০৭ মে ২০২৫, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওএমআর শিট বিকৃত মামলায়, মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীকে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 14

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর সিট বিকৃত মামলায় মামলাকারীর পূর্ণ ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে  মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাত।

এদিন নির্দেশ দিলেন, আবেদনকারীর ইন্টারভিউ আবার নিতে হবে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ইন্টারভিউ নিতে হবে এবং তার ফলাফল নম্বর-সহ আদালতে জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এতে রাজি না হলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আরও পড়ুন: এবার আলিয়ার ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের চাকরি

মামলাকারী পরীক্ষার্থী আধুল হামিদের অভিযোগ, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে উত্তরপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাতে দেখেন উত্তরপত্রে কেউ অন্য রঙের কালির কলম চালিয়েছে। যে কালো কলমে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটি আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: একাদশ দ্বাদশ নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে এসএসসির অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট

ওই উত্তরপত্রে অন্য কেউ উত্তর দিয়েছে বলে দাবি করেন পরীক্ষার্থী। তাঁর দাবি, তিনি সবই যথাযথ উত্তর দিয়েছিলেন। এর পরেই উত্তর পত্রের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়, পরীক্ষার্থীর কালি বদলের অভিযোগ সত্যি।

আরও পড়ুন: ইন্টারভিউ দিতে এসে আটক ভুয়ো পরীক্ষার্থী

গত, বুধবার মাদ্রাসার দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ফরেন্সিক  রিপোর্ট জমা পড়েছে। এর পরেই বৃহস্পতিবার  সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পৃথকভাবে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,  মামলাকারী পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে তাঁর নিজের পেন ছাড়াও অন্য পেনের কালির ব্যবহার রয়েছে। এই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি জানিয়েছেন, ইন্টারভিউ নিতে হবে এই প্রার্থীকে। যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে মাদ্রাসা বোর্ডকে। গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োও রেকর্ডিং করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইন্টারভিউ নিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এবং তার ফলাফল নম্বর সহ আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ‘লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন আবেদনকারী। তার ইন্টারভিউ নিতে সমস্যা নেই’।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওএমআর শিট বিকৃত মামলায়, মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীকে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর সিট বিকৃত মামলায় মামলাকারীর পূর্ণ ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে  মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাত।

এদিন নির্দেশ দিলেন, আবেদনকারীর ইন্টারভিউ আবার নিতে হবে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ইন্টারভিউ নিতে হবে এবং তার ফলাফল নম্বর-সহ আদালতে জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এতে রাজি না হলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আরও পড়ুন: এবার আলিয়ার ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের চাকরি

মামলাকারী পরীক্ষার্থী আধুল হামিদের অভিযোগ, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে উত্তরপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাতে দেখেন উত্তরপত্রে কেউ অন্য রঙের কালির কলম চালিয়েছে। যে কালো কলমে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটি আদালতে জমা দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: একাদশ দ্বাদশ নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে এসএসসির অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট

ওই উত্তরপত্রে অন্য কেউ উত্তর দিয়েছে বলে দাবি করেন পরীক্ষার্থী। তাঁর দাবি, তিনি সবই যথাযথ উত্তর দিয়েছিলেন। এর পরেই উত্তর পত্রের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়, পরীক্ষার্থীর কালি বদলের অভিযোগ সত্যি।

আরও পড়ুন: ইন্টারভিউ দিতে এসে আটক ভুয়ো পরীক্ষার্থী

গত, বুধবার মাদ্রাসার দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ফরেন্সিক  রিপোর্ট জমা পড়েছে। এর পরেই বৃহস্পতিবার  সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পৃথকভাবে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,  মামলাকারী পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে তাঁর নিজের পেন ছাড়াও অন্য পেনের কালির ব্যবহার রয়েছে। এই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি জানিয়েছেন, ইন্টারভিউ নিতে হবে এই প্রার্থীকে। যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে মাদ্রাসা বোর্ডকে। গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োও রেকর্ডিং করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ইন্টারভিউ নিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এবং তার ফলাফল নম্বর সহ আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ‘লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন আবেদনকারী। তার ইন্টারভিউ নিতে সমস্যা নেই’।