২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজাব-বিরোধীদের বিচার হবে ইরানের আদালতে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 161

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যারা ইরানি নারীদের হিজাব অপসারণে উৎসাহিত করবে বা দেশে হিজাব- বিরোধী প্রচার চালাবে, তাদের বিচার হবে ফৌজদারি আদালতে। অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনও অধিকার পাবে না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সী এক কুর্দ তরুণী মারা যায়। এরপরেই হিজাবের বিরুদ্ধে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে পশ্চিমা বিশ্ব। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ইরানি কর্তৃপক্ষ নীতি পুলিশ বিলুপ্ত করে। হিজাব আইনে পরিবর্তন আনার অঙ্গীকারও করে। এর ফলে বর্তমানে ইরানের রাস্তাঘাটে হিজাব ছাড়া নারীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এদিকে বেশ কিছু ইরানি নারী সেলিব্রিটি এবং অ্যাক্টিভিস্টও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিজাব ছাড়া নিজেদের ছবি পোস্ট করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এই মন্তব্য করেন। সূত্রের খবর,  হিজাব ছাড়া নারীদের চিহ্নিত করতে ইরানি পুলিশ পাবলিক প্লেসে ক্যামেরা বসিয়েছে। গত সপ্তাহে এই পরিকল্পনার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিজাব-বিরোধীদের বিচার হবে ইরানের আদালতে

আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, যারা ইরানি নারীদের হিজাব অপসারণে উৎসাহিত করবে বা দেশে হিজাব- বিরোধী প্রচার চালাবে, তাদের বিচার হবে ফৌজদারি আদালতে। অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনও অধিকার পাবে না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সী এক কুর্দ তরুণী মারা যায়। এরপরেই হিজাবের বিরুদ্ধে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে পশ্চিমা বিশ্ব। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ইরানি কর্তৃপক্ষ নীতি পুলিশ বিলুপ্ত করে। হিজাব আইনে পরিবর্তন আনার অঙ্গীকারও করে। এর ফলে বর্তমানে ইরানের রাস্তাঘাটে হিজাব ছাড়া নারীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এদিকে বেশ কিছু ইরানি নারী সেলিব্রিটি এবং অ্যাক্টিভিস্টও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিজাব ছাড়া নিজেদের ছবি পোস্ট করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এই মন্তব্য করেন। সূত্রের খবর,  হিজাব ছাড়া নারীদের চিহ্নিত করতে ইরানি পুলিশ পাবলিক প্লেসে ক্যামেরা বসিয়েছে। গত সপ্তাহে এই পরিকল্পনার ঘোষণা করেছিল পুলিশ।