বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডির ৯৮ শতাংশ মামলা
বিরোধীদের দমাতে বিজেপির অস্ত্রই ইডি: দাবি গোখলের

- আপডেট : ৩ মে ২০২৫, শনিবার
- / 95
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। বিরোধীদের দমাতে ইডি, সিবিআই, এনআইএ ও আয়কর বিভাগের মত কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে। এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অপব্যবহার নিয়ে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করলেন তিনি। তৃণমূল সাংসদের দাবি, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ইডি যে মামলা দায়ের করেছে, তার ৯৮ শতাংশই বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে। বাকি ২ শতাংশ হল, যারা অন্যন্য দল থেকে গিয়ে বিজেপিতে নাম লিখেছে। পদ্মের ওয়াশিং মেশিনে সব ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তাদের।
বৃহস্পতিবার ইডি দিবসের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন ইডি ডিরেক্টর রাহুল নবীন। তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে মানি লন্ডারিং বিরোধী আইন ব্যাপকভাবে ‘অকার্যকর’ ছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে এই আইনের প্রয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি হয়েছে।” ইডি ডিরেক্টরের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই গোখলে দাবি করেন, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের মসনদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর শাসনকাল থেকে সবচেয়ে বেশি ইডির অপব্যবহার হয়েছে এবং মামলার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “মোদির নির্দেশেই এই সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে।”
শনিবার এক এক্স বার্তায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, “গত ১১ বছরে ইডি মোট ৫,২৯৭টি মামলা দায়ের করেছে। কতজনকে বিচারের জন্য আদালতে তোলা হয়েছে? সংখ্যাটি মাত্র ৪৭। ইডির মামলায় সাজার হার মাত্র ০.৭ শতাংশ।” গোখলের কথায়, “প্রতি এক হাজার মামলার মধ্যে মাত্র সাতটি মামলায় আসামি দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ১০০০টি মামলার মধ্যে ৯৯৩টি মামলা ইডি দায়ের করেছে শুধুমাত্র কাউকে জেলে আটকে রাখার জন্য। কারণ পিএমএলএ-র অধীনে জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব।” তাঁর আরও অভিযোগ, “বিজেপির নির্দেশ মেনে নিরপরাধ মানুষদের ব্ল্যাকমেল ও চাঁদাবাজি করার জন্য এই আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়ে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘ভোটের মুখেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সক্রিয়তা দেখা যায়। এটা পরিষ্কার যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে শাসনব্যবস্থা যতই ফাঁপা হোক না কেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে তারা ছাড়পত্র পেয়ে যায়। আমরা স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল শাসনকার্যে বিশ্বাসী। বিজেপি-র এই প্রতিহিংসার রাজনীতি বরদাস্ত করব না, যার মাধ্যমে বিরোধীদের কার্যত বিরোধী শিকারে বেরিয়েছে তারা।’’