১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আইনি নির্দেশ সত্ত্বেও লোকসভায় পদ পুনর্বহালের নোটিশ মেলেনি বহিষ্কৃত সাংসদ ফয়জলের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার
  • / 30

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইনি নির্দেশ সত্ত্বেও লোকসভায় যাওয়ার অনুমতি মেলেনি লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলের। কেরল হাইকোর্ট ফয়জলকে পুনবর্হালের আদেশ দেয়। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রকের সুপারিশ সত্ত্বেও লোকসভা সচিবালয় এখনও ফয়জলের নামে পুনর্বহালের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।

সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে একটি বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফয়জল জানিয়েছিলেন, সংসদের কার্যকলাপের বাইরে তাকে রাখার জন্য এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা। এখনও অবধি লোকসভার সচিবালয়ের কার্যালয় থেকে তাকে সংসদে পুনর্বহালের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি আসেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমার অযোগ্যতা প্রমাণ করতে না পারলেও, আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে, আমার সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ লোকসভার ওয়েবসাইটে দেখা যায় না। অযোগ্য ঘোষণার একদিন পরেই সরকারি বাসভবন খালি করার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু এখনও নির্দেশ প্রত্যাহারের কোনও বিজ্ঞপ্তি তার কাছে পৌঁছায়নি। ফয়জলের দাবি, তিনি এবং দলের পক্ষ থেকে বহুবার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কাজ নিয়ম মেনেই এগোচ্ছে।

আরও পড়ুন: নজরে WAQF BILL

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ১৪ বছরের পুরনো একটি খুনের চেষ্টার মামলায় এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল কাভারাত্তির দায়রা আদালত। এরপরেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করে লোকসভার সচিবালয়। নোটিশে বলা হয়েছে ‘২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে ওই দিন থেকেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হল।’

আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ নয়া আয়কর বিল

২০১৪ সাল থেকে সাংসদ ছিলেন এই এনসিপি নেতা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সইদের জামাই মহম্মদ সালিহকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ফয়জল ও তাঁর তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মামলায় ফয়জল সহ চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় কাভারাত্তির একটি আদালত।

আরও পড়ুন: লোকসভা থেকে বহিষ্কার: মহুয়া মৈত্রের আবেদনের শুনানি হবে মে মাসে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আইনি নির্দেশ সত্ত্বেও লোকসভায় পদ পুনর্বহালের নোটিশ মেলেনি বহিষ্কৃত সাংসদ ফয়জলের

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইনি নির্দেশ সত্ত্বেও লোকসভায় যাওয়ার অনুমতি মেলেনি লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলের। কেরল হাইকোর্ট ফয়জলকে পুনবর্হালের আদেশ দেয়। পরবর্তীতে আইন মন্ত্রকের সুপারিশ সত্ত্বেও লোকসভা সচিবালয় এখনও ফয়জলের নামে পুনর্বহালের বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।

সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে একটি বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফয়জল জানিয়েছিলেন, সংসদের কার্যকলাপের বাইরে তাকে রাখার জন্য এটি একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা। এখনও অবধি লোকসভার সচিবালয়ের কার্যালয় থেকে তাকে সংসদে পুনর্বহালের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি আসেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমার অযোগ্যতা প্রমাণ করতে না পারলেও, আমার নির্বাচনী কেন্দ্রের মোবাইল নাম্বারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে, আমার সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ লোকসভার ওয়েবসাইটে দেখা যায় না। অযোগ্য ঘোষণার একদিন পরেই সরকারি বাসভবন খালি করার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু এখনও নির্দেশ প্রত্যাহারের কোনও বিজ্ঞপ্তি তার কাছে পৌঁছায়নি। ফয়জলের দাবি, তিনি এবং দলের পক্ষ থেকে বহুবার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছিল, কিন্তু তাকে শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত কাজ নিয়ম মেনেই এগোচ্ছে।

আরও পড়ুন: নজরে WAQF BILL

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ১৪ বছরের পুরনো একটি খুনের চেষ্টার মামলায় এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল কাভারাত্তির দায়রা আদালত। এরপরেই তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করে লোকসভার সচিবালয়। নোটিশে বলা হয়েছে ‘২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি খুনের চেষ্টার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে ওই দিন থেকেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হল।’

আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ নয়া আয়কর বিল

২০১৪ সাল থেকে সাংসদ ছিলেন এই এনসিপি নেতা। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সইদের জামাই মহম্মদ সালিহকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ফয়জল ও তাঁর তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মামলায় ফয়জল সহ চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় কাভারাত্তির একটি আদালত।

আরও পড়ুন: লোকসভা থেকে বহিষ্কার: মহুয়া মৈত্রের আবেদনের শুনানি হবে মে মাসে