। সরকার তাদের দাবি না মানলে গণলাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্র-আরএসএসের চাপেই মহারাষ্ট্রে হিন্দি আগ্রাসন: সঞ্জয় রাউত