অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি, স্বামী-স্ত্রীর তুমুল ঝগড়া
দাম্পত্য কলহে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা দম্পতির

- আপডেট : ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
- / 116
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রায়শই অফিস থেকে দেরি করে ঘরে ফিরতেন স্বামী। এনিয়ে মাঝেমধ্যেই বাক বিতণ্ডা বাধত ওই দম্পতির। তবে সোমবার স্বামীর দেরি করে বাড়ি ফেরা নিয়ে তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর। দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে সেই ঝগড়া। স্ত্রীর প্রতি বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে মানসিক চাপ নিতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ৩৬ বছর বয়সী ব্যক্তি। স্বামীর মৃত্যু দেখে ওই মহিলাও গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন। মঙ্গলবার এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার বেটা ২ এলাকায়।
সূত্রের খবর, গ্রেটার নয়ডার সাইট ফাইভের একটি কারখানার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন বছর ছত্রিশের ওই ব্যক্তি। স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে ৩৬ নম্বর সেক্টরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজের চাপের কারণে বাড়ি ঢুকতে প্রায়শই রাত ১১ টা বাজত ওই ম্যানেজারের। স্বামীর রাত করে বাড়ি ফেরা ভালোভাবে নিতেন না স্ত্রী। ফলে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চাপ দিতেন মহিলা। যদিও স্ত্রীকে প্রায়ই ওই ব্যক্তি বলতেন, কাজ সম্পূর্ণ করতে করতে রাত হয়ে যায়। যে কারণে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরা হয় না। কাজ না সেরে চলে আসলে তার চাকরিতে প্রভাব পড়ে। ব্যক্তিগত চাকরিতে এটা সম্ভব নয়, না হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে মেসেজ করে জানতে চান, কখন বাড়ি ফিরবে? উত্তরে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি শীঘ্রই আসবেন। পাল্টা স্ত্রী লেখেন, ‘এটা তো তোমার দৈনন্দিন নাটক’।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজ সেরে ঘরে ফিরতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চরম ঝগড়া শুরু হয় তাদের। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আত্মীয়দের ফোন করে দ্রুত বাড়ি আসতে বলেন বছর তেত্রিশের ওই মহিলা। আত্মীয়রা ছুটে এসে দেখেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেটা ২-এর স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) বিনোদ কুমার বলেন, “সোমবার গভীর রাতে আমরা হাসপাতাল থেকে খবর পাই এক দম্পতি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “তাদের বাচ্চারা অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিল বলে তারা কিছুই জানতে পারেনি। যদিও বাবা-মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি এখনও তাদের জানানো হয়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর মৃত্যু দেখে ওই মহিলাও গলাই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে ওই দম্পতি তাদের সন্তানদের জন্য একটি বার্তা রেখে গেছেন।” ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।