০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগুনের উৎসস্থল খুঁজতে এবার ড্রোন নামাবে দমকল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 150

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম প্রতিবেদক: ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত হল রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতর। আগুন মোকাবিলায় চিরাচরিত উপায়কে ধরে না থেকে নিত্যনতুন পদ্ধতিকে ইতিমধ্যেই কাজে লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ফায়ার বল ও রোবটের ব্যবহার। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ড্রোন আসতে চলেছে দমকলে। ড্রোনের মাধ্যমে আগুন নেভানোর কাজ করা হবে।

তপসিয়া, তিলজলা, টেংরার মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছোট আগুন লাগলেও সমস্যা হয়েছে আগুন নেভাতে, সম্প্রতি একথা স্বীকার করে নিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এর কারণ একটাই, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায হওয়ায় আগুনের উৎস খুঁজতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। এই সমস্যারই সমাধান করবে ড্রোন। বহুতলই হোক কিংবা ঘিঞ্জি এলাকা, আগুনের উৎস খুঁজতে এবার কাজে লাগানো হবে ড্রোনকে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত কলকাতার জন্য থাকবে দু’টি ড্রোন। তবে এই ড্রোন অন্য ড্রোনের থেকে কিছুটা আলাদা। এটি ক্যামেরাযুক্ত স্বয়ংক্রিয় ড্রোন। পরে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও এই ব্যবস্থা চালু হবে। ড্রোন চালানোর জন্য কয়েকজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

মূলত, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে, অনেক সময়ই দমকল কর্মীরা উৎস অনুসন্ধান করতে পারেন না। ফলে আগুন নেভাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এদিকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অনেক সময় প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটে যায়। তবে ড্রোন আসলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলেই আশাবাদী দমকল কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে দমকলের এক আধিকারিক বলেন, আগুন লাগলে যে সমস্ত এলাকায় কর্মীদের প্রবেশ করতে সমস্যা হবে, সেক্ষেত্রে ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে উৎসস্থল দেখে নেওয়া হবে। এর পর প্রয়োজনে ফায়ার ফাইটার রোবটকে কাজে লাগিয়ে উৎস স্থলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আগুনের উৎসস্থল খুঁজতে এবার ড্রোন নামাবে দমকল

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত হল রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতর। আগুন মোকাবিলায় চিরাচরিত উপায়কে ধরে না থেকে নিত্যনতুন পদ্ধতিকে ইতিমধ্যেই কাজে লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ফায়ার বল ও রোবটের ব্যবহার। এবার আরও একধাপ এগিয়ে ড্রোন আসতে চলেছে দমকলে। ড্রোনের মাধ্যমে আগুন নেভানোর কাজ করা হবে।

তপসিয়া, তিলজলা, টেংরার মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছোট আগুন লাগলেও সমস্যা হয়েছে আগুন নেভাতে, সম্প্রতি একথা স্বীকার করে নিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এর কারণ একটাই, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায হওয়ায় আগুনের উৎস খুঁজতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। এই সমস্যারই সমাধান করবে ড্রোন। বহুতলই হোক কিংবা ঘিঞ্জি এলাকা, আগুনের উৎস খুঁজতে এবার কাজে লাগানো হবে ড্রোনকে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত কলকাতার জন্য থাকবে দু’টি ড্রোন। তবে এই ড্রোন অন্য ড্রোনের থেকে কিছুটা আলাদা। এটি ক্যামেরাযুক্ত স্বয়ংক্রিয় ড্রোন। পরে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও এই ব্যবস্থা চালু হবে। ড্রোন চালানোর জন্য কয়েকজন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

মূলত, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে, অনেক সময়ই দমকল কর্মীরা উৎস অনুসন্ধান করতে পারেন না। ফলে আগুন নেভাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। এদিকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় অনেক সময় প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটে যায়। তবে ড্রোন আসলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলেই আশাবাদী দমকল কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে দমকলের এক আধিকারিক বলেন, আগুন লাগলে যে সমস্ত এলাকায় কর্মীদের প্রবেশ করতে সমস্যা হবে, সেক্ষেত্রে ড্রোনকে কাজে লাগিয়ে উৎসস্থল দেখে নেওয়া হবে। এর পর প্রয়োজনে ফায়ার ফাইটার রোবটকে কাজে লাগিয়ে উৎস স্থলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত আগুন আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন