২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ঈদ-উল-আযহা, নজরদারি ও বিশেষ বার্তা পুলিশ-প্রশাসনের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 311

সামিম আহমেদ, ঢোলাহাট: আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা বা বকরি ঈদ। ধর্মীয় উৎসবের আবহে সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে পালিত হবে কুরবানির ঈদ।যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পালিত এই উৎসব ইসলামের অন্যতম বৃহৎ ইবাদতের দিন।

ঈদ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার অন্তর্গত উস্তি, মগরাহাট, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, কুলপি, মথুরাপুর, মন্দিরবাজার, রায়দিঘি, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় শুরু হয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমায় লোকালয়ে পুকুরে আবার কুমির

এই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, সেজন্য সুন্দরবন পুলিশ জেলা ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে পশু কুরবানির সময় আইন মেনে নির্দিষ্ট স্থানে তা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরবানির অপ্রয়োজনীয় অংশ মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশও দিয়েছে প্রশাসন। ঈদের দিন মাংস পরিবহনের সময় যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য থানাগুলিতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগেই। সেইসঙ্গে ঈদের দিন বেপরোয়া বাইক চালানো বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কড়া পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: খাড়ী শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র নামায

কুরবানি ইসলামে আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং মানবতার প্রতীক। নবী ইব্রাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে চাওয়ার স্মৃতিতে মুসলমানরা প্রতি বছর এই দিনে পশু কুরবানি করেন। কুরবানির মাংসের একাংশ গরিবদের মধ্যে বিলি করা হয়।

আরও পড়ুন: কৃষকদের বিকাশে গঙ্গাসাগরে কৃষি অভিযান

আজ ঈদের নামায ঘিরে সকাল থেকেই মসজিদ ও ঈদগাহে ভিড় জমাবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। নামায শেষে হবে কোলাকুলি, চলবে শুভেচ্ছা বিনিময়। এরপরই শুরু হবে কুরবানির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। সারা দেশজুড়ে বিশেষ এক শ্রেণি সর্বদা অশান্তির ছক কষছে। তাই কুরবানির ঈদ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বার্তা দিয়েছে প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতৃত্ব।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আজ ঈদ-উল-আযহা, নজরদারি ও বিশেষ বার্তা পুলিশ-প্রশাসনের

আপডেট : ৭ জুন ২০২৫, শনিবার

সামিম আহমেদ, ঢোলাহাট: আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা বা বকরি ঈদ। ধর্মীয় উৎসবের আবহে সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে পালিত হবে কুরবানির ঈদ।যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পালিত এই উৎসব ইসলামের অন্যতম বৃহৎ ইবাদতের দিন।

ঈদ উপলক্ষ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার অন্তর্গত উস্তি, মগরাহাট, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, কুলপি, মথুরাপুর, মন্দিরবাজার, রায়দিঘি, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমা এলাকায় শুরু হয়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

আরও পড়ুন: পাথরপ্রতিমায় লোকালয়ে পুকুরে আবার কুমির

এই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়, সেজন্য সুন্দরবন পুলিশ জেলা ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষ করে পশু কুরবানির সময় আইন মেনে নির্দিষ্ট স্থানে তা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরবানির অপ্রয়োজনীয় অংশ মাটিতে পুঁতে ফেলার নির্দেশও দিয়েছে প্রশাসন। ঈদের দিন মাংস পরিবহনের সময় যাতে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য থানাগুলিতে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগেই। সেইসঙ্গে ঈদের দিন বেপরোয়া বাইক চালানো বন্ধ করতে নেওয়া হয়েছে কড়া পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন: খাড়ী শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’র নামায

কুরবানি ইসলামে আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং মানবতার প্রতীক। নবী ইব্রাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে চাওয়ার স্মৃতিতে মুসলমানরা প্রতি বছর এই দিনে পশু কুরবানি করেন। কুরবানির মাংসের একাংশ গরিবদের মধ্যে বিলি করা হয়।

আরও পড়ুন: কৃষকদের বিকাশে গঙ্গাসাগরে কৃষি অভিযান

আজ ঈদের নামায ঘিরে সকাল থেকেই মসজিদ ও ঈদগাহে ভিড় জমাবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। নামায শেষে হবে কোলাকুলি, চলবে শুভেচ্ছা বিনিময়। এরপরই শুরু হবে কুরবানির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। সারা দেশজুড়ে বিশেষ এক শ্রেণি সর্বদা অশান্তির ছক কষছে। তাই কুরবানির ঈদ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বার্তা দিয়েছে প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতৃত্ব।