০২ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা, মৃত গৃহবধূ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 59

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল এক গৃহবধূকে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার। ট্রেনের মধ্যেই ওই মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তাকে বাধা দেওয়ায় আক্রোশে উন্মত্ত হয়ে সে মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। সেই সময় ট্রেনে ছিল ওই গৃহবধূর ৯ বছরের নাবালক পুত্র। হরিয়ানার ফতেহবাদ জেলার ঘটনা।

যখন ট্রেনটি ফতেহবাদের তোহনার স্টেশনে থামে তখন ওই গৃহবধূর স্বামী কামরায় উঠে দেখে একাই কামরায় রয়েছে তার ছেলে। এর সেই ৯ বছরের শিশুপুত্রই তার বাবাকে সব ঘটনার কথা জানায়।
ফতেহবাদ পুলিশ প্রধান আস্থা মোদি বলেন, ট্রেনের কোচটি পুরো খালি ছিল। মোট তিনজন ছিল একটি কামরায়। সেই সুযোগ বুঝে এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এই রিপোর্ট হাতে এসেছে। মৃত গৃহবধূর স্বামীর বয়ানের ভিত্তিতে এই কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে ফোন রেললাইনে পড়ে গেলে কী করবেন?

মৃতা গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, ট্রেনে দেখি আমার ছেলে একা বসে কাঁদছে। আমাকে দেখেই সে দৌড়ে এসে জানায়, তার মাকে একজন ব্যক্তি ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। তার স্ত্রী স্টেশন থেকে ২০ কিলোমিটার আগে ফোন করেছিল। বলেছিল আমাকে এসে নিয়ে যাও। এখন সে আর নেই। কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন মৃত গৃহবধূর স্বামী।

পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে ২৭ বছরের ওই যুবকের নাম সন্দীপ। তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জিআরপি সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলার পরেই, সন্দীপ নামে ওই যুবক ট্রেন থেকে নিজেও লাফিয়ে পড়ে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, তার স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে ছেলে নিয়ে রোহতকে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে করে তোহনাতে ফিরছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সারা রাত ধরে পরিবার ও পুলিশের তরফ থেকে গৃহবধূর দেহ খোঁজা হয়। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যায়, খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে তার দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তোহানায় রেলওয়ে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর জগদীশ জানিয়েছেন, ট্রেনে কিভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশ তখন ডিউটিতে ছিল। সেই সময় কে ডিউটিতে ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা, মৃত গৃহবধূ

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্লীলতাহানিতে বাধা দেওয়ায় ট্রেন থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল এক গৃহবধূকে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার। ট্রেনের মধ্যেই ওই মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তাকে বাধা দেওয়ায় আক্রোশে উন্মত্ত হয়ে সে মহিলাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। সেই সময় ট্রেনে ছিল ওই গৃহবধূর ৯ বছরের নাবালক পুত্র। হরিয়ানার ফতেহবাদ জেলার ঘটনা।

যখন ট্রেনটি ফতেহবাদের তোহনার স্টেশনে থামে তখন ওই গৃহবধূর স্বামী কামরায় উঠে দেখে একাই কামরায় রয়েছে তার ছেলে। এর সেই ৯ বছরের শিশুপুত্রই তার বাবাকে সব ঘটনার কথা জানায়।
ফতেহবাদ পুলিশ প্রধান আস্থা মোদি বলেন, ট্রেনের কোচটি পুরো খালি ছিল। মোট তিনজন ছিল একটি কামরায়। সেই সুযোগ বুঝে এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে এই রিপোর্ট হাতে এসেছে। মৃত গৃহবধূর স্বামীর বয়ানের ভিত্তিতে এই কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেন থেকে ফোন রেললাইনে পড়ে গেলে কী করবেন?

মৃতা গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, ট্রেনে দেখি আমার ছেলে একা বসে কাঁদছে। আমাকে দেখেই সে দৌড়ে এসে জানায়, তার মাকে একজন ব্যক্তি ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। তার স্ত্রী স্টেশন থেকে ২০ কিলোমিটার আগে ফোন করেছিল। বলেছিল আমাকে এসে নিয়ে যাও। এখন সে আর নেই। কাঁদতে কাঁদতে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন মৃত গৃহবধূর স্বামী।

পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে ২৭ বছরের ওই যুবকের নাম সন্দীপ। তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জিআরপি সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূকে ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলার পরেই, সন্দীপ নামে ওই যুবক ট্রেন থেকে নিজেও লাফিয়ে পড়ে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, তার স্ত্রী গত কয়েকদিন ধরে ছেলে নিয়ে রোহতকে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে করে তোহনাতে ফিরছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সারা রাত ধরে পরিবার ও পুলিশের তরফ থেকে গৃহবধূর দেহ খোঁজা হয়। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যায়, খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে তার দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
তোহানায় রেলওয়ে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর জগদীশ জানিয়েছেন, ট্রেনে কিভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশ তখন ডিউটিতে ছিল। সেই সময় কে ডিউটিতে ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।