০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: হামাস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 517

বিশেষ প্রতিবেদন: ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে হামাস অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে’-সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর সঠিক নয়। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নিজেই। ওই বিবৃতিতে হামাস আরও বলেছে, ইসরাইলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আইনি ও জাতীয় অধিকার তাদের রয়েছে। এর আগে, ইসরাইলে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ দাবি করেন, হামাস অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

এরই সূত্র ধরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে ইসরায়েলি দৈনিক ‘হারেৎজ’। ওই প্রতিবেদনে তারা একটি অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়েছে। তবে, হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে উইটকফের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভুল। ফিলিস্তিন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না বলে সাফ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ফিলিস্তিন নীতির নিন্দায় মুখর Priyanka Gandhi

 

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

ওই বিবৃতিতে তারা বলে, ‘প্রতিরোধ এবং সেই স্বার্থে অস্ত্র সক্ষমতা হামাসের আইনি ও জাতীয় অধিকার। যত দিন দখলদারি থাকবে, তত দিন হামাসের হাতে অস্ত্র থাকবে। যত দিন না ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে, তত দিন আমরা অস্ত্র ফেলব না।’

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শনিবার তেল আবিবে ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগের দিন তিনি গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা  হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উইটকফের এই গাজা সফর অবশ্য শুরু থেকেই ভালোভাবে নেয়নি হামাস।

 

একে ‘সাজানো নাটক’ হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। তাদের ভাষ্য, গাজায় বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে ভুল তথ্য দেওয়াই এই সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য।রাষ্ট্রসংঘের মতে, গত মে মাসে জিএইচএফ তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে ১ হাজার ৩০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে নানা সমালোচনা ও এত প্রাণহানি সত্ত্বেও জিএইচএফকে ঢালাও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত জুনে জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: হামাস

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

বিশেষ প্রতিবেদন: ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে হামাস অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে’-সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর সঠিক নয়। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নিজেই। ওই বিবৃতিতে হামাস আরও বলেছে, ইসরাইলি দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আইনি ও জাতীয় অধিকার তাদের রয়েছে। এর আগে, ইসরাইলে জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ দাবি করেন, হামাস অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: Palestinian state: এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে france

এরই সূত্র ধরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করে ইসরায়েলি দৈনিক ‘হারেৎজ’। ওই প্রতিবেদনে তারা একটি অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়েছে। তবে, হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে উইটকফের এমন দাবি সম্পূর্ণ ভুল। ফিলিস্তিন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না বলে সাফ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ফিলিস্তিন নীতির নিন্দায় মুখর Priyanka Gandhi

 

আরও পড়ুন: Palestine Statehood: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া

ওই বিবৃতিতে তারা বলে, ‘প্রতিরোধ এবং সেই স্বার্থে অস্ত্র সক্ষমতা হামাসের আইনি ও জাতীয় অধিকার। যত দিন দখলদারি থাকবে, তত দিন হামাসের হাতে অস্ত্র থাকবে। যত দিন না ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে, তত দিন আমরা অস্ত্র ফেলব না।’

মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ শনিবার তেল আবিবে ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগের দিন তিনি গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা  হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উইটকফের এই গাজা সফর অবশ্য শুরু থেকেই ভালোভাবে নেয়নি হামাস।

 

একে ‘সাজানো নাটক’ হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। তাদের ভাষ্য, গাজায় বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে ভুল তথ্য দেওয়াই এই সফরের একমাত্র উদ্দেশ্য।রাষ্ট্রসংঘের মতে, গত মে মাসে জিএইচএফ তাদের কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে ১ হাজার ৩০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে নানা সমালোচনা ও এত প্রাণহানি সত্ত্বেও জিএইচএফকে ঢালাও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত জুনে জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।