০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিশরের চার্চে ভয়াবহ আগুন নিহত অন্তত ৪১

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২২, রবিবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মিশরের রাজধানী কায়রোর এক কপ্টিক চার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। মিশরের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ৫৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চার্চটি কায়রোর ইম্বাবা জেলায় অবস্থিত। এই জেলায় মূলত শ্রমজীবী মানুষের বসবাস। রবিবার, আবু সিফাইন চার্চে এক প্রার্থনা সভায় হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রার্থনা চলাকালীন চার্চে হঠাৎই আগুন ধরে যায়। চার্চেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় কয়েক ডজন মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলিকে কাজে লাগিয়েছি আমি।’ আগুন নেভানোর জন্য দমকলের পনেরোটি গাড়িকে চার্চে পাঠানো হয়। পরে মিশরের দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও ততক্ষণে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আগুন লাগার খবর পায় মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী জরুরি তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন, গির্জার দ্বিতীয় তলার একটি এয়ার কন্ডিশনার থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বিভাগ জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকেই সম্ভবত এই আগুন লেগেছিল। দেশের প্রধান বিচারপতি হামাদা এল-সাউই এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত কপটিক খ্রিস্টানরা হল মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায়। মুসলিম প্রধান দেশ মিশরে এই সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও, দেশের মোট ১০ কোটি ৩০ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ১ কোটি কপটিক খ্রিস্টান রয়েছেন।

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন
Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মিশরের চার্চে ভয়াবহ আগুন নিহত অন্তত ৪১

আপডেট : ১৪ অগাস্ট ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মিশরের রাজধানী কায়রোর এক কপ্টিক চার্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন। মিশরের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ৫৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চার্চটি কায়রোর ইম্বাবা জেলায় অবস্থিত। এই জেলায় মূলত শ্রমজীবী মানুষের বসবাস। রবিবার, আবু সিফাইন চার্চে এক প্রার্থনা সভায় হাজার হাজার ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রার্থনা চলাকালীন চার্চে হঠাৎই আগুন ধরে যায়। চার্চেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় কয়েক ডজন মানুষ। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলিকে কাজে লাগিয়েছি আমি।’ আগুন নেভানোর জন্য দমকলের পনেরোটি গাড়িকে চার্চে পাঠানো হয়। পরে মিশরের দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বললেও ততক্ষণে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় আগুন লাগার খবর পায় মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী জরুরি তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন, গির্জার দ্বিতীয় তলার একটি এয়ার কন্ডিশনার থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বিভাগ জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট থেকেই সম্ভবত এই আগুন লেগেছিল। দেশের প্রধান বিচারপতি হামাদা এল-সাউই এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত কপটিক খ্রিস্টানরা হল মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম খ্রিস্টান সম্প্রদায়। মুসলিম প্রধান দেশ মিশরে এই সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও, দেশের মোট ১০ কোটি ৩০ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ১ কোটি কপটিক খ্রিস্টান রয়েছেন।

আরও পড়ুন: কুলতলিতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন