২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর নাম নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি! হড়পা বানে ভেসে যাওয়া হিন্দু প্রতিবেশীদের বাঁচালেন মোহাম্মদ মানিক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আল্লাহর নাম নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছি নদীতে। বিশ্বাস এত টুকু ছিল আল্লাহ আছেন। আর আমি সাঁতার জানি। জলপাইগুড়ি জেলার ছোট্ট গ্রাম পশ্চিম তেশিমলায় আব্দুল খালেক এর পুত্র মোহাম্মদ মানিক এর বাড়ি।

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রতিবছরই মালবাজার এলাকায় মেলার আয়োজন হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও সেই মেলায় যান মোহাম্মদ মানিক। আর সেখান থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত মাল নদী।

আরও পড়ুন: নদী পথে একুশের সভায় রওনা সুন্দরবনের তৃণমূল  কর্মী ও সমর্থকদের

 

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে রেল লাইনে সমস্যা, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল লোকাল ট্রেন

গতকাল বুধবার প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। নদীতে হঠাৎ হড়পা বান ডাকে। মালবাজারের মাল নদীতে হঠাৎই এই বানের ফলে জলের তোরে ভেসে প্রাণ হারান কমপক্ষে ৮ জন।

 

এদিন দশমীতে বিসর্জন দিতে গিয়ে বন্যার জলে শতশত মানুষ ভেসে যাচ্ছিল,যে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে, মুহূর্তের মধ্যে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এবং অসংখ্য জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জন শিশুও ছিল। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর তার পায়ে চোট লাগলেও, নিজের কষ্টের তোয়াক্কা না করে ভেসে যাওয়া মানুষের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে ছিল মানিক। আর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে নেটিজেনরা।

 

একদিকে যেখানে কিছু মানুষ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ক্রমাগত হিন্দু – মুসলিমদের মধ্যে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছে। সেখানে মানিকের মত মানুষের জন্য আজও বাংলার মাটিতে শান্তি বিরাজ করছে। মানিকের এই সাহসিকতা কে কুর্নিশ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে আটজন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৯টার দিকে জলপাইগুড়ির মালবাজারে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে অনেক মানুষের সামগম ঘটে। হঠাৎ জলের স্রোতে ভেসে যান অনেকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী এবং পুলিশ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আল্লাহর নাম নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছি! হড়পা বানে ভেসে যাওয়া হিন্দু প্রতিবেশীদের বাঁচালেন মোহাম্মদ মানিক

আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আল্লাহর নাম নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছি নদীতে। বিশ্বাস এত টুকু ছিল আল্লাহ আছেন। আর আমি সাঁতার জানি। জলপাইগুড়ি জেলার ছোট্ট গ্রাম পশ্চিম তেশিমলায় আব্দুল খালেক এর পুত্র মোহাম্মদ মানিক এর বাড়ি।

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রতিবছরই মালবাজার এলাকায় মেলার আয়োজন হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও সেই মেলায় যান মোহাম্মদ মানিক। আর সেখান থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত মাল নদী।

আরও পড়ুন: নদী পথে একুশের সভায় রওনা সুন্দরবনের তৃণমূল  কর্মী ও সমর্থকদের

 

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে রেল লাইনে সমস্যা, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল লোকাল ট্রেন

গতকাল বুধবার প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা। নদীতে হঠাৎ হড়পা বান ডাকে। মালবাজারের মাল নদীতে হঠাৎই এই বানের ফলে জলের তোরে ভেসে প্রাণ হারান কমপক্ষে ৮ জন।

 

এদিন দশমীতে বিসর্জন দিতে গিয়ে বন্যার জলে শতশত মানুষ ভেসে যাচ্ছিল,যে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে, মুহূর্তের মধ্যে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এবং অসংখ্য জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জন শিশুও ছিল। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর তার পায়ে চোট লাগলেও, নিজের কষ্টের তোয়াক্কা না করে ভেসে যাওয়া মানুষের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে ছিল মানিক। আর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে নেটিজেনরা।

 

একদিকে যেখানে কিছু মানুষ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ক্রমাগত হিন্দু – মুসলিমদের মধ্যে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করছে। সেখানে মানিকের মত মানুষের জন্য আজও বাংলার মাটিতে শান্তি বিরাজ করছে। মানিকের এই সাহসিকতা কে কুর্নিশ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে আটজন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ৯টার দিকে জলপাইগুড়ির মালবাজারে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে অনেক মানুষের সামগম ঘটে। হঠাৎ জলের স্রোতে ভেসে যান অনেকে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল বাহিনী এবং পুলিশ।