০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবা কান্ডে রাজ্যের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 41

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  বৃহস্পতিবার কসবা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার এর মধ্যে রিপোর্ট দেবে রাজ্য। কসবা কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। কসবার ল কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজ্যের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের।এর পাশাপাশি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে হলফনামার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি ২০২৫ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা চাকরিহারা শিক্ষকদের

এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে? সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টও জমা করতে হবে। আগামী শুনানিতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। সেইদিনই সব রিপোর্ট জমা করতে হবে।একাধিক প্রশ্নও উঠেছে এদিন। কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন ? আগে অভিযোগ জানানো হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? সিসিটিভি বা অন্য নজরদারির ব্যবস্থা কেন করা হয়নি।? সিটের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার আইনজীবী।আগেও নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন, -’তাঁরা সিবিআই তদন্ত চাননা। কলকাতা পুলিশের ওপরে তাঁদের ভরসা রয়েছে’।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণে ফের ধাক্কা রাজ্যের, হাইকোর্টে উঠল আদালত অবমাননার মামলা

 

আরও পড়ুন: ওবিসি বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ আদালতের, প্রশ্নের মুখে ভর্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া  

ইতিমধ্যেই অবশ্য সিট-এর হাত থেকে ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অন্যদিকে, ল কলেজের গভর্নিং বডির রেজিস্ট্রারের খাতা বাজেয়াপ্ত করেছে লালবাজার। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনধিকার প্রবেশ আটকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। কেস ডায়রি তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার কেস ডায়রি, হলফনামা, রিপোর্ট হাতে পেয়ে কী কথা হয় সেটাই এখন দেখার। ৩টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

 

ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যেই মহিলা পুলিশ আধিকারিক একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরপরই কলেজের (আইন) সংবিধান সম্পর্কে রাজ্যের কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।গত ২৫ জুন কসবার ল কলেজের মধ্যে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

কসবা.কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। সিবিআই তদন্ত এবং তদন্তে আদালতের নজরদারি চেয়ে আইনজীবীদের তরফেও মামলা করা হয়েছে। যদিও নির্যাতিতার পরিবার শুরু থেকেই পুলিশি তদন্তে আস্থা রেখছেন। তাঁরা চান, কলকাতা পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে সেভাবেই যেন তদন্ত চালিয়ে যাক।এ ব্যাপারে কসবা কাণ্ডে দায়ের হওয়া তিনটি জনস্বার্থ মামলায় তাঁরা যুক্ত হওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন।

 

পরিবারের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, -’পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল যে গতিতে ও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে, তা যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। তাই এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই’।এদিন মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে পরিষ্কার করে জানানো হয়, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও ছবি বা ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কসবা কান্ডে রাজ্যের রিপোর্ট চাইলো কলকাতা হাইকোর্ট

আপডেট : ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন:  বৃহস্পতিবার কসবা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার এর মধ্যে রিপোর্ট দেবে রাজ্য। কসবা কাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। কসবার ল কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজ্যের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের।এর পাশাপাশি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে হলফনামার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি ২০২৫ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা চাকরিহারা শিক্ষকদের

এই ঘটনায় তদন্ত কতটা এগিয়েছে? সেই সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্টও জমা করতে হবে। আগামী শুনানিতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে। সেইদিনই সব রিপোর্ট জমা করতে হবে।একাধিক প্রশ্নও উঠেছে এদিন। কলেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও কেন কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন ? আগে অভিযোগ জানানো হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি? সিসিটিভি বা অন্য নজরদারির ব্যবস্থা কেন করা হয়নি।? সিটের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার আইনজীবী।আগেও নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন, -’তাঁরা সিবিআই তদন্ত চাননা। কলকাতা পুলিশের ওপরে তাঁদের ভরসা রয়েছে’।

আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণে ফের ধাক্কা রাজ্যের, হাইকোর্টে উঠল আদালত অবমাননার মামলা

 

আরও পড়ুন: ওবিসি বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ আদালতের, প্রশ্নের মুখে ভর্তি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া  

ইতিমধ্যেই অবশ্য সিট-এর হাত থেকে ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অন্যদিকে, ল কলেজের গভর্নিং বডির রেজিস্ট্রারের খাতা বাজেয়াপ্ত করেছে লালবাজার। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনধিকার প্রবেশ আটকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। কেস ডায়রি তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার কেস ডায়রি, হলফনামা, রিপোর্ট হাতে পেয়ে কী কথা হয় সেটাই এখন দেখার। ৩টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

 

ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যেই মহিলা পুলিশ আধিকারিক একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এরপরই কলেজের (আইন) সংবিধান সম্পর্কে রাজ্যের কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট। আগামী ১০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।গত ২৫ জুন কসবার ল কলেজের মধ্যে আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

কসবা.কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। সিবিআই তদন্ত এবং তদন্তে আদালতের নজরদারি চেয়ে আইনজীবীদের তরফেও মামলা করা হয়েছে। যদিও নির্যাতিতার পরিবার শুরু থেকেই পুলিশি তদন্তে আস্থা রেখছেন। তাঁরা চান, কলকাতা পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে সেভাবেই যেন তদন্ত চালিয়ে যাক।এ ব্যাপারে কসবা কাণ্ডে দায়ের হওয়া তিনটি জনস্বার্থ মামলায় তাঁরা যুক্ত হওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন।

 

পরিবারের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, -’পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল যে গতিতে ও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে, তা যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। তাই এখনই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই’।এদিন মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে পরিষ্কার করে জানানো হয়, নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোনও ছবি বা ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।