২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অতিভারী বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমে ভূমিধস, বিপদসীমার উপরে তিস্তা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 219

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বেহাল উত্তর সিকিম। একাধিক এলাকায় ভূমিধস। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে খরস্রোতা তিস্তা। সিকিমে লাল সতর্কতা জারি। আরও বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে ফিদাং গ্রাম ভেসেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর।

মুন্সিথাংয়ের কাছে খাদে গাড়ি উলটে নিখোঁজ আট পর্যটক। শুক্রবার বিপর্যয়ের জেরে এদিন তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গন, গিয়ালশিং, সোরেং জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। মঙ্গন জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর সিকিম ভ্রমণ পারমিট ইস্যু বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি

ভুটান পাহাড়েও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে উত্তরের ডুয়ার্স এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, সংকোশ, রায়ডাক-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বেড়েছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমেছে। বন্ধ হয়েছে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা।

আরও পড়ুন: আষাঢ়স্য প্রথম দিবস…

মোবাইল ফোন পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। টুং চেকপোস্টের কাছে ধস নেমে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টিতে সিকিমের সাত মাইলের মধ্যে নামচি জেলার লেগশিপ ও কিউজিংয়ের মাঝে ধস নেমেছে। উত্তর সিকিমে বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তিস্তার জলস্তর আরও কিছুটা বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডিকচু, সিংথামের মতো এলাকা। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সঙ্কলং এলাকায় তিস্তার জলস্তর প্রায় ২.৫ মিটার বেড়েছে।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অতিভারী বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমে ভূমিধস, বিপদসীমার উপরে তিস্তা

আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বেহাল উত্তর সিকিম। একাধিক এলাকায় ভূমিধস। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে খরস্রোতা তিস্তা। সিকিমে লাল সতর্কতা জারি। আরও বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে ফিদাং গ্রাম ভেসেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর।

মুন্সিথাংয়ের কাছে খাদে গাড়ি উলটে নিখোঁজ আট পর্যটক। শুক্রবার বিপর্যয়ের জেরে এদিন তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গন, গিয়ালশিং, সোরেং জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। মঙ্গন জেলায় বন্যা ও ভূমিধসের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকাতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর সিকিম ভ্রমণ পারমিট ইস্যু বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ, কলকাতা-সহ বাংলায় ভারী বৃষ্টি

ভুটান পাহাড়েও অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ফলে উত্তরের ডুয়ার্স এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের জেরে তিস্তা, জলঢাকা, তোর্সা, সংকোশ, রায়ডাক-সহ প্রতিটি নদীর জলস্তর বেড়েছে। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় ভূমিধস নেমেছে। বন্ধ হয়েছে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা।

আরও পড়ুন: আষাঢ়স্য প্রথম দিবস…

মোবাইল ফোন পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। টুং চেকপোস্টের কাছে ধস নেমে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে। অতিভারী বৃষ্টিতে সিকিমের সাত মাইলের মধ্যে নামচি জেলার লেগশিপ ও কিউজিংয়ের মাঝে ধস নেমেছে। উত্তর সিকিমে বিপর্যয় মোকাবিলায় সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তিস্তার জলস্তর আরও কিছুটা বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডিকচু, সিংথামের মতো এলাকা। তিস্তা সংলগ্ন বাসিন্দাদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সঙ্কলং এলাকায় তিস্তার জলস্তর প্রায় ২.৫ মিটার বেড়েছে।

আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষকরা