২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত: প্রশাসনের নজর উপকূলে, সব রকম প্রস্তুতি শুরু

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, সোমবার
  • / 169

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: উত্তর ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার উপকূলীয় এলাকায় সোমবার সকাল থেকেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। অমাবস্যার কোটাল এবং ঘূর্ণাবর্তের সম্মিলিত প্রভাবে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্র বর্তমানে অত্যন্ত উত্তাল। নদী ও সমুদ্রের জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। জেলার অধিকাংশ স্থানে আকাশ মেঘলা, এবং আবহাওয়া দপ্তর দিনভর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৮ মে থেকে ৩০ মে-র মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এর ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত এবং উপকূলবর্তী এলাকায় দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন

সমুদ্র ও নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যাওয়ায় উপকূলবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। দুর্বল বাঁধ উপচে অথবা ভেঙে নোনাজল লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। ফলে নদী ও সমুদ্রতীরবর্তী কৃষিজমিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার নদী ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিনাখাঁর চৈতল এলাকায় ক্ষণিকের টর্নেডো, জলঘূর্ণির ভয়ংকর দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী

গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওষুধপত্র ও ত্রিপল। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলও।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে বাংলাতেও

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত: প্রশাসনের নজর উপকূলে, সব রকম প্রস্তুতি শুরু

আপডেট : ২৬ মে ২০২৫, সোমবার

সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ: উত্তর ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যা মঙ্গলবার নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার উপকূলীয় এলাকায় সোমবার সকাল থেকেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। অমাবস্যার কোটাল এবং ঘূর্ণাবর্তের সম্মিলিত প্রভাবে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্র বর্তমানে অত্যন্ত উত্তাল। নদী ও সমুদ্রের জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। জেলার অধিকাংশ স্থানে আকাশ মেঘলা, এবং আবহাওয়া দপ্তর দিনভর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৮ মে থেকে ৩০ মে-র মধ্যে এই নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এর ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত এবং উপকূলবর্তী এলাকায় দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন

সমুদ্র ও নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যাওয়ায় উপকূলবর্তী এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। দুর্বল বাঁধ উপচে অথবা ভেঙে নোনাজল লোকালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। ফলে নদী ও সমুদ্রতীরবর্তী কৃষিজমিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমার নদী ও সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিনাখাঁর চৈতল এলাকায় ক্ষণিকের টর্নেডো, জলঘূর্ণির ভয়ংকর দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী

গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ওষুধপত্র ও ত্রিপল। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলও।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে বাংলাতেও