২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধনকড়ের ইস্তফা মঞ্জুর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 30

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনকড়। এর আগেও ওনার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ওনাকে এই পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল বিরোধীরা। ধনকড়ের এই ইস্তফা এখন সোশাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ, জগদীপ ধনকড়ের এই ইস্তফাটি মঞ্জুর করেছেন। গত সোমবার রাতে তিনি এই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন এবং মঙ্গলবারই তা গৃহীত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশাল মিডিয়াতে  উপরাষ্ট্রপতি-সহ বিভিন্ন পদে ধনখড়ের বিভন্ন কাজের কথা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: নৈনিতালে ভাষণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ জগদীপ ধনখড়

তবে এখনই তাঁর এই ইস্তফা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি কেন্দ্রের তরফ থেকে। বিরোধীরা এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এবং কেনো রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি ধনকড়কে বাধ্য করা হল কি না ইস্তফা দেওয়ার জন্য এমনও কথা উঠছে। স্ট্যালিনের দলের সাংসদ টিআর বালু মঙ্গলবার সকালে একপ্রকার দাবি করেই ফেলেছেন যে,  চাপের কারণেই  ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়।

আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ’, ধনকর-দুবেকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি। আর সেইসময় বর্তমান সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক ছিল একেবারে তুঙ্গে। ২০২২ সালে তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন। কার্যত রাজ্যসভা শাসন করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল সেইসময়।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন সোনিয়া সহ মোট ১৪ জন সাংসদ

সোমবার ছিল রাজ্যসভার বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়রি কমিটির একটি  বৈঠক। ধনকড় সেই বৈঠকে সভাপতিত্বও করেছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল। আর দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় বিকেল সাড়ে ৪টের সময় । কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন যে,  সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই গুরুতর কিছু ঘটে থাকতে পারে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধনকড়ের ইস্তফা মঞ্জুর

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনকড়। এর আগেও ওনার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে ওনাকে এই পদ থেকে সরাতে চেয়েছিল বিরোধীরা। ধনকড়ের এই ইস্তফা এখন সোশাল মিডিয়াতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ, জগদীপ ধনকড়ের এই ইস্তফাটি মঞ্জুর করেছেন। গত সোমবার রাতে তিনি এই ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন এবং মঙ্গলবারই তা গৃহীত হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশাল মিডিয়াতে  উপরাষ্ট্রপতি-সহ বিভিন্ন পদে ধনখড়ের বিভন্ন কাজের কথা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুন: নৈনিতালে ভাষণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ জগদীপ ধনখড়

তবে এখনই তাঁর এই ইস্তফা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি কেন্দ্রের তরফ থেকে। বিরোধীরা এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এবং কেনো রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি ধনকড়কে বাধ্য করা হল কি না ইস্তফা দেওয়ার জন্য এমনও কথা উঠছে। স্ট্যালিনের দলের সাংসদ টিআর বালু মঙ্গলবার সকালে একপ্রকার দাবি করেই ফেলেছেন যে,  চাপের কারণেই  ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়।

আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ’, ধনকর-দুবেকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসেন তিনি। আর সেইসময় বর্তমান সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক ছিল একেবারে তুঙ্গে। ২০২২ সালে তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন। কার্যত রাজ্যসভা শাসন করার ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল সেইসময়।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে শপথ নিলেন সোনিয়া সহ মোট ১৪ জন সাংসদ

সোমবার ছিল রাজ্যসভার বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়রি কমিটির একটি  বৈঠক। ধনকড় সেই বৈঠকে সভাপতিত্বও করেছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল। আর দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় বিকেল সাড়ে ৪টের সময় । কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন যে,  সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যেই গুরুতর কিছু ঘটে থাকতে পারে।