কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোচা ? কি বলছে দিল্লির হাওয়া অফিস…… জেনে নিন বিস্তারিত
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মোচা প্রভাবে ইতিমধ্যেই বাংলায় বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে তা নিয়ে ঘনীভূত হয়েছিল ধোঁয়াশা। এবার মোচা নিয়ে উল্লেখযোগ্য আপডেট দিল মৌসম বিভাগ।
দিল্লির আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে মোচা। এর জেরে ৪৫ থেকে ৬৫ কিমি প্রতিঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়ায় দুর্যোগ চলবে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় সাইক্লোন মোচা শক্তি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে। সে ক্ষেত্রে ১৪ মে নাগাদ মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূলে ব্যাপক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রমাদ গুনছে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এছাড়া আগামী কয়েক ঘণ্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি- কালিম্পঙে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মোচার ল্যান্ডফল কোন জায়গায় হবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। মোচার ল্যান্ডফলের উপরই নির্ভর করবে বাংলার বরাতে কি আছে।
আবহবিদদের একাংশের মতে মায়ানমারে ল্যান্ডফল হলে বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। চট্টগ্রামে ল্যান্ডফল হলে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা হতে পারে। বরিশাল অঞ্চলে ল্যান্ডফল হলে সুন্দরবন অঞ্চলে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে।
অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলেছে, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলার উপকূলে ভারী বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা নেই। তবে শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নিরন্তর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে মৌসম ভবন।
উল্লেখ্য, এই ঝড়ের নাম ‘মোচা’ দিয়েছে ইয়েমেন। এটি আদতে একটি বন্দর-শহর। পোর্ট সিটি। এই বন্দর-শহরটি লোহিত সাগরতীরবর্তী। বলা হয়, এই রেড সি’র এই বন্দর-শহরটিই প্রায় ৫০০ বছর আগে পৃথিবীকে প্রথম কফির সঙ্গে পরিচিত করিয়েছিল!